কথায় আছে, ‘বিপদের বন্ধুই সত্যিকারের বন্ধু’। সেই প্রবাদ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে চলেছে ইজ়রায়েল। কার্গিল যুদ্ধ থেকে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা, যখনই চক্রব্যূহে আটকা পড়েছে ভারত, তখনই পরিত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে পশ্চিম এশিয়ার এই ইহুদিভূমি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুল্ক নিয়ে ‘রণং দেহি’ ভাব দেখানোয় ফের এক বার সেই দৃশ্যেরই পুনরাবৃত্তি দেখছে বিশ্ব। কারণ, সঙ্কটকালে নয়াদিল্লি আসার কথা ঘোষণা করেছেন ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
এ দেশের সাবেক সেনাকর্তাদের অধিকাংশই আরব দুনিয়ার ইহুদি রাষ্ট্রটিকে ভারতের ‘সব আবহাওয়ার বন্ধু’ (পড়ুন অল ওয়েদার ফ্রেন্ড) বলে মনে করেন। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা— পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, নয়াদিল্লির পাশে দাঁড়াতে কখনওই দ্বিধা করেনি তেল আভিভ। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, প্রতিরক্ষার পাশাপাশি এখানকার কৃষি ও অন্যান্য প্রযুক্তিগত পরিকাঠামো উন্নয়নেও বড় ভূমিকা নিয়েছে ইজ়রায়েল। যদিও ইহুদিদের দেশটি তৈরির সময়ে রাষ্ট্রপুঞ্জে প্যালেস্টাইনের পক্ষে ভোট দিয়েছিল সদ্য স্বাধীন ভারত।
১৯৪৮ সালের ১৪ মে দেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশের ঠিক পরেই ইজ়রায়েলকে দেশ হিসাবে মান্যতা দেয়নি নয়াদিল্লি। যদিও ১৯৫০ সালে সেই অবস্থান থেকে সরে আসেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু। ইহুদিভূমিকে রাষ্ট্র হিসাবে মেনে নেয় তাঁর সরকার। যদিও দু’তরফে কোনও কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়নি। তা সত্ত্বেও ১৯৬২ সালে চিন-ভারত যুদ্ধে নয়াদিল্লিকে গোলা-বারুদ দিয়ে সাহায্য করতে পিছপা হয়নি ইজ়রায়েল।
’৬২-তে আচমকা চিনা লালফৌজ লাদাখ ও উত্তর-পূর্বের সীমান্ত দিয়ে আক্রমণ শানালে খানিকটা দিশেহারা হয়ে পড়েন নেহরু। সেই সময়ে ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ডেভিড বেন-গুরিয়ন। তড়িঘড়ি চিঠি পাঠিয়ে তাঁর কাছে হাতিয়ার ও গোলা-বারুদ চেয়ে পাঠান তিনি। কালবিলম্ব না করে জাহাজবোঝাই অস্ত্র ভারতে পাঠিয়েছিলেন বেন-গুরিয়ন। যদিও, তত দিনে একতরফা ভাবে সংঘর্ষবিরতি জারি করে দেয় বেজিং। ফলে সেগুলি রণাঙ্গনে আর ব্যবহার করতে হয়নি ভারতীয় ফৌজকে।
১৯৭১ সালের ‘বাংলাদেশ যুদ্ধ’-এ খোলাখুলি ভাবে আমেরিকার সমর্থন ছিল পাকিস্তানের দিকে। তার পরেও নানা ভাবে নয়াদিল্লিকে সমর্থন জুগিয়ে গিয়েছিল পশ্চিম এশিয়ার ইহুদি সরকার। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী কিন্তু ছিলেন প্যালেস্টাইনের একনিষ্ঠ সমর্থক। ১৯৭৪ সালে ইয়াসের আরাফাত নেতৃত্বাধীন ‘প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজ়েশন’ বা পিএলও-কে স্বীকৃতি দেন তিনি। ঠিক তার পরের বছর নয়াদিল্লিতে একটি দফতর খোলার অনুমতি পায় তাঁরা।
১৯৯২ সালে পশ্চিম এশিয়ার নীতিতে বড় বদল আনেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিংহ রাও। ওই বছর ইজ়রায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেন তিনি। মাত্র সাত বছরের মধ্যে তার প্রতিদান দিয়েছিল তেল আভিভ। ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের সময়ে পাহাড়ের উপরে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকা পাক ফৌজের অবস্থান জানতে আমেরিকার দ্বারস্থ হয় ভারত। এর জন্য ওয়াশিংটনের কাছে প্রযুক্তিগত সহায়তা চেয়েছিল নয়াদিল্লি। কিন্তু, সেটা দিতে অস্বীকার করে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে হারানো জমি পুনরুদ্ধারে ‘অপারেশন বিজয়’ শুরু করে বিপাকে পড়ে এ দেশের সেনা।
সেই সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে এগিয়ে এসে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় ইহুদিভূমি। ভারতীয় বিমানবাহিনীকে ‘পেভওয়ে টু’ নামের একটি লেজ়ার গাইডেড বোমা সরবরাহ করে তেল আভিভ। ফ্রান্সের তৈরি ‘মিরাজ়-২০০০’ লড়াকু জেট থেকে এটি পাক সৈনিকদের নিশানা করে ছোড়া হয়। সাবেক সেনাকর্তাদের দাবি, এতেই রাতারাতি লড়াইয়ের রং বদলে গিয়েছিল। দ্রুত টাইগার হিল, বাটালিক এবং তোলোলিং পুনর্দখল করতে সক্ষম হয় ভারতীয় বাহিনী।
