Indoor Flower Plant

পাতাবাহার নয়, ফুলগাছে সেজে উঠুক অন্দরমহল, স্বল্প আলোয় ভাল থাকবে কোন গাছ?

অন্দরসজ্জায় পাতাবাহারি গাছেরই জনপ্রিয়তা বেশি। তবে যদি চান ঘরে ফুটে থাকবে রঙিন রকমারি ফুল, বেছে নেবেন কোন গাছ?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:৪১
ঘর সাজুক ফুলগাছে। কম আলোয় বাড়বে এমন কোন গাছ বেছে নেবেন?

ঘর সাজুক ফুলগাছে। কম আলোয় বাড়বে এমন কোন গাছ বেছে নেবেন? ছবি:ফ্রিপিক।

ক্রমশই কমছে সবুজ। ধুলো-ধোঁয়া ভরা পরিবেশে চোখকে খানিক স্বস্তি দিতে পারে ঘরে রাখা গাছ। কেউ একফালি বারান্দায় সাজান বাগান, কেউ আবার ফুল ফোটান ছাদেও। কেউ ঘর সাজাতেও গাছ ব্যবহার করেন। অন্দরসজ্জায় সাধারণত পাতাবাহার গাছই বেছে নেওয়া হয়। মানিপ্ল্যান্ট, লাকি ব্যাম্বু, স্নেকপ্ল্যান্ট, জ়েড প্ল্যান্ট থাকে তালিকায়। কারণও আছে এই গাছগুলি আদরযত্ন ছাড়াই দিব্যি বেড়ে উঠতে পারে। তবে যদি পাতাবাহার গাছে মন না ভরে তবে ঘরের জন্য বেছে নিতে পারেন ফুলগাছও।

Advertisement

তবে মনে রাখতে হবে বারান্দার বাগানে যে ফুল ফোটে, তা কিন্তু ঘরের অল্প আলোয় মানানসই হয় না। অন্দরসজ্জার জন্য ফুলগাছ কিনতে হলে তাই ভাবনাচিন্তা দরকার। সেই তালিকায় কী কী রাখতে পারেন?

আফ্রিকান ভায়োলেটস: নামে আফ্রিকা থাকলেও এই গাছ ভারতেও অন্দরসজ্জায় ব্যবহার হয়। ফুলের রং বেগুনি শুধু নয়, গোলাপি, হলুদ নানা রকমই হয়। ঘরের মধ্যে স্বল্প সূর্যালোকে বেড়ে উঠতে পারে আফ্রিকান ভায়োলেটস। বেশি সূর্যালোকে গাছের ক্ষতি হতে পারে। এই গাছের জন্য টবের মাটির জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভাল হওয়া দরকার। মাটির উপরিভাগ শুকিয়ে গেলে তবেই জলে দিতে হবে।

অ্যানথিউরিয়াম: এই গাছের শুধু ফুল নয়, পাতার বাহারও চোখে পড়ার মতোই। ঘন সবুজ পাতার গাছে ফুটে ওঠা লাল, হালকা গোলাপি ফুল বেশ চিত্তাকর্ষক। তবে এই গাছের জন্য আলো-হাওয়া দরকার। ঘরের অন্ধকার কোণ নয়, বরং খোলা জানলার সামনে রাখলেই সেটি ভাল ভাবে বেড়ে উঠবে। জলও বুঝে দিতে হবে। মাটিতে জল জমলে শিকড় পচে যেতে পারে।

বেগোনিয়া: সাদা, লোল, গোলাপি ছোট ছোট ফুল হয় গাছটিতে। বাগানেও যেমন এই গাছ রাখা যায় তেমনই ঠিকঠাক যত্নআত্তিতে ঘরের শোভায় বাড়াতে পারে বেগোনিয়া। সরাসরি সূর্যালোক এই গাছের উপযুক্ত নয়। তবে জানলার ধারে যেখানে সূর্যের আলো আসে তেমন জায়গা বেছে নিতে হবে। গাছের গোড়ায় জল জমতে দেওয়া চলবে না। মাটি শুকিয়ে গেলে তবেই জল দেওয়া দরকার। গাছ বাড়তে শুরু করলে মাসে এক বার তরল সার দিতে পারেন।

Advertisement
আরও পড়ুন