US Recession

শাটডাউনের জেরে হুহু করে বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতি, মন্দার শঙ্কায় বাড়ছে আতঙ্ক, মার্কিন অর্থনীতিতে ‘শনির সাড়েসাতি’!

শাটডাউনের মধ্যেই মার্কিন অর্থনীতিকে মন্দার পূর্বাভাস দিলেন রেটিং সংস্থা ‘এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল’-এর মুখ্য অর্থনীতিবিদ সত্যম পাণ্ডে। সে দেশের মন্দার গ্রাসে পড়ার আশঙ্কা ৩০ শতাংশ রয়েছে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৫ ০৭:৪৫
০১ ২০
Recession may hit US economy, chances are 30 percent, says rating agency S&P

‘মুডিজ় কর্পোরেশন’-এর পর এ বার ‘এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল’। মহামন্দার পূর্বাভাস দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পরিচালিত যুক্তরাষ্ট্রের সরকারকে সতর্ক করল আরও একটি রেটিং সংস্থা। গোদের উপর বিষফোড়ার মতো ইতিমধ্যেই ‘শাটডাউন’-এর গর্তে পড়ে খোঁড়াচ্ছে আমেরিকার অর্থনীতি। কবে সেখান থেকে মুক্তি মিলবে, তা স্পষ্ট নয়। এই পরিস্থিতিতে মন্দার আশঙ্কা তীব্র হওয়ায় সেখানকার আমজনতার মধ্যে ছড়িয়েছে আতঙ্ক।

০২ ২০
Recession may hit US economy, chances are 30 percent, says rating agency S&P

সম্প্রতি ‘সিএনবিসি টিভি১৮’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মার্কিন অর্থনীতি নিয়ে একাধিক বিস্ফোরক দাবি করেন ‘এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল’-এর মুখ্য অর্থনীতিবিদ সত্যম পাণ্ডে। তাঁর কথায়, ‘‘আগামী ১২ মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র মন্দার মুখে পড়ার অন্তত ৩০ শতাংশ আশঙ্কা রয়েছে।’’ এর জন্য মূলত শ্রম বাজার এবং ভোক্তা ব্যয়ের নিম্নমুখী সূচককে দায়ী করেছেন তিনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ‘ফেডারেল রিজ়ার্ভ’ যে চেষ্টার ত্রুটি রাখছে না, তা বলাই বাহুল্য।

০৩ ২০
Recession may hit US economy, chances are 30 percent, says rating agency S&P

সাক্ষাৎকারে পাণ্ডে বলেন, ‘‘শ্রম বাজারের উপর ট্রাম্প প্রশাসন এবং ফেডারেল রিজ়ার্ভের কর্তা-ব্যক্তিরা কড়া নজর রাখছেন। দেশে বেকারত্বের হার বাড়ুক, তা কোনও ভাবেই সরকারের কাম্য নয়।’’ তবে বর্তমানে মার্কিন অর্থনীতি যে মাত্রাতিরিক্ত মুদ্রাস্ফীতির চাপে ভুগছে তা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। এই সূচককে টেনে নামাতে অক্টোবর এবং ডিসেম্বরে সুদের হার যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক কমাতে পারে বলে জানিয়েছেন ‘এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল’-এর মুখ্য অর্থনীতিবিদ।

Advertisement
০৪ ২০
Recession may hit US economy, chances are 30 percent, says rating agency S&P

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক ‘সঙ্কট’ নিয়ে এক্স হ্যান্ডলে (আগে নাম ছিল টুইটার) একটি পোস্ট করেন ‘মুডিজ় কর্পোরেশন’-এর মুখ্য অর্থনীতিবিদ মার্ক জ়ান্ডি। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘বিভিন্ন তথ্য ঘেঁটে দেখেছি, যুক্তরাষ্ট্রের এক তৃতীয়াংশ প্রদেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপি (গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট) হয় মন্দায়, নয়তো সেই রকম পরিস্থিতির মুখে দাঁড়িয়ে আছে। অন্য এক তৃতীয়াংশ কিছুটা স্থিতিশীল। বাকি এক তৃতীয়াংশের সূচক বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক কথায় অর্থনীতি যথেষ্ট অস্থির। আমার মূল্যায়ন অনুযায়ী, আমেরিকায় মন্দা আসার মতো সহায়ক পরিস্থিতি রয়েছে।’’

০৫ ২০
Recession may hit US economy, chances are 30 percent, says rating agency S&P

