ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। — ফাইল চিত্র।
প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকা। তার পর নিউ জ়িল্যান্ড। আগামী দু’মাসে ১০টি ম্যাচ খেলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নেবে ভারত। তবে কটকে খেলতে নামার আগে সূর্যকুমার যাদব জানিয়ে দিলেন, এখনই তাঁরা বিশ্বকাপ নিয়ে বেশি ভাবছেন না। সময় এলে তখন ভাববেন। কারণ, তাঁদের বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে দু’বছর আগে থেকেই। তরুণ ক্রিকেটারদের আরও বেশি ঘরোয়া ক্রিকেটে মন দেওয়ার অনুরোধ করেছেন ভারতের অধিনায়ক।
কটকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগের দিন সূর্য বলেছেন, “বিশ্বকাপের আগে দুটো ভাল দলের বিরুদ্ধে ১০টা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলব আমরা। আপাতত সেই ম্যাচের দিকেই মনোযোগ দিচ্ছি। প্রতিযোগিতা যত এগিয়ে আসবে, তত বিশ্বকাপের দিকে মনোযোগ দেব। এখনই সেটা নিয়ে ভাবছি না।”
কেন এত আত্মবিশ্বাসী সূর্য? ভারত অধিনায়ক বললেন, “২০২৪ বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর থেকেই পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলাম আমরা। এমন নয় যে, বিশ্বকাপের দু’মাস আগে এসে বললাম, এ বার আমাদের প্রস্তুতি শুরু হবে। অনেক আগে থেকেই সেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।”
চোট সারিয়ে প্রথম একাদশে শুভমন গিল এবং হার্দিক পাণ্ড্য ফিরবেন। শিবম দুবের জায়গায় হার্দিকের খেলা নিশ্চিত। শুভমন কার জায়গায় ঢোকেন সে দিকে নজর থাকবে। সূর্যের কথায়, “শুভমন গিল ফিট। দলের সঙ্গেই আছে। হার্দিক দলে এলে অনেক বিকল্প হাতে এসে যায়। ওর অভিজ্ঞতা অমূল্য। বড় প্রতিযোগিতায় সব সময়ে ভাল খেলেছে। ও আসায় দলে ভারসাম্য বাড়বে।”
তবে দলে খুব বেশি বদলে রাজি নন সূর্য। এটুকু জানিয়ে দিলেন, শুভমনই ওপেন করবেন। সূর্যের কথায়, “শ্রীলঙ্কায় শুভমনই শুরুতে ব্যাট করেছিল। তার পর আমরা সঞ্জুকে টপ অর্ডারে উঠিয়ে আনি। সঞ্জু যে কোনও জায়গায় ব্যাট করতে পারে। পরের দুটো সিরিজ়ে প্রথম একাদশে খুব বেশি বদল করতে চাইছি না। খুব বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষাও চাইছি না। এ ভাবেই খেলতে চাই।”
সূর্যের সংযোজন, “তিন থেকে সাতে যারা নামে তারা যে কোনও জায়গায় ব্যাট করতে পারে। তিলককে কোনও দিন ছয়ে এবং শিবমকে তিনে দেখতে পারেন। সকলেই মানিয়ে নিতে পারে। এই জন্যই দলটাকে শক্তিশালী লাগে। আমি খুব খুশি। ভাল ক্রিকেট খেলতে চাই। যেটা করে সাফল্য পাচ্ছি সেটা বদলাতে চাই না।”
ভারতের পূর্বপ্রান্তে খেলা হওয়ার কারণে মঙ্গলবারের ম্যাচে শিশির পড়ার সম্ভাবনা। সূর্য জানালেন, এ ব্যাপারে কিছুই করার নেই তাঁদের। বলেছেন, “এই স্টেডিয়ামে আগেও খেলেছি। শিশির নিয়ে কিছু করা সম্ভব নয়। কখনও বেশি পড়ে, কখনও কম। আমরা শুধু ভাল প্রস্তুতিটাই নিতে পারি, তাই না? পিচে বাউন্স এবং গতি রয়েছে। সেটাই আমাদের দলের জন্য ভাল।”
টি-টোয়েন্টি দলে থাকা অনেকেই সম্প্রতি ঘরোয়া প্রতিযোগিতা সৈয়দ মুস্তাক আলিতে খেলেছেন। এতে খুশি সূর্য। বলেছেন, “আন্তর্জাতিক ম্যাচ কম থাকে। তাই ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা জরুরি। এতে খেলাটার তৃণমূল স্তরের কাছাকাছি থাকা যায়। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে এলে অনেক বেশি প্রস্তুত হয়ে আসা যায়। অনেকেই এখন ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছে। এটা খুবই ভাল ব্যাপার।”