India US Javelin Missile Deal

দিতেই চায়নি আমেরিকা, ১৫ বছর পর হঠাৎ কেন ভারতকে সেই ‘ট্যাঙ্ক কিলার’ দিচ্ছে ওয়াশিংটন? রাজি এ দেশে তৈরিতেও!

জরুরি ভিত্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থেকে ট্যাঙ্ক ধ্বংসকারী জ্যাভলিন ক্ষেপণাস্ত্র কিনছে ভারত। সংশ্লিষ্ট হাতিয়ারটি সরবরাহের ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে আমেরিকা। যদিও দেড় দশক আগে নয়াদিল্লির জ্যাভলিন-প্রস্তাবে ‘না’ বলেছিল ওয়াশিংটন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৫ ০৭:৫১
০১ ২১
Why US approves Javelin anti-tank missile to sell India after 15 years

১৫ বছরের অপেক্ষার অবসান। অবশেষে আমেরিকার থেকে মানববাহী (ম্যান-পোর্টেবল) ট্যাঙ্ক ধ্বংসকারী (অ্যান্টি ট্যাঙ্ক) জ্যাভলিন ক্ষেপণাস্ত্র পেতে চলেছে ভারত। শুধু তা-ই নয়, যুদ্ধের রং বদলে দেওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন কৌশলগত হাতিয়ারটির যৌথ উৎপাদনের ব্যাপারেও সবুজ সঙ্কেত দিতে পারে ওয়াশিংটন। একসময় নয়াদিল্লিকে যে ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রিই করতে চায়নি যুক্তরাষ্ট্র, সেই অস্ত্র নিয়েই এত বছর বাদে হঠাৎ কেন এই উদারতা? জবাব খুঁজছেন সাবেক সেনাকর্তা ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকেরা।

০২ ২১
Why US approves Javelin anti-tank missile to sell India after 15 years

২০১০ সালে জ্যাভলিন ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারস্থ হয় নয়াদিল্লি। ওই সময় ট্যাঙ্ক ধ্বংসকারী হাতিয়ারের অভাবে ভুগছিল ভারতীয় সেনা। আর তাই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছে বিভিন্ন পাল্লার অন্তত ৪৪ হাজার ‘ট্যাঙ্ক কিলার’ অস্ত্র আমদানির আর্জি জানান তৎকালীন ফৌজি জেনারেলরা। সেই তালিকায় ছিল জ্যাভলিনেরও নাম। কিন্তু কেন্দ্রের আবেদনে একেবারেই সাড়া দেয়নি মার্কিন প্রশাসন। ফলে বাধ্য হয়ে ‘বন্ধু’ রাষ্ট্র ইজ়রায়েলের দিকে মুখ ফেরাতে হয় ভারতকে।

০৩ ২১
Why US approves Javelin anti-tank missile to sell India after 15 years

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, দেড় দশক আগে নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটনের জ্যাভলিন চুক্তি ভেস্তে যাওয়ার নেপথ্যে ছিল পাকিস্তান। ওই সময় আমেরিকার কানে ‘বিষ’ ঢালার কাজটি করেন ইসলামাবাদের সেনা অফিসারেরা। ভারতীয় ফৌজের শক্তিবৃদ্ধি তাঁদের মনে আতঙ্ক তৈরি করছিল। কিন্তু, ২০১১ সালে মার্কিন কমান্ডো অভিযানে পাকভূমিতে ৯/১১ হামলার ‘মূল চক্রী’ তথা আল-কায়দার কুখ্যাত জঙ্গি নেতা ওসামা বিন-লাদেনের মৃত্যু হলে বদলাতে থাকে পরিস্থিতি।

Advertisement
০৪ ২১
Why US approves Javelin anti-tank missile to sell India after 15 years

তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, গোড়ার দিকে আন্তর্জাতিক অস্ত্রের বাজারে জ্যাভলিনের কদর ছিল খুবই কম। কিন্তু, যুদ্ধের ময়দানে সংশ্লিষ্ট ক্ষেপণাস্ত্রটি যে ‘গেম চেঞ্জার’ হতে চলেছে তা আঁচ করতে এ দেশের সেনা অফিসারদের খুব একটা দেরি হয়নি। এর জটিল প্রযুক্তি হাতছাড়া হওয়ার ভয় পেয়েছিল আমেরিকা। সংশ্লিষ্ট চুক্তি ভেস্তে যাওয়ার নেপথ্যে এই যুক্তিও খাড়া করেছে বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম।

