শীতেও রান্নাঘরে ঘুরঘুর করছে আরশোলা? কোন উপায়ে শায়েস্তা হবে তারা? ছবি: সংগৃহীত।
গরমকালে আরশোলার উৎপাতে টেঁকা দায়।কিন্তু তা বলে শীতকালেও! এমনিতেও বহু মানুষের আরশোলা ভীতি থাকে। একবার ডানা মেলে উড়তে শুরু করলে আরশোলার আতঙ্কে ভোগা মানুষের মধ্যে ত্রাহি রব পড়ে যায়।শুধু তো তাই নয়, রান্নাঘরে সেঁধিয়ে, খাবার খেয়ে অসুখও ছড়ায় এরা।
কিন্তু আরশোলা তাড়ানো যে কি কঠিন, সেটা গৃহিণীরা হাড়ে হাড়ে টের পান। গরমে আরশোলা বেশি চোখে পড়ে। শীতে অতটা চোখে না পড়লেও, তারা আড়ালে ঘাপটি মেরে থাকে। কী করে লুকিয়ে থাকা আরশোলাদের শায়েস্তা করবেন?
১। শীতের দিনে ফাঁকফোঁকরে ঢুকে পড়তে চায় আরশোলা। তাই কাবার্ড, দেরাজের ছোট ছোট ফাঁকও বুঁজিয়ে দিন। বেসিনের পাইপ, বেসিনের জল বেরোনোর ছিদ্রযুক্ত স্থানটি দিয়েই ঢুকে পড়ে তারা। আরশোলার ঢোকার পথগুলি যথা সম্ভব বন্ধ করে দিন। দেওয়ালের নীচের দিকে কোনও ছোট ফাঁক থাকলে সেগুলি সিলিকন বা সিমেন্ট দিয়ে আটকে ফেলুন।
২। বেসিনে খাবার ফেলা হয়, বাসন ধোয়া হয়। তাই খাবারের অংশ পাইপে রয়ে যায়। রাতের দিকে সেগুলি বন্ধ করে দিন। মেঝে থেকে জল বেরোনোর ছোট ছোট মুখ থাকলে সেগুলিও কাজ হয়ে গেলেই বন্ধ করে দিতে হবে।
৩। তেজপাতা, লবঙ্গ হেঁশেলের খাবার রাখার জায়গার চারপাশে ছড়িয়ে দিন। যেখানে যেখানে আরশোলা ঢুকে থাকে সেখানেও এগুলি রাখুন। মশলার চড়া গন্ধ আরশোলা সহ্য করতে পারে না। তাই মশলার সাহায্যে কিছুটা হলেও আরশোলা আটকানো যাবে।
৪। আরশোলা আটকানোর জন্য বিশেষ চক হয়। সেগুলি দিয়ে দাগ কাটলে রাসায়নিকের গন্ধে কষ্ট হয় বলেই তারা আসে না। যদিও এই ধরনের জিনিস খাদ্যে মিশলে ক্ষতি হতে পারে। তাই যে সমস্ত জায়গায় আরশোলা ঢোকে অথচ খাবার থাকে না, সেখানে চক ব্যবহার করতে পারেন।
৫। মাঝেমধ্যেই হেঁশেলে সাবান, বেকিং সোডা দিয়ে পরিষ্কার করুন। ভাল ভাবে পরিষ্কার করলে আরশোলা তাড়ানো সহজ হবে। ওষুধ দিয়েও আরশোলা মারা যায়। তবে তার আগে রান্নাঘর থেকে বাসনপত্র, খাবার সরিয়ে নেওয়া জরুরি।