West Bengal Weather Update

১২-র ঘরে নামল কলকাতার পারদ! মরসুমের শীতলতম দিনে কালিম্পংকে হারিয়ে ‘সেকেন্ড’ শ্রীনিকেতন, দার্জিলিঙে কত?

কোচবিহারে প্রবল ঠান্ডার পরিস্থিতি নিয়ে আলাদা করে সতর্ক করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কুয়াশায় সেখানে দৃশ্যমানতা প্রায় শূন্য। জেলায় জেলায় জাঁকিয়ে শীত নিয়ে এসেছে উত্তুরে হাওয়া।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ১০:০৫
জাঁকিয়ে শীতে জবুথবু শহর থেকে শহরতলি।

জাঁকিয়ে শীতে জবুথবু শহর থেকে শহরতলি। —ফাইল চিত্র।

বড়দিনে ১৩.৭ ডিগ্রি হয়েছিল কলকাতার তাপমাত্রা। চলতি মরসুমে জাঁকিয়ে শীত যে ঝোড়ো ব্যাটিং করতে চলেছে, বড়দিনেই তার আঁচ পাওয়া গিয়েছিল। তার ঠিক পরের দিন কলকাতায় তাপমাত্রা আরও নামল। ১২-র ঘরে পারদ নামায় এখনও পর্যন্ত মরসুমের শীতলতম দিনের তকমা ছিনিয়ে নিল শুক্রবার। সেই সঙ্গে রাজ্যের নানা প্রান্তে উত্তুরে হাওয়ার দাপট হাড় কাঁপাতে শুরু করেছে। কোচবিহারে প্রবল ঠান্ডার পরিস্থিতি নিয়ে আলাদা করে সতর্ক করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কুয়াশায় সেখানে দৃশ্যমানতা প্রায় শূন্য।

Advertisement

কলকাতায় শুক্রবার ভোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৬ ডিগ্রি কম। বৃহস্পতিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২১.২ ডিগ্রির উপরে ওঠেনি, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৪.৪ ডিগ্রি কম। শহরে দিনভর মেঘমুক্ত পরিষ্কার আকাশ থাকবে। সকালের দিকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশাও থাকতে পারে কোথাও কোথাও।

দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী দু’দিনে রাতের পারদ এক থেকে দুই ডিগ্রি নামতে পারে। তার পরের তিন দিন আবার তাপমাত্রায় বড় কোনও হেরফের হবে না। উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে আগামী সাত দিনে তাপমাত্রার তেমন পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

রাজ্যের সর্বত্রই কুয়াশার সতর্কতা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আপাতত সকালের দিকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কমতে পারে ৯৯৯ মিটার থেকে ২০০ মিটার পর্যন্ত। তবে উত্তরবঙ্গে ঘন কুয়াশার সতর্কতা রয়েছে। সঙ্গে তীব্র ঠান্ডার সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং উত্তর দিনাজপুরে কুয়াশায় দৃশ্যমানতা ১৯৯ মিটার থেকে ৫০ মিটারে পৌঁছে যেতে পারে। কোচবিহারের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। ঘন কুয়াশায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে সেখানে দৃশ্যমানতা একেবারে শূন্যে নেমে গিয়েছিল। শুক্রবার আলিপুর জানিয়েছে, আগামী তিন দিন প্রবল ঠান্ডার পরিস্থিতি থাকবে কোচবিহারে। এই জেলায় শীতের কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

মরসুমের শীতলতম দিনে ঠান্ডার লড়াইয়ে ‘ফার্স্ট বয়’ যদি দার্জিলিং হয় (৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস), তবে ‘সেকেন্ড’ কিন্তু উত্তরবঙ্গ থেকে নয়। বরং ঠান্ডার পরিসংখ্যানে দার্জিলিঙের পরেই রয়েছে বীরভূমের শ্রীনিকেতন। সেখানে শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়াও, বর্ধমানে ৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কল্যাণীতে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সিউড়িতে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাঁকুড়ায় ৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, পুরুলিয়ায় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ব্যারাকপুরে ১০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আসানসোলে ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, পানাগড়ে ১০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বসিরহাটে ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ক্যানিংয়ে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বহরমপুরে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মেদিনীপুরে ১১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, দিঘায় ১১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, উলুবেড়িয়ায় ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, দমদমে ১২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কাঁথিতে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সল্টলেকে ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে পারদ।

উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে আলিপুরদুয়ারে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কালিম্পঙে ১০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রায়গঞ্জে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। কোচবিহারের পারদ নেমেছিল ১২.১ ডিগ্রি পর্যন্ত।

Advertisement
আরও পড়ুন