বলিউডের এক যুগের অবসান। মারা গেলেন বলিউডের ‘হি-ম্যান’ ধর্মেন্দ্র। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স ছিল ৯০ বছর। কয়েক দিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। মৃত্যুর মুখ থেকে কয়েক বার ফিরে এলেও এই যাত্রায় আর জয় হল না ‘শোলে’র বীরুর।
ছ’দশক ধরে অভিনয়জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ধর্মেন্দ্র। ৩০০টির বেশি ছবিতে অভিনয়ও করেছিলেন। তাঁর কেরিয়ারের ঝুলিতে রয়েছে বহু সফল হিন্দি ছবি। তবে, ইন্ডাস্ট্রিতে এই যাত্রা খুব একটা সহজ ছিল না। অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে মুম্বই গিয়েছিলেন তিনি। তবে, স্বপ্নপূরণের পথে অর্থাভাবের সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে।
১৯৩৫ সালের ডিসেম্বর মাসে লুধিয়ানার নাসরালি গ্রামে জন্ম ধর্মেন্দ্রের। তাঁর বাবা ছিলেন স্কুলের প্রধানশিক্ষক। তিনি চাইতেন, ছেলে পড়াশোনা নিয়েই এগিয়ে যাক। কিন্তু পড়াশোনার চেয়েও সিনেমা নিয়ে বেশি মনোযোগী হয়ে পড়েছিলেন ধর্মেন্দ্র।
১৯৪৮ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় দিলীপ কুমার অভিনীত ‘শহীদ’। ধর্মেন্দ্র তখন দশম শ্রেণির ছাত্র। ‘শহীদ’ ছবিতে দিলীপ কুমারের অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। দিলীপ কুমারের অভিনয় তাঁকে এতটাই অনুপ্রাণিত করেছিল যে, অভিনয়কেই পেশা হিসাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন তিনি।
চোখে অভিনেতা হওয়ার অফুরান স্বপ্ন ছিল ধর্মেন্দ্রের। তবে পরিবারের অর্থকষ্টের কারণে সেই স্বপ্ন থেকে ক্রমাগত দূরে সরে যাচ্ছিলেন তিনি। পড়াশোনা শেষ করার পর কম বয়সেই পরিবারের দায়িত্ব এসে পড়েছিল ধর্মেন্দ্রের কাঁধে। রেলের কেরানির পদে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। মাসিক বেতন ছিল ১২৫ টাকা। কিন্তু চাকরিতে মন বসত না তাঁর।
ঘড়িবাঁধা সময়ের চাকরি নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না ধর্মেন্দ্র। তিনি যে অভিনেতা হতে চান, সে কথা ধর্মেন্দ্র তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন। তাঁর মা-ই স্বপ্নপূরণ করার জন্য সাহস জুগিয়েছিলেন। জনপ্রিয় পত্রিকা দ্বারা আয়োজিত ‘নিউ ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ নামের জাতীয় স্তরের এক প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র।
অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে চাকরি ছেড়ে লুধিয়ানা থেকে মুম্বই চলে গিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। কাজের জন্য পরিচালকদের দোরে দোরে ঘুরে বেড়াতে হত তাঁকে। অধিকাংশ দিন খাওয়ার টাকাও থাকত না ধর্মেন্দ্রের কাছে। অভিনয়ের কোনও সুযোগ না পেয়ে তিনি পঞ্জাব ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত প্রায় নিয়েই ফেলেছিলেন।
