Pakistan Athletics Federation

কর্তাদের বিরুদ্ধে সুর চড়ানোর শাস্তি, আজীবন নির্বাসিত পাকিস্তানকে অলিম্পিক্স সোনা দেওয়া আরশাদের কোচ

পাকিস্তান অ্যামেচার অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ ছিল সলমন ইকবালের বিরুদ্ধে। তবে প্রিয় ছাত্রের পাশে দাঁড়িয়ে কর্তাদের বিরুদ্ধে সুর চড়ানোর পরই শাস্তি পেলেন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৫ ২৩:১৩
Picture of Arshad Nadeem

আরশাদ নাদিম। —ফাইল চিত্র।

অ্যাথলেটিক্স কর্তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার শাস্তি আজীবন নির্বাসন। পাকিস্তানের অলিম্পিক্স সোনাজয়ী জ্যাভলিন থ্রোয়ার আরশাদ নাদিমের কোচ সলমন ইকবালকে এই শাস্তি দিয়েছে পাকিস্তান অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন। অভিযোগ, পঞ্জাব অ্যাথলেটিক্স অ্যাসোসিয়েশনের সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন ইকবাল।

Advertisement

ছাত্রের চিকিৎসা নিয়ে দু’দিন আগে পাকিস্তান স্পোর্টস বোর্ডের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন নাদিমের কোচ। তিনি বলেছিলেন, ‘‘পায়ের পেশির চোট সারানোর জন্য কিছু দিন আগে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে নাদিমকে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের সময় টোকিয়োয় বেশ গরম এবং আর্দ্রতা ছিল। তার উপর ট্র্যাকও ছিল শক্ত। সব মিলিয়ে নাদিমের পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়েছিল।’’ সুর চড়িয়ে তিনি বলেছিলেন, অস্ত্রোপচারের পর দক্ষিণ আফ্রিকায় রিহ্যাব করার জন্য নাদিমকে এক বন্ধুর অর্থ সাহায্য নিতে হয়েছিল। স্পোর্টস বোর্ড যথাযথ উদ্যোগ নেয়নি। ওই ঘটনাকে প্যারিস অলিম্পিক্সে সোনাজয়ীর জন্য দুর্ভাগ্যজনক বলেও অভিহিত করেছিলেন। মনে করা হচ্ছে স্পোর্টস বোর্ডকে কাঠগড়ায় তোলার জন্যই কঠিন শাস্তি পেতে হল ইকবালকে। আজীবন নির্বাসনের ফলে পাকিস্তানে অ্যাথলেটিক্স সংক্রান্ত কোনও কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবেন না ইকবাল। কোনও দলে কোচ হিসাবেও যুক্ত হতে পারবেন না।

শাস্তির কারণ হিসাবে অবশ্য বলা হয়েছে, গত অগস্টে নির্বাচনের সময় পাকিস্তান অ্যামেচার অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সংবিধান লঙ্ঘন করেছিলেন ইকবাল। সেপ্টেম্বরে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে নাদিমের খারাপ পারফরম্যান্সের ব্যাখ্যাও তলব করা হয় তাঁর কাছ থেকে। জবাবে পাক স্পোর্টস বোর্ডের বিরুদ্ধে সুর চড়ান ইকবাল। তার পরই তাঁকে আজীবন নির্বাসনের শাস্তি দেওয়া হল। উল্লেখ্য, পঞ্জাব অ্যাথলেটিক্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিও ছিলেন ইকবাল।

Advertisement
আরও পড়ুন