লেজ়ার গাইডেড বোমার পাশাপাশি কার্গিল যুদ্ধের সময়ে মর্টার এবং গোলা-বারুদ দিয়ে ভারতীয় ফৌজকে সাহায্য করে ইজ়রায়েল। যুদ্ধ শেষের ঠিক পরের বছর (পড়ুন ২০০০ সাল) ইহুদিভূমিতে দ্বিপাক্ষিক সফরে যান তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী যশোবন্ত সিংহ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবাণী। ওই বছরই নয়াদিল্লির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ‘বারাক-১’ ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে সম্মত হয় তেল আভিভ।
২০০৩ সালে প্রথম ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ভারত সফর করেন এরিয়েল শ্যারন। তাঁর উপ-প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইয়োসেফ ল্যাপিড। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বড় মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ‘‘আমরা নয়াদিল্লির হাতিয়ারের দ্বিতীয় বৃহত্তম সরবরাহকারী।’’ ২০০১ সালে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় গুজরাটের ভুজ। ওই দুর্যোগের পাঁচ বছরের মাথায় পশ্চিম এশিয়ার ইহুদি মুলুকটিতে পা রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তখন অবশ্য গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি।
২০০৬ সালে একটি কৃষি প্রদর্শনীতে অংশ নিতে ইজ়রায়েল সফর করেন মোদী। পরবর্তী কালে ভুজ এলাকায় চাষের উন্নতির জন্য ইহুদি প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেন তিনি। এতে গুজরাটি কৃষকদের সাফল্য ছিল নজরকাড়া। এর পর ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও ফসলের উৎপাদন বাড়াতে ইজ়রায়েলি কৌশলের ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয়। ফলে দুই দেশের কাছাকাছি আসা অনেক বেশি সহজ হয়েছিল।
২০১৯ সালের ৫ অগস্ট সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫এ ধারা প্রত্যাহার করে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। ফলে বিশেষ মর্যাদার সুবিধা হারায় জম্মু-কাশ্মীর। শুধু তা-ই নয়, রাজ্যের বদলে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভেঙে যায় ভূস্বর্গ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক চাপ তৈরির চেষ্টা করে পাকিস্তান। সেই সময়েও ইজ়রায়েলের সমর্থন ছিল ভারতের দিকে। নয়াদিল্লির সঙ্গে সুর মিলিয়েই তেল আভিভ একে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে উল্লেখ করেছিল।
২০১৯ সালে ইজ়রায়েলের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর হাইফা অধিগ্রহণ করেন ধনকুবের ভারতীয় শিল্পপতি গৌতম আদানি। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু একে ‘মাইলফলক’ বলে উল্লেখ করেন। ২০২৩ সালে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ারে কারচুপির অভিযোগ তোলে মার্কিন সংস্থা ‘হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ’। ওই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ভারতীয় শেয়ার বাজারে নামে ধস। পাশাপাশি, এই ইস্যুতে বিরোধীদের কড়া সমালোচনার মুখে পড়েন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।
‘হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ’-এর রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর আমেরিকার চাপে আদানিদের সঙ্গে হাইফা সমুদ্র বন্দরের চুক্তি ইজ়রায়েল বাতিল করবে বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু, বাস্তবে সেটা হয়নি। উল্টে গোটা বিষয়টিকেই ‘চক্রান্ত’ বলে উড়িয়ে দেন ইহুদি কূটনীতিকেরা। ফলে সাময়িক লোকসান সামলে ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে শিল্পপতি আদানির তেমন সমস্যা হয়নি। বিরাট ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিল ভারতের অর্থনীতিও।
চলতি বছরের ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের বৈশরন উপত্যকার পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান পর্যটক-সহ মোট ২২ জন। সবার আগে সংশ্লিষ্ট ঘটনার কড়া নিন্দা করে বিবৃতি জারি করে ইজ়রায়েল। একে ‘ইসলামীয় সন্ত্রাসবাদ’ বলতে দু’বার ভাবেনি নেতানিয়াহুর সরকার। পাশাপাশি, ‘জঙ্গি রাষ্ট্র’ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সব রকমের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
