The Ashes 2025-26

বেশিই প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছিলাম! অ্যাশেজ়ে হেরে বলছেন ম্যাকালাম, আগে মদ্যপান করে তার পর তৃতীয় টেস্ট নিয়ে ভাববেন ইংল্যান্ডের কোচ

ব্রিসবেনে দিন-রাতের টেস্ট হেরে অ্যাশেজ়ে ০-২ পিছিয়ে পড়েছে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ভিন্ন কথা বলছেন কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম ও অধিনায়ক বেন স্টোকস।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:০৯
cricket

ব্রেন্ডন ম্যাকালাম। —ফাইল চিত্র।

ইংল্যান্ডের সাজঘরের হাল কি ভাল নয়? কোচ ও অধিনায়কের মধ্যে কি মতের পার্থক্য হচ্ছে? অ্যাশেজ় সিরিজ়ে ব্রিসবেনে দিন-রাতের টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের পর দু’জনের কথায় সেই ইঙ্গিতই পাওয়া যাচ্ছে। এক দিকে কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম বলছেন, বেশিই প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছিলেন তাঁরা। তাতে হিতে বিপরীত হয়েছে। অধিনায়ক বেন স্টোকস আবার হারের দায় সরাসরি ক্রিকেটারদের উপর চাপিয়েছেন। হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তাঁর দলে দুর্বল ক্রিকেটারদের কোনও জায়গা নেই।

Advertisement

অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে ইংল্যান্ডের প্রস্তুতি নিয়ে বার বার সমালোচনা চলছে। পার্‌থে প্রথম টেস্টের আগে লিলাক হিলে নিজেদের মধ্যেই তিন দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিল তারা। পার্‌থের সঙ্গে সেই উইকেটের কোনও মিল ছিল না। পরে ব্রিসবেনে দিন-রাতের টেস্টের আগে ক্যানবেরায় প্রধানমন্ত্রী একাদশের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেনি ইংল্যান্ড। বদলে ব্রিসবেনে পাঁচ দিন ধরে প্রস্তুতি সেরেছে তারা। ইংল্যান্ডের এই দলের তিন ক্রিকেটার এর আগে কোনও দিন গোলাপি বলে খেলেননি। তার পরেও প্রস্তুতি ম্যাচ তারা খেলেননি।

ব্রিসবেনে হেরে অবশ্য পাঁচ দিনের প্রস্তুতিকেই দায়ী করেছেন ম্যাকালাম। তিনি বলেন, “আমাদের প্রস্তুতি বেশিই হয়ে গিয়েছে। সে দিকে আমাদের খেয়াল রাখা উচিত ছিল। কখনও কখনও বেশি প্রস্তুতিও হিতে বিপরীত হয়ে যায়। এই ম্যাচে সেটাই হয়েছে।” ম্যাকালামের মতে, শারীরিক ও মানসিক ভাবে চনমনে থাকাটাও গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, “আমরা এত অনুশীলন করেছি যে, ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। আমাদের মানসিক ও শারীরিক ভাবে চনমনে থাকা উচিত ছিল। সেটা পরের ম্যাচ থেকে মাথায় রাখতে হবে। আজ রাতে মদ্যপান করব। তার পর ভাবব, পরের ম্যাচের আগে কী ভাবে প্রস্তুতি নেব।”

স্টোকস অবশ্য তেমনটা মনে করেন না। তাঁর মতে, অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়েছে তাঁদের। স্টোকসের কথা থেকে স্পষ্ট, তাঁদের প্রস্তুতি ভাল ভাবে হয়নি। তাই হারতে হয়েছে। কিন্তু ম্যাকালাম তো আবার অতিরিক্ত প্রস্তুতির কথা বলেছেন। কোচ ও অধিনায়কের কথায় কোনও মিল পাওয়া যাচ্ছে না।

স্টোকস পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে, তাঁর দলে দুর্বল ক্রিকেটারদের কোনও জায়গা নেই। ম্যাচ হেরে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বলেন, “আমি যত দিন অধিনায়ক আছি, তত দিন এই দলে দুর্বল ক্রিকেটারদের জায়গা নেই। এই হারে আমি হতাশ। কঠিন পরিস্থিতি সামলাতে পারিনি। চাপ সামলাতে পারিনি। তা হলে কী ভাবে জিতব? আমাদের আরও সাহসী ক্রিকেট খেলতে হবে।”

স্টোকস বিশ্বাস করেন, তাঁর দলের ক্ষমতা রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট জেতার। কিন্তু পারছেন না তাঁরা। স্টোকস বলেন, “গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমাদের হাত থেকে খেলা বেরিয়ে গিয়েছে। আমাদের দলে যা প্রতিভা, তার পর এই ফলে আরও হতাশ লাগছে। আমাদের মানসিক ভাবে আরও শক্তিশালী হতে হবে। আরও লড়াই করতে হবে।”

অ্যাশেজ় সিরিজ়ে ০-২ পিছিয়ে রয়েছে ইংল্যান্ড। এখান থেকেও তাঁদের ফেরার ক্ষমতা রয়েছে বলে মনে করেন স্টোকস। তিনি বলেন, “আমরা ০-২ পিছিয়ে রয়েছি। এখনও তিনটে টেস্ট বাকি। দল ও কোচিং স্টাফের উপর আমার পুরো ভরসা রয়েছে। এই পরিস্থিতি থেকেও আমরা ফিরতে পারি। তবে তার জন্য লড়াই করতে হবে। আরও দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে। অস্ট্রেলিয়াকে অস্ট্রেলিয়ায় হারানো কঠিন। তবে সেটাই আমাদের করে দেখাতে হবে। আশা করছি, সেটা করতে পারব।”

আপাতত কয়েক দিন বিশ্রাম রয়েছে। ১৭ ডিসেম্বর থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শুরু তৃতীয় টেস্ট। অ্যাডিলেডে হবে খেলা। এই টেস্ট হারলেই সিরিজ় হারতে হবে। এখন দেখার, তৃতীয় টেস্টে সিরিজ় ইংল্যান্ড ফিরতে পারে কি না।

Advertisement
আরও পড়ুন