ছবি : সংগৃহীত।
দুর্গাপুজোর ষষ্ঠী যেমন, বড়দিনের আগের সন্ধ্যা অর্থাৎ ক্রিসমাস ইভের উৎসবের মেজাজও ঠিক তেমনি। উৎসব শুরুর আনন্দ ৯০ শতাংশ শুরু হয়ে যায় ২৪ ডিসেম্বর থেকেই। অফিস-স্কুল-কলেজ ছুটি না থাক ওই দিন বাড়িতে ছোট করে ক্রিসমাস ইভ পালন করতেই পারেন। পরিবারের সদস্য বা বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে সন্ধ্যায় বসাতে পারেন কেক আর কফির আসর। আর সেই আসরে কেকের সঙ্গে রেস্তরাঁর মতো ক্যাপুচিনো খাইয়ে চমকে দিন সকলকে।
রেস্তরাঁর মতো ক্যাপুচিনো বানানো সম্ভব?
বাড়ির কফি আর রেস্তরাঁর কফির স্বাদ কিছুতেই মেলে না। যত ঘন দুধ দিয়ই বানানো হোক না কেন, রেস্তরাঁর মতো ঘন ক্রিমের মতো ভাব আসে না কোনও ভাবে। মেলে না সেই স্বাদও। তার প্রধান কারণ রেস্তরাঁর ওই কফি বানানো হয় কফি মেশিনে। মেশিনের সঙ্গে হাত কি পাল্লা দিতে পারবে? কাজটা খুব একটা অসম্ভবও নয়। চাইলে রেস্তরাঁর মতো ক্যাপুচিনো বাড়িতে সম্ভব।
বাড়িতে রেস্তরাঁর মতো ক্যাপুচিনো বানাতে কী দরকার?
এর জন্য কয়েকটি সামান্য উপকরণ হাতের কাছে মজুত রাখতে হবে—
১. কফির পাউডার
২. ফ্যাটযুক্ত দুধ
৩. চিনি (চাইলে বাদ দিতে পারবেন)
৪. কোকো পাউডার
৫. দারচিনির গুঁড়ো (চাইলে বাদ দেওয়া যায়)
এর বেশি আর কিচ্ছু না। মেশিন নয়, কোনও স্পেশ্যাল সিরাপ নয়, কোনও যান্ত্রিক জিনিসও নয়।
কী ভাবে বানাবেন ক্যাপুচিনো?
কফি পাউডারের সঙ্গে অল্প কোকো পাউডার এবং জল মিশিয়ে নিন। চিনি দিলে এই সময়েই মেশান। এই মিশ্রণটি খুব পাতলা হবে না। তাই জল অল্পই মেশাবেন।
মিশ্রণটি তৈরি হলে কাপে ঢেলে রেডি করে রাখুন। তার পরে দুধ গরম করতে দিন। অল্প আঁচে গরম করুন। ফুটতে দেবেন না।
আঁচে বসিয়েই কাঁটা চামচ বা হুইস্কার দিয়ে নাড়িয়ে দুধে ফেনা তৈরি করুন। তার পরে আঁচ বন্ধ করে দিন। এ বার একটি এয়ার টাইট বোতল বা জারের অর্ধেকটা দুধ দিয়ে ভর্তি করুন। তার পরে ঢাকনা বন্ধ করে ৩০ সেকেন্ড ধরে ঝাঁকান। ফেনা তৈরি হয়ে গেলে কয়েক সেকেন্ড রেখে দিন।
এ বার কাপে দেওয়া কফির উপর প্রথমে চামচে করে দুধের ফেনা দিয়ে দিন। তার পরে আস্তে আস্তে দুধ ঢালুন। দুধ ঢালা হয়ে গেলে চামচে করে আলতো ভাবে নেড়ে দিন। এতেই ক্রিমের মতো ফেনা তৈরি হবে।
উপরে দারচিনির গুঁড়ো বা কোকো পাউডার ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।