Relationship of Trudeau and Katy Perry

গালে গাল ঠেকিয়ে আদুরে ছবি পোস্ট করে সম্পর্কে সিলমোহর! কী ভাবে সম্পর্কে জড়ালেন কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও পপ গায়িকা?

গত ৫ ডিসেম্বর কেটি তাঁর জাপান সফরের একগুচ্ছ ছবি ও ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে প্রকাশ্যে এনেছেন। তাতে ধরা দিয়েছেন কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও রাজনীতিবিদ ট্রুডোও।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৩:৫১
০১ ১৬
relationship of Trudeau and Katy Perry

অবসান হল সমস্ত জল্পনা, ফিসফাস ও কানাঘুষোর। অবশেষে নিজেদের প্রেমের সম্পর্কে সিলমোহর দিলেন জাস্টিন ট্রুডো ও কেটি পেরি। সমাজমাধ্যম ইনস্টাগ্রামের পাতায় ছবি দিয়ে এই জুটি ঘোষণা করলেন তাঁদের প্রেমজীবনের ইতিবৃত্ত। বিশ্বখ্যাত পপ গায়িকা ও কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর প্রেম নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছিল বিভিন্ন মহলে। ২০২৫ সালের মাঝবরাবর তাঁদের প্রেমের গুঞ্জন শুরু হয়।

০২ ১৬
relationship of Trudeau and Katy Perry

কেটির পরনে কালো রঙের সংক্ষিপ্ত সাঁতার-পোশাক। চুল মাথার উপরে চুড়ো করে বাঁধা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ঊর্ধ্বাঙ্গ উন্মুক্ত। নিম্নাঙ্গে ডেনিমের ট্রাউজ়ার। চলতি বছরের অক্টোবরে ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা বারবারায় এক বিলাসবহুল প্রমোদতরণীতে দেখা মিলেছে জুটির। সাগরের মাঝে চুম্বনরত অবস্থায় তাঁরা ধরা দিয়েছেন ক্যামেরায়।

০৩ ১৬
relationship of Trudeau and Katy Perry

ছবিতে দেখা গিয়েছে, জাস্টিনের গলা জড়িয়ে তাঁকে চুম্বন করছেন কেটি। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীও জড়িয়ে রয়েছেন পপ গায়িকাকে। গাল স্পর্শ করেছেন তাঁর। এই ছবি সমাজমাধ্যমে ঝড় তুলেছে। ছবিশিকারিদের ক্যামেরাবন্দি হতেই তা ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়েছিল সমাজমাধ্যমে।

Advertisement
০৪ ১৬
relationship of Trudeau and Katy Perry

প্রমোদতরীতে দু’জন পরস্পরের উষ্ণ সান্নিধ্য উপভোগ করছিলেন। লোকচক্ষুর অন্তরালে ঘনিষ্ঠ হতে গিয়েও ধরা পড়ে যান এই তারকাজুটি। তার পর থেকেই আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও সমাজমাধ্যম জুড়ে আলোচনার বিষয় ছিলেন ট্রুডো ও কেটি।

০৫ ১৬
relationship of Trudeau and Katy Perry

চলতি বছরের জুলাইয়ে নাকি তাঁদের প্রথম সাক্ষাৎ। একান্তে নৈশভোজ সেরেছিলেন কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ও পপ গায়িকা। ৮ জুলাই, সোমবার মনট্রিলের ল প্ল্যাটোর এক স্থানীয় রেস্তরাঁ ‘ল ভিওলোন’-এ সময় কাটাতে দেখা গিয়েছিল ট্রুডো এবং মার্কিন পপতারকা কেটিকে। নৈশভোজের সঙ্গে একান্ত অভিসার। সেই অভিসারও অগোচরে ছিল না সংবাদমাধ্যমের। গোপন ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল রেঁস্তরার টেবিলে মুখোমুখি বসে থাকা জাস্টিন আর কেটির অন্তরঙ্গ মুহূর্ত।

Advertisement
০৬ ১৬
relationship of Trudeau and Katy Perry

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন সূত্রের খবর, জাস্টিনের সঙ্গে দেখা করবেন বলে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে প্রায় পাঁচ হাজার কিলোমিটার পথ উজিয়ে কানাডার মনট্রিলে হাজির হয়েছিলেন কেটি। ‘ডিনার ডেট’ চলাকালীন প্রায় পুরো সময়টা কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং মার্কিন পপতারকার মুখের ভাবভঙ্গিতে প্রকাশ হচ্ছিল উচ্ছল খুশির ভাব।

০৭ ১৬
relationship of Trudeau and Katy Perry

গত ৫ ডিসেম্বর কেটি তাঁর জাপান সফরের একগুচ্ছ ছবি ও ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে প্রকাশ্যে এনেছেন। আর তাতে ধরা দিয়েছেন কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং রাজনীতিবিদ ট্রুডোও। জাপান সফরে তাঁদের একান্ত ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি বিশ্ববাসীর সঙ্গে ভাগ করে নিয়ে সম্পর্কের গুঞ্জনে সিলমোহর দিয়েছেন দু’জনেই। এত দিন যা ছিল শুধুই গুঞ্জন, জাপান সফরে তা প্রকাশ পেল পূর্ণাঙ্গ রূপে।

