communication skill tips

কথোপকথনে ফাঁক থাকলে ব্যক্তি ও পেশাগত জীবনে তৈরি হয় সমস্যা, ৫ পরামর্শে সুফল পাওয়া সম্ভব

সহজ কথোপকথন নানা সমস্যার সমাধান করতে পারে। জীবনে সাফল্যের ক্ষেত্রেও কথোপকথন গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অনেকে সময়েই সেখানে দু’পক্ষের মধ্যে তৈরি হয় দূরত্ব।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৫ ১৯:২৯
প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র। ছবি: সংগৃহীত।

ব্যস্ত জীবনে ঠান্ডা মাথায় কথোপকথনের সময় কমেএসেছে। সমাজমাধ্যম, মেসেজ, ভয়েস নোট বা ভিডিয়ো কলের দৌলতে সমকালীন কথোপকথনের ধরনও বদলে গিয়েছে। মনোবিদদের মতে, কথোপকথনের মধ্যে গতি এবং আধুনিকতা অনেক সময়েই সমস্যা তৈরি করতে পারে। কথোপকথন যদি ফলপ্রসূ হয়, তা হলে তা ব্যক্তিগত সম্পর্ক, পেশাগত জীবন বা বন্ধুত্বকে অটুট রাখতে সাহায্য করে। তারই সঙ্গে কখন চুপ থাকতে হবে বা কখন কথা বলা উচিত, সেটিও শেখার মতো বিষয়। অর্থপূর্ণ কথোপকথনের ক্ষেত্রে কয়েকটি পরামর্শে সুফল পাওয়া যেতে পারে।

Advertisement

১) অনেকেই বেশি কথা বলেন। কিন্তু এক পক্ষ শুধুই কথা বলবে এবং অন্য পক্ষ চুপ করে থাকবে, সেটা উচিত নয়। তাই বিপরীতে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তির বক্তব্য মন দিয়ে শোনা উচিত। মনের মধ্যে সেই বক্তব্যের বিশ্লেষণ করে উত্তর দিলে কথোপকথনের ফলাফলও ইতিবাচক হতে পারে।

২) অনেক সময়েই দীর্ঘ কখোপকথনে নানা প্রসঙ্গ উত্থাপিত হয়। মনোযোগ না দিলে কথার খেই হারিয়ে যেতে পারে। পেশাগত জীবনে তার ফলে ক্ষতিও হতে পারে। তাই কথা বলার সময় মূল বিষয়ভাবনা থেকে সরে যাওয়া উচিত নয়।

৩) অনেকেই সুবক্তা। কিন্তু তার মানে এই নয় যে বক্তব্যের মধ্যে ভারী শব্দচয়ন করতে হবে। জটিলতার পরিবর্তে সরল বাক্যে কথোপকথন চালিয়ে যেতে পারলে সকলেই তা বুঝতে পারবেন। ফলে কোনও জটিলতা বা সন্দেহ তৈরি হবে না।

৪) কখনও কখনও দু’পক্ষের মনোভাবের আদানপ্রদান আকারে ইঙ্গিতেও হতে পারে। অনেক সময়ে তার মাধ্যমেও বিপরীতে বসে থাকা ব্যক্তির মনোভাব স্পষ্ট হয়। ফলে কোন কথা বলা উচিত বা কোনটি উচিত নয়, তা সহজেই বোঝা যায়। অজান্তে অন্যের বিরক্তি বা ক্রোধের সম্ভাবনা তৈরি হয় না।

৫) কোনও ব্যক্তির সব বিষয়ে জ্ঞান না-ও থাকতে পারে। সচেতন ভাবে কথা বলার পরেও বিষয়টি অন্য পক্ষ বুঝতে পেরেছে কি না, তা জেনে নেওয়া উচিত। অন্যথায় ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে।

Advertisement
আরও পড়ুন