ধর্মেন্দ্রের কেরিয়ারের কঠিন সময়ে বলিউডের কয়েক জন অভিনেতা তাঁকে সাহায্য করেছিলেন। শোনা যায়, বলিপাড়ার এক পরিচালকের সঙ্গে ট্যাক্সিতে চেপে এক জায়গায় যাচ্ছিলেন ধর্মেন্দ্র। কিন্তু তাঁর পকেটে ট্যাক্সির ভাড়া মেটানোর মতো টাকা ছিল না। অন্য দিকে, সেই পরিচালকও নামার সময় ধর্মেন্দ্রের ভাড়া দিতে অস্বীকার করেছিলেন। সেই সময়ে বলি অভিনেতা শশী কপূর ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার করেছিলেন ধর্মেন্দ্রকে। ট্যাক্সির ভাড়া মিটিয়ে দিয়ে খাওয়ানোর জন্য ধর্মেন্দ্রকে নিজের বাড়িতেও নিয়ে গিয়েছিলেন শশী।
বলি অভিনেতা মনোজ কুমারও উৎসাহ দিতেন ধর্মেন্দ্রকে। লক্ষ্যে পৌঁছোনোর জন্য তাঁকে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন মনোজ। ধর্মেন্দ্রের জীবনে নাকি এমন সময়ও এসেছিল যখন তাঁর জামাকাপড় কেনার টাকাও ছিল না। বলিউডের গুঞ্জন, মনোজ নাকি তাঁকে জামাকাপড় কেনার টাকা দিয়েছিলেন।
জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়ার পর মায়ানগরীর দরজা খুলে গিয়েছিল ধর্মেন্দ্রের সামনে। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিযোগিতার পরেই একটি ছবির নায়ক হওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু দীর্ঘ সময় কেটে যাওয়ার পরেও সেই ছবির কাজ শুরু হয়নি।
১৯৬০ সালে ‘দিল ভি তেরা হম ভি তেরে’ ছবিতে অভিনয় করে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। কিন্তু বক্স অফিসে সেই ছবি একেবারেই ব্যবসা করতে পারেনি। কেরিয়ার শুরুর প্রথম পাঁচ বছর ধর্মেন্দ্রের ভাগ্যে শিকে ছেঁড়েনি। ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত ২০টির বেশি ছবিতে অভিনয় করে ফেলেছিলেন তিনি। কিন্তু কোনও ছবিই বক্স অফিসে তেমন সফল হয়নি।
১৯৬৬ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল ‘ফুল অউর পত্থর’। ধর্মেন্দ্রের সঙ্গে এই ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল মীনা কুমারীকে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর ধর্মেন্দ্রের ছবি বক্স অফিস থেকে ভাল উপার্জন করেছিল। তার পর থেকেই ধর্মেন্দ্রের কেরিয়ার উপরের দিকে চড়তে শুরু করে।
‘ফুল অউর পত্থর’ মুক্তি পাওয়ার পর একে একে ‘সত্যকাম’, ‘শোলে’, ‘আঁখে’, ‘কর্তব্য’-এর মতো হিন্দি ছবিতে অভিনয় করে প্রশংসা অর্জন করতে শুরু করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। বলিউডের ‘হি-ম্যান’-এর তকমাও পেয়েছিলেন তিনি। সত্তর থেকে আশির দশকের মধ্যে বলিপাড়ার সর্বোচ্চ উপার্জনকারী অভিনেতাদের তালিকায় নাম লিখিয়ে ফেলেছিলেন ধর্মেন্দ্র।
বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায়, একটি জামা নাকি ভাগ্য ফিরিয়েছিল ধর্মেন্দ্রের। সেই জামা পরে পর পর তিনটি ছবিতে অভিনয়ও করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। তিনটি ছবিই বক্স অফিসে সুপারহিট হয়েছিল।
১৯৬৮ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল ‘মেরে হমদম মেরে দোস্ত’। এই ছবিতে শর্মিলা ঠাকুরের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন ধর্মেন্দ্র। এই ছবিতে ‘চলো সজনা জহাঁ তক ঘটা চলে’ গানটিতে শর্মিলার সঙ্গে রোমান্স করতে দেখা গিয়েছিল ধর্মেন্দ্রকে।
পরের বছর ১৯৬৯ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল ‘আয়া সাওন ঝুম কে’। এই ছবিতে আশা পারেখের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। ছবিতে ‘সাথিয়া নহীঁ জানা’ রোম্যান্টিক গানের দৃশ্যে আশার সঙ্গে ধর্মেন্দ্রের রসায়ন ছিল প্রশংসাযোগ্য।