Advertisement
০৮ ১৬
relationship of Trudeau and Katy Perry

জুলাই ও অক্টোবরের মতো গোপন সাক্ষাৎ নয়। জাপানের রাস্তায় একে অপরের গালে গাল ঠেকিয়ে তোলা আদুরে ছবি। আবার একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে একসঙ্গে সুশি খাচ্ছেন দু’জনে। ‘টোকিয়ো টাইমস অন ট্যুর অ্যান্ড মোর’ শিরোনামে কেটির ভিডিয়ো ও ছবিগুলি তুলে ধরেছে নতুন জুটির সম্পর্কের উষ্ণতা।

০৯ ১৬
relationship of Trudeau and Katy Perry

জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদা এবং তাঁর স্ত্রী ইউকোর আমন্ত্রণে কেটিকে নিয়ে ট্রুডো হাজির হয়েছিলেন কূটনৈতিক এক ভোজে। সেখানে কেটি, কিশিদা ও ইউকোর সঙ্গে তোলা একটি ছবি ট্রুডো নিজেও শেয়ার করেছেন তাঁর এক্স হ্যান্ডলে। সেখানে কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে লিখেছেন, ‘‘আপনার এবং ইউকোর সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পেয়ে কেটি এবং আমি খুব খুশি হয়েছি।”

১০ ১৬
relationship of Trudeau and Katy Perry

বিশ্বের সুদর্শন রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে অন্যতম। বিবাহবিচ্ছিন্ন। ৫৩ বছর বয়স। স্ত্রী সোফি গ্রেগরের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটেছে ২০২৩ সালে। ১৮ বছরের বৈবাহিক সম্পর্কে ইতি টেনেছেন দু’জনে। দম্পতির রয়েছে তিন সন্তান। ট্রুডো নিজেও সমাজমাধ্যমে তাঁর আনুষ্ঠানিক বিবাহবিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেছিলেন। ২০০৫ সালের মে মাসে বিয়ে করেছিলেন ট্রুডো ও সোফি।

১১ ১৬
relationship of Trudeau and Katy Perry

বিয়ে ভাঙার কারণ নিয়ে একাধিক গুঞ্জন ভেসে বেড়িয়েছিল কানাডায়। কারও দাবি, রাজনৈতিক সহকর্মী ও প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন ট্রুডো। আবার কেউ কেউ ট্রুডোর রাজনৈতিক জীবন, একে অপরের প্রতি বিশ্বস্ত না থাকা এবং পারিবারিক চাপকেও এই বিচ্ছেদের কারণ বলে দাবি করেছিলেন।

১২ ১৬
relationship of Trudeau and Katy Perry

অন্য জন পপ দুনিয়ার প্রথম পাঁচে থাকা ‘সুপারস্টার’-এর মধ্যে অন্যতম। ডাকসাইটে সুন্দরী। হলিউডের তারকা অভিনেতা অরল্যান্ডো ব্লুমের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন কেটি। সেই সম্পর্কেও ইতি পড়েছে। এই বছরের জুন মাসে কেটি-অরল্যান্ডোর বিচ্ছেদ হয়। তাঁদের একটি পাঁচ বছরের কন্যা রয়েছে। দু’জনের বাগ্‌‌দানও হয়েছিল। অরল্যান্ডোর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর আগে রাসেল ব্র্যান্ডের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল কেটির।

১৩ ১৬
relationship of Trudeau and Katy Perry

২০০৯ সালে পপ তারকা কেটির সঙ্গে আলাপ হয় রাসেলের। এক বছরের মাথায় ২০১০ সালে ভারতে এসে গাঁটছড়া বাঁধেন যুগল। মাত্র ১৪ মাস টিকেছিল তাঁদের দাম্পত্য। ব্রিটিশ কৌতুকাভিনেতা রাসেলের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে একাধিক প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা ও এক নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ২০১২ সালে পপ তারকা কেটি পেরির সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের মাত্র পাঁচ মাসের মাথায় এক মহিলাকে ধর্ষণ করেন রাসেল ব্র্যান্ড।

১৪ ১৬
relationship of Trudeau and Katy Perry

মার্কিন গায়িকা কেটি পেরি এবং ব্রিটিশ অভিনেতা অরল্যান্ডো ব্লুমের প্রেমের সম্পর্ক চলাকালীনও বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। কেটি-অরল্যান্ডোর নগ্ন ছবি প্রকাশ্যে আসে। ইটালির এক ব্যক্তিগত দ্বীপে ছুটি কাটাতে গিয়ে পাপারাৎজ়িদের ক্যামেরায় ধরা পড়ে যান তাঁরা।

১৫ ১৬
relationship of Trudeau and Katy Perry

২০১৫ সালে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদে বসেন ট্রুডো। পর পর তিন বার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন জাস্টিন। কিন্তু তৃতীয় বার সরকারের রাশ ধরে রাখতে পারেননি। দলের মধ্যে জনপ্রিয়তা হারানোয় চলতি বছরের জানুয়ারিতেই কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। ট্রুডোর বিরুদ্ধে মন্ত্রিসভায় এবং তাঁর দলের অন্দরে অসন্তোষ প্রকট হয়ে উঠেছিল। ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে পদত্যাগ করেন কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো।

১৬ ১৬
relationship of Trudeau and Katy Perry

খলিস্তানপন্থী নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডে ভারতীয় এজেন্টদের ভূমিকা রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে তাঁর ওই মন্তব্যের জেরে ভারত-কানাডার সম্পর্কের অবনতি হয়। ট্রুডোর আমলে ভারত-কানাডা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি হলেও নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নে নয়াদিল্লির প্রতি বন্ধুত্বের বার্তাই দিয়েছেন।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও গ্যালারি