ছবি : সংগৃহীত।
ফ্যাশনের দুনিয়ায় ক্রমেই নিজের আলাদা জায়গা বানিয়ে নিচ্ছে প্রাকৃতিক রং। সেই রঙে তৈরি শার্ট-পাঞ্জাবি-কুর্তা তো বটেই শাড়িও পরছেন অনেকে। আবার অনেকে বাগানের ফুল দিয়ে সুতির জামায় ফুলের ছাপ দেওয়া নকশাও করছেন। সেই সব জামা-কাপড় চড়া দামে কিনছেন, রাসায়নিক রং বর্জন করতে চাওয়া ফ্যাশনপ্রেমীরা। অথচ চাইলে প্রাকৃতিক রং সামান্য উপকরণ দিয়ে বাড়িতেই বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে। সেই রঙে নিজেই রাঙিয়ে নিতে পারেন জামাকাপড় কিংবা স্কার্ফ বা ওড়নার রং।
কী কী দিয়ে পাওয়া যেতে পারে প্রাকৃতিক রং?
বাড়ির বাগানে বা রান্নাঘরে হাতের কাছে থাকা উপাদান থেকেই প্রাকৃতিক রং বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
গাজর— হালকা কমলা রং
খয়ের— গেরুয়া রং
গাঁদা— সোনালি বা হলুদ
বীট— উজ্জ্বল গোলাপি
বেগনি বাঁধাকপি— নীল রং
লাল বা গাঢ় গোলাপের পাপড়ি— হালকা গোলাপি
পালংশাক এবং ধনেপাতা— হালকা হলুদ বা সবুজ
পেঁয়াজের হলদেটে খোসা— বাদামি
কী ভাবে রং করবেন?
১। যে পোশাকে রং করবেন, সেটি ভিনিগার এবং জলের মিশ্রণে ভিজিয়ে রাখুন ১ ঘণ্টা। যতটা ভিনিগার নেবেন, তার চারগুণ ঠান্ডা জল মেশাতে হবে মিশ্রণে।
২। যে জিনিসটি দিয়ে রং করবেন বলে ভেবেছেন, সেটি ছুরি দিয়ে কুচিকুচি করে কেটে নিন। তাতে রং ভাল আসবে। যতটা উপকরণ দিচ্ছেন, তার দ্বিগুণ জল দিয়ে একটি বড় পাত্রে আঁচে বসান। জল ফুটে গেলে আঁচ কমিয়ে রেখে দিন। দেখবেন ধীরে ধীরে রং বেড়িয়ে আসছে।
৩। যে কাপড়ে রং করবেন ঠিক করেছেন তাতে রং লাগিয়ে পরীক্ষা করুন। এ বার ফুটন্ত জলেই একটি চিমটের সাহায্যে আপনার পোশাকটি ডুবিয়ে দিন। যত ক্ষণ না পছন্দের রং আসছে, তত ক্ষণ আঁচ কমিয়ে জল ফুটতে দিন।
৪। মনে রাখবেন ভিজে অবস্থায় রং গাঢ় দেখালেও, শুকোলে হালকা দেখাবে।
৫। পছন্দের রং ধরলে। আঁচ বন্ধ করে জামাটি তুলে ঠান্ডা জলে ঘষে ধুয়ে নিন। ধোয়া জলে যখন কোনও রং থাকবে না, তখন সেটিকে ভালকরে জল নিংড়ে শুকিয়ে নিন।