Teaching Discipline to Kids

ছেলেমেয়েকে শৃঙ্খলা শেখাবেন কী ভাবে? বাবা-মায়েরা ৭টি বিষয় খেয়াল রাখুন

যে অভ্যাস বড় বয়সে তৈরি করতে গেলে অনেক বেশি কঠিন রাস্তায় হাঁটতে হয়, ছোট বয়সে তা রপ্ত করা সহজ হয়। আর ছোটবেলায় সন্তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ হতে শেখানোর দায়িত্ব অভিভাবকেরই।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২৫ ১১:৪৬

ছবি: সংগৃহীত।

শৃঙ্খলা যে কোনও সাফল্যের গোড়ার কথা। তবে শৃঙ্খলাবোধ এক দিনে তৈরি হয় না। অল্প বয়সে যখন শেখার সেরা সময়, সেই বয়স থেকেই নানা পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে এই অভ্যাস গড়ে তুললে তা একেবারে মনের গভীরে গিয়ে প্রোথিত হয়। যে অভ্যাস বড় বয়সে তৈরি করতে গেলে অনেক বেশি কঠিন রাস্তায় হাঁটতে হয়, ছোট বয়সে তা রপ্ত করা সহজ হয়। আর ছোটবেলায় সন্তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ হতে শেখানোর দায়িত্ব অভিভাবকেরই। যাঁরা নতুন বাবা-মা, তাঁরা এ ব্যাপারে ছোট থেকেই সন্তানকে এই অভ্যাস করাতে পারেন। তবে তার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।

Advertisement

১. নিজেই আদর্শ হোন

শিশুরা দেখে শেখে সবচেয়ে বেশি। তাই আপনি নিজের আচরণের দিকে খেয়াল রাখুন সবার আগে। ওদের শৃঙ্খলা শেখাতে চাইলে নিজে সেই শৃঙ্খলা মেনে চলুন। এটা কঠিন কাজ। কিন্তু উভয়ের জন্যই ভাল।

২. নির্দিষ্ট নিয়ম তৈরি করুন

আগে থেকেই কিছু নিয়ম তৈরি করুন, যা ধারাবাহিক ভাবে মেনে চলতে হবে। সকালের দাঁত মাজা থেকে শুরু করে রাতে ঠিক সময়ে খাওয়া, এমনকি খেলাধুলোর সময়— সব কিছু একটি নিয়মের আকড়ে বেঁধে ফেলুন। এই নিয়ম সন্তানের বয়স অনুযায়ী বদলাবে। কিন্তু নিয়ম মানতে হবে। কেন ওই নিয়ম বানাচ্ছেন তার কারণও বুঝিয়ে বলুন সন্তানকে। তাতে সেই নিয়ম মেনে চলতে তাদের সুবিধা হবে।

৩. নিয়ম ভাঙার ‘শাস্তি’ও আগেই ঠিক করুন

নিয়ম মানা যেমন জরুরি, তেমনই নিয়ম অমান্য করার পরিণতিও ভুগতে হবে। সেই পরিণতি কী, তা আগে থেকেই ঠিক করুন। যেমন সময়ে পড়াশোনা শেষ না করলে বাড়ির কোনও কাজে সাহায্য করতে হবে। বা খেলার সময় বাড়লে কোনও একটি ঘর পরিষ্কার করতে হবে।

৪. ভাল কাজের স্বীকৃতি

‘শাস্তি’ যেমন জরুরি, তেমনই জরুরি পুরস্কারও। তাই কোনও কাজ ভাল হলে তার প্রশংসা করুন বা পুরস্কৃত করুন। এতে ভাল কাজে আরও বেশি উৎসাহী হবে আপনার সন্তান।

৫. সমস্যা সমাধানের শিক্ষা

শৃঙ্খলার অর্থ শুধু কিছু পূর্বনির্ধারিত নিয়ম মেনে চলা নয়। স্বাবলম্বী হওয়াও তার মধ্যে পড়ে। তাই সন্তানকে নিজের সমস্যার সমাধান নিজেকেই করতে দিন। প্রয়োজনে সাহায্য করুন। কিন্তু সমাধান ওঁদেরই করতে দিন।

৬. অসুবিধাগুলি শুনুন

আপনার সন্তান কোনও বিষয়ে কী ভাবছে, সে একটি বিষয়কে কোন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখছে বা কোনও বিষয়ে তাঁর উদ্বেগ হচ্ছে কি না, সেগুলি শুনুন। দরকার হলে তার জন্য আলাদা একটা সময় বার করুন। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের শিক্ষাও এ থেকে পাবে আপনার সন্তান।

৭. ধারাবাহিকতা এবং ধৈর্য

শৃঙ্খলার আসল চাবিকাঠি হল ধারাবাহিকতা আর সেই ধারাবাহিকতার জন্য দরকারি হল ধৈর্য। এই ধৈর্য দু’পক্ষেরই থাকা দরকার। বিশেষ করে সন্তান যখন শিখছে, তখন বাবা-মাকেই আরও বেশি ধৈর্যশীল হতে হবে। সন্তান ভুল করবেই। কিন্তু সেই ভুলগুলি শুধরে দেওয়ার পরে সেটা ঠিক রাখার চেষ্টা কতটা করছে, সে দিকে খেয়াল রাখুন। আর দেখুন, যে নিয়ম তৈরি করেছেন, তার ধারাবাহিকতা বজায় থাকছে কি না। তা হলেই বুঝবেন সন্তান ঠিক পথে এগোচ্ছে।

Advertisement
আরও পড়ুন