০৫ ২১
Why US approves Javelin anti-tank missile to sell India after 15 years

চলতি বছরের নভেম্বরে পৌঁছে এ ব্যাপারে যাবতীয় জট কেটে যাওয়ার নেপথ্যে অবশ্য শুল্কযুদ্ধকে দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। গত অগস্ট থেকে ধাপে ধাপে এ দেশের পণ্যে করের মাত্রা বাড়িয়ে ৫০ শতাংশে নিয়ে গিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফলে চাপের মুখে নতিস্বীকার করে তড়িঘড়ি যুক্তরাষ্ট্রের শর্তে নয়াদিল্লি বাণিজ্যচুক্তিতে সম্মত হবে বলে আশা করেছিলেন তিনি। যদিও বাস্তবে তা হয়নি। উল্টে শুল্ক সংঘাতে আমেরিকার বাজারে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে মূল্যবৃদ্ধির সূচক।

Advertisement
০৬ ২১
Why US approves Javelin anti-tank missile to sell India after 15 years

মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ-হেন শুল্কনীতির জেরে গত কয়েক মাসে কমেছে তাঁর জনপ্রিয়তা। যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক কয়েকটি ভোটে সেই ছবি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। প্রায় প্রতিটি জায়গাতেই পরাজিত হয়েছেন ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থীরা। এর পরেই ভারতকে জ্যাভলিন ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহকে ভাবমূর্তি উদ্ধারের দিকে ট্রাম্পের ইতিবাচক পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে।

০৭ ২১
Why US approves Javelin anti-tank missile to sell India after 15 years

দ্বিতীয়ত, বাণিজ্যিক ঘাটতি এবং বিরল খনিজের সরবরাহ ইস্যুতে চিনের সঙ্গে মেটেনি যুক্তরাষ্ট্রের বিবাদ। ট্রাম্পের হুঙ্কারকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় দিব্যি দৌরাত্ম্য চালিয়ে যাচ্ছে বেজিঙের ‘পিপল্‌স লিবারেশন আর্মি’ বা পিএলএ-র নৌবাহিনী। সম্প্রতি রণতরী সহযোগে উপকূলরক্ষী বাহিনী পাঠিয়ে জাপানের সেনকাকু দ্বীপ ঘিরেও ফেলে ড্রাগন। এই পরিস্থিতিতে ভারতের মতো ‘কৌশলগত অংশীদার’ হাতছাড়া করতে নারাজ ওয়াশিংটন।

Advertisement
০৮ ২১
Why US approves Javelin anti-tank missile to sell India after 15 years

তৃতীয়ত, নিন্দকেরা বলে থাকেন, ব্যবসা ছাড়া ট্রাম্প কিছুই বোঝেন না। আর্থিক মুনাফার দিকে সর্বদাই নজর রয়েছে তাঁর। নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে এক লক্ষ কোটি ডলার লগ্নির ঘোষণা করেন সৌদি আরবের যুবরাজ তথা প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ বিন সলমন। এই বিনিয়োগ হাতে আসতেই রিয়াধের রাজপরিবারকে নিয়ে সুর বদলান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডে সলমনকে একরকম ‘ক্লিনচিট’ দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।

০৯ ২১
Why US approves Javelin anti-tank missile to sell India after 15 years

জনপ্রিয় মার্কিন গণমাধ্যম ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’-এর প্রাবন্ধিক ছিলেন সৌদি নাগরিক খাশোগি। সেখানে নিয়মিত রিয়াধ রাজপরিবারের নানা কুকীর্তির কথা তুলে ধরতেন তিনি। ২০১৮ সালে বিয়ে উপলক্ষে তুরস্কে যান জামাল। ইস্তানবুলের সৌদি দূতাবাসে তাঁকে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু আর বেরিয়ে আসেননি। যুবরাজ সলমনের নির্দেশে দূতাবাসের মধ্যেই গুপ্ত ঘাতকেরা তাঁকে নৃশংস ভাবে খুন করেছে বলে পরবর্তী সময়ে ওঠে অভিযোগ।

