Parenting tips

সমবয়সিদের সঙ্গে নিজের জিনিস ভাগ করে না শিশু, খুদের অভ্যাস বদলাতে সাহায্য করবে ৫ পরামর্শ

ছোটরা সহজে তাদের প্রিয় জিনিস অন্য কারও সঙ্গে ভাগ করতে চায় না। কিন্তু অল্প বয়স থেকে তাদের মধ্যে ভাগ করে নেওয়ার স্বভাব তৈরি করলে তা মনের বিকাশেও সাহায্য করে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৫ ১০:১১
These 5 simple tips can help your children learn that sharing is caring

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র। ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।

সুখ, দুঃখের মতো অনুভূতি থেকে শুরু করে নিজের জিনিস অন্যের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার মধ্যে আনন্দ পাওয়া সম্ভব। কিন্তু ছোটদের মধ্যে এই ভাগ করে নেওয়ার স্বভাব তৈরি করা অনেক সময়েই কঠিন হয়। কারণ প্রিয় বই বা খেলনা অন্য কাউকে সহজে দিতে চায় না খুদে। এ ক্ষেত্রে বাবা-মায়েরা কয়েকটি কৌশল অবলম্বন করতে পারেন।

Advertisement

১) সমবয়সিদের সঙ্গে কোনও জিনিস ভাগ করে নেওয়ার নির্দেশ দিলেই ছোটরা তা পালন না-ও করতে পারে। আগে তাদের ভাগ করে নেওয়ার দর্শন ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন। কোনও খাবার বা খেলনা অন্য কাউকে দিলে তার মাধ্যমে সে নতুন বন্ধু তৈরি করতে পারে। আবার খুদে যদি বুঝতে পারে, সমবয়সি কারও মুখে সে হাসি ফুটিয়েছে, তা হলেও মনের জোর তৈরি হবে।

২) শিশুরা গল্পের মাধ্যমে অনেক কঠিন বিষয় বুঝতে পারে। তাই তাদের যদি এমন কোনও গল্প শোনানো যায়, যেখানে কোনও চরিত্র অন্যের সঙ্গে কোনও কিছু ভাগ করে নেয়, তা হলে তা সন্তানকে অনুপ্রাণিত করতে পারে। আবার সে রকম কোনও আত্মীয় পরিজনের উদাহরণও শিশুকে অনুপ্রাণিত করতে পারে।

৩) একটি সুযোগ হারানো মানেই যে হেরে যাওয়া নয়, তা সন্তানকে খোলা মনে বোঝানো উচিত। অন্যের সঙ্গে খেলা বা সমবয়সি কাউকে খেলার সুযোগ করে দেওয়ার মাধ্যমে বাকিদের মধ্যেও আনন্দের সঞ্চার ঘটে। অন্যের প্রতিক্রিয়া দেখলে ছোটরাও ভাগ করে নেওয়ার মাহাত্ম্য বুঝতে পারবে।

৪) ছোটরা চোখের সামনে যা দেখে, তা থেকে শিক্ষা নেয়। তাই বাড়িতে বড়রা যদি তাঁদের আদর্শ হয়ে উঠতে পারেন, বাবা বা মা যদি অন্য কারও সঙ্গে খাবার, বা কোনও জিনিস বা উপহার ভাগ করে নেন— সন্তানের কাছে তা উদাহরণ হয়ে উঠতে পারে। একই সঙ্গে তাঁদের এই পদক্ষেপের কারণ সন্তানকে ব্যাখ্যা করা উচিত।

৫) সন্তান যদি তার ভাই বা বোনের সঙ্গে কোনও বই, খেলনা বা খাবার ভাগ করে নেয়, তা হলে প্রকাশ্যে তার প্রশংসা করা উচিত। নিজের পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রশংসিত হলে ছোটদের মনোবল বৃদ্ধি পায়। প্রশংসার তাগিদেই তা হলে ভবিষ্যতেও অন্যের প্রতি একই আচরণের পুনরাবৃত্তি ঘটাবে।

Advertisement
আরও পড়ুন