‘আয়া সাওন ঝুম কে’ মুক্তি পাওয়ার এক বছর পর ১৯৭০ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল ‘জীবন মৃত্যু’। এই ছবিতে রাখীর সঙ্গে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল ধর্মেন্দ্রকে। ‘জীবন মৃত্যু’ ছবিতে ‘ঝিলমিল সিতারোঁ কা’ গানের দৃশ্যে রাখীর সঙ্গে রোমান্স করেছিলেন ‘হি-ম্যান’। তিনটি ছবিতেই নায়িকার বদল হলেও পরনের জামা বদলাননি ধর্মেন্দ্র।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, ১৯৬৮ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত মুক্তি পাওয়া তিনটি ছবির গানের দৃশ্যে হলুদ রঙের স্ট্রাইপ দেওয়া একটি জামা পরেছিলেন ধর্মেন্দ্র। এই জামাটি ধর্মেন্দ্রের সৌভাগ্য বহনকারী।
বলিপাড়ায় কেরিয়ার শুরুর আগে মাত্র ১৯ বছর বয়সে ১৯৫৪ সালে প্রকাশ কৌরকে বিয়ে করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। বিয়ের পর দুই পুত্র (সানি দেওল, ববি দেওল) এবং দুই কন্যার (বিজেতা, অজীতা) জন্ম দিয়েছিলেন প্রকাশ।
প্রথম স্ত্রীকে বিবাহবিচ্ছেদ না দিয়েই দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। বহু বছর সম্পর্কে থাকার পর ১৯৮০ সালের মে মাসে হেমা মালিনীকে বিয়ে করেছিলেন অভিনেতা। ধর্মেন্দ্র-হেমার প্রথম ছবি ‘তুম হাসীন ম্যায়ঁ জওয়ান’ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৭০ সালে। ক্যামেরার সামনে প্রেম করতে করতে বাস্তবেই একে অপরের প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন দুই তারকা।
সত্তরের দশকে ধর্মেন্দ্র এবং হেমা, দু’জনেই কেরিয়ারের শীর্ষে। পর্দার বাইরেও সে সময় তাঁদের প্রেমের রসায়ন তুঙ্গে। ‘শরাফত’, ‘নয়া জ়মানা’, ‘সীতা অউর গীতা’, ‘দোস্ত’, ‘জুগনু’, ‘আজ়াদ’, ‘দিল্লাগি’, ‘শোলে’র মতো একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তাঁরা। হেমা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, প্রথম দেখাতেই তিনি বুঝে গিয়েছিলেন যে, ধর্মেন্দ্র তাঁর মনের মানুষ। ধর্মেন্দ্রের সঙ্গেই সারা জীবন কাটাতে চান তিনি। কিন্তু ধর্মেন্দ্র তখন বিবাহিত এবং চার সন্তানের পিতা।
কানাঘুষো শোনা যায়, ধর্মেন্দ্রকে মনে মনে ভালবেসে ফেললেও হেমা তাঁর প্রতি নিজের আবেগ প্রকাশ করতেন না। পরে দু’জনের সম্পর্ক আরও গাঢ় হওয়ার পর ধর্মেন্দ্রকে মনের কথা জানিয়েছিলেন হেমা। কিন্তু এই সম্পর্কের ভবিষ্যতের কথা ভেবে আপত্তি জানিয়েছিলেন হেমার বাবা-মা।
বলিপাড়ার জনশ্রুতি, হেমাকে এক বার প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন বলি অভিনেতা সঞ্জীব কুমার। কিন্তু নায়িকা সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় মন ভেঙে গিয়েছিল সঞ্জীবের। ‘শোলে’ ছবির সেটে দেখা হওয়ায় আবার হেমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন সঞ্জীব। সেই সময়ে ধর্মেন্দ্রের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন হেমা। সে কারণে ধর্মেন্দ্রের রোষের কবলেও পড়েছিলেন নায়ক।