১০ ২১
Why US approves Javelin anti-tank missile to sell India after 15 years

২০১৭-’২১ সাল পর্যন্ত প্রথম দফায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন ট্রাম্প। খাশোগির করুণ পরিণতির খবর পেয়ে চুপ করে বসে থাকেননি তিনি। সৌদির উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর হুঙ্কার পর্যন্ত দিতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে। যদিও সে সবই এখন অতীত। যুবরাজ সলমনকে পাশে বসিয়ে উপসাগরীয় আরব দেশটিতে পঞ্চম প্রজন্মের এফ-৩৫ লড়াকু জেট সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প। জ্যাভলিন ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষেত্রেও মোটা টাকা হাতে আসায় তাঁর মন গলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

১১ ২১
Why US approves Javelin anti-tank missile to sell India after 15 years

এ বছরের ৩১ অক্টোবর শুল্ক সংঘাতের মধ্যেই ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি সেরে ফেলে ওয়াশিংটন। মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালা লামপুরে আসিয়ান প্রতিরক্ষা সম্মেলনের ফাঁকে ওই সমঝোতায় সই করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং মার্কিন যুদ্ধসচিব (সাবেক প্রতিরক্ষা সচিব) পিট হেগসেথ। ১০ বছরের ওই চুক্তিতে অত্যাধুনিক হাতিয়ার এবং প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি লেনদেনের কথা রয়েছে। এরই অবশ্যম্ভাবী পরিণতি হিসাবে আমেরিকা জ্যাভলিন সরবরাহে রাজি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

১২ ২১
Why US approves Javelin anti-tank missile to sell India after 15 years

ডিসেম্বরে ভারতের মাটিতে পা রাখবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। দু’টি দেশ থেকেই বিপুল পরিমাণে হাতিয়ার কিনে থাকে নয়াদিল্লি। ফলে জ্যাভলিন না পেলে বিকল্পের খোঁজ পেতে মোটেই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ত না কেন্দ্রের মোদী সরকার। আর তাই প্রতিদ্বন্দ্বীরা দাঁত ফোটানোর আগেই নয়াদিল্লির বাজার নিশ্চিত করতে চেয়েছেন ট্রাম্প, মত সাবেক সেনাকর্তাদের।

১৩ ২১
Why US approves Javelin anti-tank missile to sell India after 15 years

প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, আপাতত জরুরি ভিত্তিতে ফৌজের জন্য কেনা হচ্ছে ২৫টি লঞ্চার এবং ১০০টি ট্যাঙ্ক ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্র। হাতিয়ারটির পোশাকি নাম ‘এফজিএম-১৪৮ অ্যান্টি ট্যাঙ্ক জ্যাভলিন মিসাইল’। এ ছাড়া এক্সক্যালিবার প্রিসিশন স্ট্রাইক কামানের গোলাও নয়াদিল্লিকে সরবরাহ করবে যুক্তরাষ্ট্র। জোড়া হাতিয়ার এবং বারুদের জন্য ৯.৩ কোটি ডলার পাবে আমেরিকা। ভারতীয় মুদ্রায় যেটা প্রায় ৮২৬ কোটি টাকা।

১৪ ২১
Why US approves Javelin anti-tank missile to sell India after 15 years

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে নিজের জাত চেনায় জ্যাভলিন। এর সাহায্যেই মস্কোর একের পর এক টি-৭২ ও টি-৯০-এর মতো অতিশক্তিশালী ট্যাঙ্কগুলিকে উড়িয়েছে কিভের ফৌজ। ফলে পশ্চিমের প্রতিবেশীর এলাকা দখলে গতি কমাতে বাধ্য হয় ক্রেমলিন। জ্যাভলিনের কারণেই বহু রণাঙ্গনে থমকে যায় রুশ আর্মার্ড ডিভিশনগুলির দ্রুত অগ্রসর।

১৫ ২১
Why US approves Javelin anti-tank missile to sell India after 15 years

১৯৮৯ সালে জ্যাভলিনের নকশা তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি প্রতিরক্ষা সংস্থা। সেগুলি হল, টেক্সাস ইনস্ট্রুমেন্টস, মার্কিন ম্যারিয়েটা (বর্তমান রেথিয়ন টেকনোলজ়িস) এবং লকহিড মার্টিন। তবে এর উৎপাদনের দায়িত্ব পায় শেষের দু’টি কোম্পানি। অতীতে লিবিয়া ও সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ এবং ইরাক যুদ্ধে এর বহুল ব্যবহার করেছে মার্কিন ফৌজ।