২০০৮ সালে বিশ্ব জুড়ে আর্থিক মন্দার ভবিষ্যদ্বাণী করে খবরের শিরোনামে আসেন জ়ান্ডি। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে তালুর মতো চেনেন তিনি। এ-হেন ‘মুডিজ়’-এর মুখ্য অর্থনীতিবিদের সতর্কবার্তার আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। উল্লেখ্য, কোনও দেশ আর্থিক মন্দার কবলে পড়েছে, এটা বোঝার একটা সুনির্দিষ্ট উপায় রয়েছে। একটি অর্থবর্ষে পর পর দু’টি ত্রৈমাসিকে যদি জিডিপির সূচক ঋণাত্মক থাকে, তা হলে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রটিকে মন্দা গ্রাস করেছে বলে ধরে নেওয়া হয়।২০০৮ সালে বিশ্ব জুড়ে আর্থিক মন্দার ভবিষ্যদ্বাণী করে খবরের শিরোনামে আসেন জ়ান্ডি। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে তালুর মতো চেনেন তিনি। এ-হেন ‘মুডিজ়’-এর মুখ্য অর্থনীতিবিদের সতর্কবার্তার আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। উল্লেখ্য, কোনও দেশ আর্থিক মন্দার কবলে পড়েছে, এটা বোঝার একটা সুনির্দিষ্ট উপায় রয়েছে। একটি অর্থবর্ষে পর পর দু’টি ত্রৈমাসিকে যদি জিডিপির সূচক ঋণাত্মক থাকে, তা হলে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রটিকে মন্দা গ্রাস করেছে বলে ধরে নেওয়া হয়।

Advertisement
০৬ ২০
Recession may hit US economy, chances are 30 percent, says rating agency S&P

চলতি আর্থিক বছরের (২০২৫-’২৬) প্রথম তিন মাস অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে শূন্যের নীচে নেমে যায় যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপির সূচক। জুলাই-অগস্টে পরিস্থিতি সে ভাবে বদলায়নি। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে অবস্থার বিরাট পরিবর্তন না হলে মার্কিন অর্থনীতির পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হবে বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকদের একাংশ।

০৭ ২০
Recession may hit US economy, chances are 30 percent, says rating agency S&P

সংবাদসংস্থা ‘নিউজ়উইক’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পরিস্থিতির বিশদ ব্যাখ্যা করেছেন জ়ান্ডি। তিনি বলেন, ‘‘সাধারণ আমেরিকাবাসীদের জন্য দুঃসময় শুরু হতে চলেছে। যুক্তরাষ্ট্রে মন্দা শুরু হলে হু-হু করে বাড়বে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। খাদ্যসামগ্রীর জন্য আরও বেশি খরচ করতে হবে আমাদের। পণ্য উৎপাদনকারী শিল্পগুলিতে কর্মসংস্থানে আসবে বড় আঘাত। ফের এক বার গণহারে ছাঁটাই দেখতে পাওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে।’’

Advertisement
০৮ ২০
Recession may hit US economy, chances are 30 percent, says rating agency S&P

উল্লেখ্য, ট্রাম্পের পূর্বসূরি জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন এক বার মন্দার দরজায় চলে গিয়েছিল আমেরিকা। কোনও মতে সে যাত্রা পরিস্থিতি সামাল দেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের বাজার অবশ্য ওই সময় থেকেই অগ্নিমূল্য হয়ে পড়ে। মুদ্রাস্ফীতির সেই সূচককে আর টেনে নামতে পারেননি বাইডেন। ফলে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। গত বছর (পড়ুন ২০২৪) প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এই বিষয়টিকে নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালান ট্রাম্প। ভোটের বাক্সে তার ফলও পান তিনি।

০৯ ২০
Recession may hit US economy, chances are 30 percent, says rating agency S&P

‘নিউজ়উইক’-এর সাক্ষাৎকারে এই নিয়েও মুখ খোলেন জ়ান্ডি। বলেন, ‘‘বাজারে জিনিসের দাম যে বেড়েছে, তা তো দেখাই যাচ্ছে। তবে পুরোপুরি ভাবে মন্দা চলে এলে এটা আরও কয়েক গুণ উপরের দিকে উঠতে পারে। আমার ধারণা, আগামী দিনে কেনাকাটা আরও কমাবে মার্কিন আমজনতা। কারণ, আসন্ন আর্থিক সঙ্কট তাঁদের পক্ষে উপেক্ষা করা অসম্ভব।’’ পাশাপাশি, ট্রাম্পের শুল্কনীতি এবং আমেরিকার আবাসন শিল্পের দুরবস্থা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।