বলিউডের গুঞ্জন, সঞ্জীবের বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে ‘শোলে’র পরিচালক রমেশ সিপ্পির কাছে গিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। ‘শোলে’ ছবিতে সঞ্জীব এবং হেমার একসঙ্গে কোনও দৃশ্য যেন না থাকে, সেই আবদারও করেছিলেন অভিনেতা। এমনকি, বলি অভিনেতা জীতেন্দ্রের সঙ্গেও নাকি বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছিল হেমার। মদ্যপ অবস্থায় সেই অনুষ্ঠানবাড়িতে গিয়ে অশান্তি করে হেমা-জীতেন্দ্রের বিয়ে ভেঙে দিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র।
১৯৮০ সালে হেমাকে বিয়ে করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। বিয়ের এক বছর পর ১৯৮১ সালে প্রথম কন্যাসন্তান ঈশা দেওলের জন্ম দিয়েছিলেন হেমা। তার চার বছর পর ১৯৮৫ সালে জন্ম দ্বিতীয় কন্যাসন্তান অহনা দেওলের।
বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ধর্মেন্দ্রের পুত্র-কন্যারাও বলিপাড়ায় কেরিয়ার গড়ে তুলেছিলেন। তবে, দেওল পরিবারকে নাকি বলিউড সবসময় কোণঠাসা করে রাখে বলে ধর্মেন্দ্রের দাবি। দেওল পরিবারের কোনও সদস্য সফল হলে তাঁদের নিয়ে কোনও আলোচনা করা হয় না বলে দাবি করেছিলেন অভিনেতা।
নিজের অভিজ্ঞতার উল্লেখ করে ধর্মেন্দ্র জানিয়েছিলেন, ১৯৬৯ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল ‘সত্যকাম’ ছবিটি। ধর্মেন্দ্রের বিপরীতে এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন শর্মিলা ঠাকুর। ছবি বিশেষজ্ঞদের মতে, ধর্মেন্দ্রের কেরিয়ারে সেরা ছবি ‘সত্যকাম’। কিন্তু এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য বলিপাড়া থেকে কোনও সম্মান পাননি ধর্মেন্দ্র। এমনকি, কোনও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও দেওল পরিবারের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয় না বলে দাবি করেছিলেন অভিনেতা।
১৯৮৩ সালে নিজের প্রযোজনা সংস্থা খুলেছিলেন ধর্মেন্দ্র। ২০০৪ সালে ভারতীয় জনতা পার্টির তরফ থেকে রাজস্থানের বিকানেরে ভোটে দাঁড়িয়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন অভিনেতা। ২০১২ সালে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করা হয়েছিল তাঁকে।
শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ধর্মেন্দ্র। তখন থেকেই তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল বলিউড। শাহরুখ খান, সলমন খান, অমীষা পটেলের মতো বলি তারকারা হাসপাতালে ধর্মেন্দ্রকে দেখতেও গিয়েছিলেন।
হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন ধর্মেন্দ্রের মৃত্যুর ভুয়ো খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় হেমা-ঈশা তাঁদের সমাজমাধ্যমে সত্য জানিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন। ধর্মেন্দ্র চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন বলেও জানান তাঁরা। দিন কয়েক আগে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরেন অভিনেতা। বাড়িতেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। ডিসেম্বর মাসে ৯০ বছর পূর্ণ হওয়ার কথা ছিল ধর্মেন্দ্রের। জন্মদিনের আগেই প্রয়াত হলেন তিনি।
সব ছবি: আনন্দবাজার আর্কাইভ।