১৬ ২১
Why US approves Javelin anti-tank missile to sell India after 15 years

‘ট্যাঙ্ক কিলার’ জ্যাভলিনের বিশেষত্ব হল, সামান্য প্রশিক্ষণের পরেই একজন মাত্র সৈনিক এটিকে ব্যবহার করতে পারেন। ক্ষেপণাস্ত্রটির একটি লঞ্চার রয়েছে, যেটি কাঁধে রেখে নিখুঁত লক্ষ্যে ছোড়া যায় সংশ্লিষ্ট ক্ষেপণাস্ত্র। এর ব্যবহারের সঙ্গে আমেরিকারই তৈরি ‘শোল্ডার ফায়ার্‌ড’ বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র স্টিঙ্গারের বেশ মিল রয়েছে।

১৭ ২১
Why US approves Javelin anti-tank missile to sell India after 15 years

জ্যাভলিনের ওজন আনুমানিক ২৩ কেজি। বহন করতে পারে সাড়ে আট কেজি বিস্ফোরক। এর লঞ্চার সাধারণত ৬.৪ কেজির হয়ে থাকে। চার কিলোমিটার পাল্লার এই মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ধীর গতিতে ওড়া হেলিকপ্টার ধ্বংস করতেও পটু। এর আনুমানিক দাম প্রায় দু’লক্ষ ডলার বলে জানা গিয়েছে।

১৮ ২১
Why US approves Javelin anti-tank missile to sell India after 15 years

গত মে মাসে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চলাকালীন পাক সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এম-৭৭৭ আল্ট্রা লাইট হাউৎজ়ার মোতায়েন করে ভারতীয় গোলন্দাজ বাহিনী। ৪০ কিলোমিটার পাল্লার ওই কামান থেকে বেশ কয়েক রাউন্ড গোলাবর্ষণও করতে হয়েছিল। তখনই নিখুঁত হামলায় সেনা কমান্ডারদের মন জয় করে নেয় এক্সক্যালিবার প্রিসিশন স্ট্রাইক আর্টিলারি শেল। আপাতত তাই ২১৬টি ওই ধরনের গোলার বরাত দিয়েছে ফৌজ।

১৯ ২১
Why US approves Javelin anti-tank missile to sell India after 15 years

অন্য দিকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য ২-৩ কিলোমিটার পাল্লার ট্যাঙ্ক ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ‘ডিফেন্স রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজ়েশন’ বা ডিআরডিও। বর্তমানে এর পাল্লা বৃদ্ধির চেষ্টা চালাচ্ছেন এ দেশের সামরিক গবেষকেরা। এ ছাড়া নভেম্বরের গোড়ায় আমেরিকার সঙ্গে আরও একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছে নয়াদিল্লি।

২০ ২১
Why US approves Javelin anti-tank missile to sell India after 15 years

ভারতীয় বিমানবাহিনীর বহরে থাকা সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তির তেজস মার্ক-১এ লড়াকু জেটে রয়েছে মার্কিন সংস্থা জেনারেল ইলেকট্রিকের এফ-৪০৪ ইঞ্জিন। নভেম্বরের গোড়ায় ১১৩টি এই ইঞ্জিন পেতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ১০০ কোটি ডলারের চুক্তি করেছে নয়াদিল্লি। এ দেশের মুদ্রায় টাকার অঙ্কটা ৮,৯০০ কোটি বলে জানা গিয়েছে।

২১ ২১
Why US approves Javelin anti-tank missile to sell India after 15 years

এ ছাড়া সমুদ্রে টহলদারি এবং ডুবোজাহাজ ধ্বংসকারী ছ’টি অত্যাধুনিক পি-৮১ নৌসামরিক বিমানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছে কেন্দ্র। উচ্চ মূল্যের কারণে সংশ্লিষ্ট চুক্তিটিতে জটিলতা তৈরি হয়েছে বলে সূত্র মারফত মিলেছে খবর। আগামী বছর ভারত সফরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প। তখনই কি চূড়ান্ত হবে যৌথ উদ্যোগে জ্যাভলিন ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণের চুক্তি? এখন থেকেই তুঙ্গে উঠেছে সেই জল্পনা।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও গ্যালারি