গত মে মাসে পহেলগাঁও-কাণ্ডের বদলা নিতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীর বা পিওজ়েকের (পাকিস্তান অকুপায়েড জম্মু-কাশ্মীর) একাধিক সন্ত্রাসী ক্যাম্পে আঘাত হানে ভারতীয় ফৌজ, যার পোশাকি নাম রাখা হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। সঙ্গে সঙ্গে জঙ্গিদের বাঁচাতে পাল্টা ড্রোন ও লড়াকু জেট নিয়ে ময়দানে নেমে পড়ে ইসলামাবাদ। রাওয়ালপিন্ডির সেনাকর্তাদের সেই সমস্ত আক্রমণ প্রতিহত করে পাক বিমানবাহিনীর একাধিক ঘাঁটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় উড়িয়ে দেয় নয়াদিল্লি।
‘অপারেশন সিঁদুর’-এ নিজেদের জাত চিনিয়েছে একাধিক ইজ়রায়েলি হাতিয়ার। তার মধ্যে রয়েছে ‘বারাক-৮’ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, ‘হারপি’ ও ‘হেরপ’ আত্মঘাতী ড্রোন। ইহুদিদের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তৈরি মানববিহীন উড়ুক্কু যানে পাক বায়ুসেনা ঘাঁটির চিনা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে সক্ষম হয় এ দেশের সেনা। ফলে সংঘাতের সময়ে একরকম ‘অন্ধ’ হয়ে গিয়েছিল ইসলামাবাদের বাহিনী।
সম্প্রতি, একগুঁয়ে মনোভাব দেখিয়ে ভারতের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ শুরু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নয়াদিল্লির পণ্যে সব মিলিয়ে ৫০ শতাংশ কর বসিয়েছেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, ভারতের সঙ্গে সংঘাতের আবহে ইসলামাবাদের সঙ্গে সখ্য বাড়াচ্ছে ওয়াশিংটন। অগস্টে পাক সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের আমেরিকায় যাওয়ার কথা রয়েছে। মাত্র দু’মাসের মধ্যে যা তাঁর দ্বিতীয় যুক্তরাষ্ট্রীয় সফর হতে যাচ্ছে।
এ বছরের অগস্টের শেষে অবসরগ্রহণ করছেন মার্কিন সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের শীর্ষ ফৌজি আধিকারিক জেনারেল মাইকেল কুরিল্লা। তাঁর বিদায় সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছেন ফিল্ড মার্শাল মুনির। সূত্রের খবর, এই সফরে আমেরিকার কাছে অত্যাধুনিক ‘টার্মিনাল হাই অল্টিটিউড এরিয়া ডিফেন্স’ বা থাড আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চাইতে পারেন তিনি। ট্রাম্প সরকার সেটা মঞ্জুর করলে চিন্তা বাড়বে ভারতের।
সংবাদসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুল্কযুদ্ধের আবহে আমেরিকার থেকে হাতিয়ার এবং সামরিক বিমান কেনার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে নয়াদিল্লি। বাতিল হয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের মার্কিন সফরও। এই পরিস্থিতিতে ৮ অগস্ট ভারতীয় রাষ্ট্রদূত জেপি সিংহের সঙ্গে জেরুসালেমে নিজের দফতরে দীর্ঘ বৈঠক করেন ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। সেখানেই তাঁর ভারত সফরে আসার সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এই ইস্যুতে এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্ট করে নেতানিয়াহুর দফতর। সেখানে বলা হয়ছে, ‘‘দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত সম্পর্ক, বিশেষত প্রতিরক্ষা এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক বিষয় নিয়ে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।’’ অন্য দিকে ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘আমরা মাঠে নয়, যুদ্ধের ময়দানে হাতিয়ারের পরীক্ষা করি। আর তাই সেগুলি দারুণ কাজ করেছে।’’
বিশেষজ্ঞদের দাবি, বর্তমানে সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে নেতানিয়াহুর ভারত সফর গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। মার্কিন অস্ত্র পাক সেনাবাহিনী হাতে পাওয়ার আগেই অত্যাধুনিক হাতিয়ার নয়াদিল্লির হাতে তুলে দিতে পারেন তিনি। পাশাপাশি, শুল্কযুদ্ধের মধ্যে এ দেশের পণ্যের জন্য খুলতে পারে ইহুদিভূমির বাজার। তা ছাড়া ট্রাম্পের মতবদলে উদ্যোগী হতে পারেন নেতানিয়াহু। কারণ, আমেরিকার ঘরোয়া রাজনীতিতে যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে ইজ়রায়েল ও ইহুদিদের।
সব ছবি: সংগৃহীত।