Shubhanshu Shukla

দিনে ১৬ বার সূর্য উঠছে, ঘুমোচ্ছেন কী ভাবে? মহাকাশকেন্দ্র থেকে পড়ুয়াদের কৌতূহল মেটালেন শুভাংশু

শুভাংশু শুক্ল আইএসএস থেকে জানান, মহাকাশে শরীরকে সুস্থ রাখার বিষয়টিকেই অগ্রাধিকার দেন মহাকাশচারীরা। সে জন্য রোজ শরীরচর্চাও করেন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫ ১৭:২৬
শুভাংশু শুক্ল।

শুভাংশু শুক্ল। ছবি: স্পেস এক্স।

মহাকাশে ১৬ বার সূর্য ওঠে। ১৬ বার সূর্য অস্ত যায়। এই অবস্থায় সেখানে কী ভাবে ঘুমোন মহাকাশচারীরা? এই নিয়ে পড়ুয়াদের কৌতূহল মেটালেন শুভাংশু শুক্ল। ভারতীয় মহাকাশচারী এখন আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র (আইএসএস)-এ রয়েছেন। সেখানে বসেই মঙ্গলবার জানালেন যে, সূর্য ধরে মহাকাশচারীরা চলেন না। চলেন গ্রিনিচ সময় ধরে।

Advertisement

ইসরোর উত্তর পূর্ব স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার (এনইএসএসি) একটি কর্মসূচির আয়োজন করে। সেখানে পড়ুয়াদের সঙ্গে আইএসএস থেকে কথা বলেন শুভাংশু। তাদের প্রশ্নের উত্তর দেন। কী ভাবে তিনি মহাকাশে খাচ্ছেন, ঘুমোচ্ছেন, সে সব প্রশ্নেরও উত্তর দেন। এত বার সূর্যোদয় হয়, তার মধ্যে কী ভাবে ঘুমোন, তার জবাবও দেন শুভাংশু। তিনি বলেন, ‘‘আইএসএসে আমরা এক দিনে ১৬ বার সূর্যোদয় এবং ১৬ বার সূর্যাস্ত দেখি। কারণ, আমরা প্রতি ৯০ মিনিটে পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণ করি। সূর্যের আলো অনুসরণ করে আমরা কাজ করি না, গ্রিনিচ সময় (ভারতীয় সময় থেকে সাড়ে ৫ ঘণ্টা পিছিয়ে) ধরে করি।’’

মহাকাশে মাধ্যাকর্ষণ নেই। সেই পরিস্থিতিতে কী ভাবে মানিয়ে নিচ্ছেন তাঁরা, তা-ও জানিয়েছেন শুভাংশু। তাঁর কথায়, ‘‘পৃথিবীতে মাধ্যাকর্ষণের মধ্যে আমরা বড় হয়েছি। কিন্তু মহাকাশে তা নেই। শরীরে অনেক রকমের পরিবর্তন হয় এখানে। সেই পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সময় লাগে। প্রথমে অস্বস্তি (স্পেস সিকনেস) হয়। ওষুধ রয়েছে। আমরা দ্রুত মানিয়ে নিয়েছি।’’ এই নিয়ে যে পৃথিবীতেই তাঁদের প্রশিক্ষণ হয়েছিল, সে কথাও জানিয়েছেন শুভাংশু। মহাকাশে শরীরকে সুস্থ রাখার বিষয়টিকেই অগ্রাধিকার দেন মহাকাশচারীরা, জানান তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘শূন্য মাধ্যাকর্ষণের পেশী এবং হাড় ক্ষয় হয়। আমরা রোজ ট্রেডমিল, সাইকেল, স্টেংথ প্রশিক্ষণ যন্ত্রে শরীরচর্চা করি। এই অভিযানে এবং পৃথিবীতে ফেরা পর্যন্ত সুস্থ থাকা খুব দরকার।’’ কিছু কাজের ক্ষেত্রে মহাকাশে রোবোট-বাহু ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন লখনউয়ের শুভাংশু। ভারতীয় পড়ুয়াদের মহাকাশ নিয়ে আরও বেশি করে স্বপ্ন দেখার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

গত ২৬ জুন স্পেসএক্সের ‘ড্রাগন’ মহাকাশযানে চড়ে আইএসএসের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন চার নভশ্চর। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার এই অভিযানে শুভাংশু ছাড়াও আরও তিন নভশ্চর রয়েছেন— ক্রু-কমান্ডার পেগি হুইটসন, মিশন বিশেষজ্ঞ স্লাওস উজানস্কি-উইজ়নিউস্কি এবং টিবর কাপু। নাসার অ্যাক্সিয়ম-৪ অভিযানের গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু। তিনিই ভারতের প্রথম নভশ্চর, যিনি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস)-এ পা রেখেছেন।

Advertisement
আরও পড়ুন