১০ ২০
Recession may hit US economy, chances are 30 percent, says rating agency S&P

‘মুডিজ়’-এর মুখ্য অর্থনীতিবিদ জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বেপরোয়া ভাবে শুল্ক চাপানোর জেরে আমেরিকার শিল্প সংস্থাগুলির লাভের চেয়ে লোকসান হয়েছে অনেক বেশি। শুধু তা-ই নয়, এতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে বিদেশ থেকে শিল্পের জন্য কাঁচামাল সংগ্রহ কঠিন হচ্ছে। এর প্রভাব উৎপাদনের খরচে পড়ছে বলে স্পষ্ট করেছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির হার নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন তিনি।

১১ ২০
Recession may hit US economy, chances are 30 percent, says rating agency S&P

জ়ান্ডির কথা সত্যি হলে, এ বছরই আমেরিকার মুদ্রাস্ফীতির হার ২.৭ শতাংশ থেকে বেড়ে তিন শতাংশে গিয়ে পৌঁছোবে। এই সূচক লাগাতার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আগামী বছরের (পড়ুন ২০২৬) সেপ্টেম্বরের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতির হার চার শতাংশ বা তার বেশি থাকার পূর্বাভাস দিয়েছেন তিনি। মন্দার জন্য সরকারি চাকরিতে নিয়োগ বন্ধ বা ছাঁটাইয়ের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে, সাক্ষাৎকারে বলেছেন ‘মুডিজ়’-এর মুখ্য অর্থনীতিবিদ।

১২ ২০
Recession may hit US economy, chances are 30 percent, says rating agency S&P

আর্থিক দিক থেকে আমেরিকার দক্ষিণ দিকের প্রদেশগুলি বেশি শক্তিশালী। ‘মুডিজ়’-এর সমীক্ষা অনুযায়ী, সেখানে জিডিপি বৃদ্ধির গতি যথেষ্ট শ্লথ। কেবলমাত্র ‘সুনাম’ বজায় রেখেছে ক্যালিফোর্নিয়া এবং নিউ ইয়র্ক। মার্কিন অর্থনীতির এক পঞ্চমাংশ আসে এই দুই এলাকা থেকে, যা এখনও পর্যন্ত মোটের উপরে ধরে রাখতে পেরেছে তারা। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ক্যালিফোর্নিয়ায় রয়েছে সিলিকন ভ্যালি। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের টেক জায়ান্ট সংস্থাগুলিতে কাজ করেন বিপুল সংখ্যক ভারতীয়।

১৩ ২০
Recession may hit US economy, chances are 30 percent, says rating agency S&P

যুক্তরাষ্ট্রের মন্দার ঝুঁকি সর্বাধিক বেশি রয়েছে ওয়াইমিং, মন্টানা, মিনেসোটা, মিসিসিপি, কানসাস এবং ম্যাসাচুসেটসে। ‘মুডিজ়’ জানিয়েছে, এ বছরের জুলাই পর্যন্ত মার্কিন ভোক্তাদের দৈনন্দিন খরচ গত বছরের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে। ২০০৮-’০৯ অর্থবর্ষের পর আর কখনওই আমেরিকার আমজনতার ব্যয়ের সূচক এতটা হ্রাস পায়নি। এই অঙ্ক নিয়েও যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অর্থনীতিবিদ মার্ক জ়ান্ডি।

১৪ ২০
Recession may hit US economy, chances are 30 percent, says rating agency S&P

‘মুডিজ়’-এর পাশাপাশি মন্দা নিয়ে মার্কিন সরকারকে সতর্ক করেছে আর্থিক রেটিং সংস্থা ‘ইউবিএস’। তাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এ বছরের শেষে ওই বিপদের মুখে পড়বে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি। মন্দা আসার আশঙ্কা ৯৩ শতাংশ বলে উল্লেখ করেছে তারা। যদিও এই সব সতর্কবার্তা গায়েই মাখছেন না প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। উল্টে ভারতের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধ বজায় রেখেছেন তিনি। পাশাপাশি, নয়াদিল্লিকে আরও বড় শাস্তি দেওয়ার হুঙ্কার শোনা গিয়েছে তাঁর গলায়।

১৫ ২০
Recession may hit US economy, chances are 30 percent, says rating agency S&P

তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, শাটডাউনের প্রভাব সে ভাবে মার্কিন অর্থনীতিকে আঘাত করবে বলে মনে করেন না রেটিং সংস্থা ‘এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল’-এর মুখ্য অর্থনীতিবিদ সত্যম পাণ্ডে। তাঁর কথায়, ‘‘বন্যার সময়ে নদীতে জল বেড়ে গেলে লাল এবং হলুদ সতর্কতা দেওয়া হয়। বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে আমি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে হলুদ পতাকা দেখাব। কারণ, ফেডারেল রিজ়ার্ভের কাছে এখনও মন্দা ঠেকানোর বেশ কিছু অস্ত্র রয়েছে।’’

১৬ ২০
Recession may hit US economy, chances are 30 percent, says rating agency S&P

পাণ্ডের দাবি, শুল্কযুদ্ধে নেমে মার্কিন অর্থনীতির তাৎক্ষণিক ক্ষতি করেছেন ট্রাম্প। কিন্তু, এটাও ঠিক যে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি সেরে ফেলতে সক্ষম হয়েছে তাঁর সরকার। শুধু তা-ই নয়, ঘরের মাটিতে শিল্প উৎপাদন শুরু করতে শ্রম আইনে বড় বদল আনতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। এ ছাড়া অক্টোবর এবং নভেম্বরে পর পর দু’বার অন্তত ২৫ বেসিস পয়েন্ট করে সুদ কমিয়ে আমজনতার হাতে ডলার তুলে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে আমেরিকার শীর্ষ ব্যাঙ্কের সামনে।

১৭ ২০
Recession may hit US economy, chances are 30 percent, says rating agency S&P

বিশ্লেষকদের দাবি, ফেডারেল রিজ়ার্ভ সুদ কমালে কিছুটা চাঙ্গা হবে আমেরিকার ঘরোয়া বাজার। তা ছাড়া অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজারে দেখা গিয়েছে রকেট গতি। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে শাটডাউন দীর্ঘ দিন চললে মূল্যবৃদ্ধি, বাজারে চাহিদা, বেকারত্বের হার, কাজে যোগদানের মতো আর্থিক কর্মকাণ্ড সংক্রান্ত কোনও তথ্য প্রকাশ করবে না সেখানকার সরকার। সে ক্ষেত্রে ২৮-২৯ অক্টোবরের বৈঠকের আগে পরিসংখ্যান না পেলে সুদের হার স্থির করার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারে শীর্ষ ব্যাঙ্ক।

১৮ ২০
Recession may hit US economy, chances are 30 percent, says rating agency S&P

বাজার বিশেষজ্ঞ আশিস নন্দী বলছেন, ‘‘শাটডাউনে প্রতি দিন ৪০ কোটি ডলার লোকসান হচ্ছে আমেরিকার। এটা চলতে থাকলে সেখানকার জিডিপি ধাক্কা খাবে। এর প্রভাব পড়বে বিশ্বের অর্থনীতিতে।’’ স্টকে অস্থিরতা দেখা দিলে সুরক্ষিত লগ্নি হিসাবে সোনার চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে ‘হলুদ ধাতু’র দাম। বর্তমানে তা আউন্স প্রতি প্রায় ৩,৯০০ ডলারে ঘোরাফেরা করছে।

১৯ ২০
Recession may hit US economy, chances are 30 percent, says rating agency S&P

প্রতি বছর ১ অক্টোবর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হয় আর্থিক বছর। প্রতি অর্থবর্ষে সরকারি খরচ চালাতে বিল পাশ করে থাকে আমেরিকার পার্লামেন্ট ‘কংগ্রেস’। কিন্তু এ বার স্বাস্থ্য বিমায় ভর্তুকি নিয়ে বিবাদকে কেন্দ্র করে পাশ হয়নি সেই বিল। এর জেরে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে যাবতীয় সরকারি কাজকর্ম। এর থেকে অবশ্য বাদ রয়েছে জরুরি পরিষেবা। আমেরিকায় এরই পোশাকি নাম শাটডাউন।

২০ ২০
Recession may hit US economy, chances are 30 percent, says rating agency S&P

প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্পের প্রথম জমানায় ২০১৮-’১৯ আর্থিক বছরে ৩৫ দিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে চলেছিল শাটডাউন, যা এখনও পর্যন্ত রেকর্ড। বর্তমান অবস্থায় বিল পাশের পাশাপাশি মুদ্রাস্ফীতি এবং মন্দা দু’টো সামলাতে হবে তাঁকে। ফলে আগামী তিন মাস আর্থিক দিক থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট যে ‘অগ্নিপরীক্ষা’র মুখে পড়ছেন, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। সেখান থেকে আমেরিকাকে কী ভাবে তিনি বের করে আনেন সেটাই এখন দেখার।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও গ্যালারি