Kali Puja 2025

আনন্দ যেন নিরানন্দের কারণ না হয়, দীপাবলির ধোঁয়া-শব্দ থেকে আগলে রাখুন বাড়ির বয়স্কদের

আলোর উৎসবে প্রবীণদের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখা দরকার। নিয়মের তোয়াক্কা না করে বয়স্করা অনেকেই এ দিন উপোস রাখেন, কেউ কেউ বেশি মিষ্টি খেয়ে ফেলেন, সে দিকেও সতর্ক নজর রাখতে হবে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২৫ ১৪:৫০
These are some key tips to protect Elderly family members from Diwali firework smoke, pollution and noise

কালীপুজোয় বাড়ির বয়স্কদের সাবধানে রাখুন, রইল কিছু পরামর্শ। ছবি: ফ্রিপিক।

আলোর উৎসবের খলনায়ক বাজির ধোঁয়া ও শব্দবাজির বিকট তাণ্ডব। আইনের কড়াকড়িতে যদিও বাজি বিক্রি কমেছে, তা সত্ত্বেও বন্ধ করা যায়নি। কালীপুজোর দু’তিনদিন আগে থেকেই শব্দ-দাপটে কান ঝালাপালা হচ্ছে। একে তো আতসবাজির ধোঁয়ায় প্রাণ অস্থির, তার উপরে শব্দবাজির দাপটে কষ্ট আরও বেড়েছে বাড়ির বয়স্কদের। যাঁদের হার্টের রোগ, সিওপিডি, হাঁপানি বা নানা রকম অসুখ আছে, তাঁদের যন্ত্রণা আরও বেশি। তাই এই সময়টাতে প্রবীণদের বিশেষ খেয়াল রাখা দরকার। নিয়মের তোয়াক্কা না করে বয়স্করা অনেকেই এ দিন উপোস রাখেন, কেউ কেউ বেশি মিষ্টি খেয়ে ফেলেন, সে দিকেও সতর্ক নজর রাখতে হবে। উৎসব নিরাপদে পালন করতে হলে স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখাও জরুরি।

Advertisement

বাজির ধোঁয়া থেকে সাবধান

আলোর বাজিও না পোড়ানোই ভাল বয়স্কদের। বিশেষ করে হার্টের রোগ বা হাঁপানির সমস্যা থাকলে, অ্যালার্জি জনিত ব্যাধি বা নিউমোনিয়ার ধাত থাকলে, বাজি থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়। সম্ভব হলে বাড়িতেই সার্জিক্যাল মাস্ক পরিয়ে রাখুন বয়স্কদের। যেখানে বাজি পোড়ানো হচ্ছে, সেখানে না যাওয়াই ভাল। সিওপিডি থাকলে হাতের কাছে রাখতে হবে প্রয়োজনীয় ইনহেলার। ঘণ্টা দুয়েক অন্তর দু’বার টেনে নিতে হবে।

শব্দ থেকে বাঁচতে

ঘরের দরজা-জানলা বন্ধ রাখুন। যদি এলাকায় বা বাড়ির আশপাশে বেশি বাজি ফাটে, তা হলে বয়স্কদের কানে ইয়ার প্লাগ লাগিয়ে রাখুন। ৮০ ডেসিবেলের উপর শব্দ একটানা শুনতে থাকলে কানের মারাত্মক ক্ষতি হবে। হার্টের রোগ থাকলে বাজির তীব্র শব্দ বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। এতে যেমন কানের ক্ষতি হবে, তেমনই প্রভাব পড়বে হার্টেও। বুক ধড়ফড় করা, মাথা ঘোরার মতো উপসর্গ দেখা দেবে। সম্ভব হলে বয়স্কদের এমন জায়গায় রাখুন যেখানে বাজির শব্দ কম পৌঁছবে।

উপোস করলে নিয়ম মানুন

কালীপুজোর দিনে নির্জলা উপোস রাখেন বহু প্রবীণ। আর তার পরেই বিভিন্ন রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। শরীরে জলশূন্যতার লক্ষণও ফুটে ওঠে। তাই বিশেষ ভাবে সাবধান থাকতে হবে। এই বিষয়ে চিকিৎসক অরুণাংশু তালুকদারের পরামর্শ, বয়স্কদের কারও আলসার বা লিভারের কোনও রোগ থাকলে, উপোস করা একেবারেই চলবে না। বরং ঘণ্টায় ঘণ্টায় গ্লুকোজ মেশানো জল খেতে হবে। ডাবের জল খেলেও শরীরে জলের ঘাটতি হবে না। সুগার বা প্রেসারের ওষুধ কোনও ভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না।

বেশি মিষ্টি দেবেন না

কালীপুজোর দিন মিষ্টি খেতে চাইবেনই বয়স্করা। মিষ্টি খেলেও দিনে দু’টির বেশি নয়। ভাজা মিষ্টি না খাওয়াই ভাল। মিষ্টি খেলে সে দিন দুধ দিয়ে চা বা কফি খাবেন না। বরং দারচিনি, লবঙ্গ, আদা দিয়ে লিকার চা খাওয়া ভাল। সকালে খালি পেটে মিষ্টি খাবেন না, এতে রক্তে শর্করা হঠাৎ করে বেড়ে যেতে পারে। মিষ্টি খেতে হলে দুপুরে খাওয়ার পরেই খাওয়াই ভাল। রাতেও মিষ্টি খাওয়া চলবে না।

Advertisement
আরও পড়ুন