বৈভব সূর্যবংশী (বাঁ দিকে) ও সঞ্জু স্যামসন। —ফাইল চিত্র।
ভুল ভাঙতে বেশি ক্ষণ সময় লাগেনি সঞ্জু স্যামসনের। রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে নিজের প্রথম আইপিএলে নজর কেড়েছে বৈভব সূর্যবংশী। সে যে এত বিধ্বংসী ব্যাট করতে পারে তা আগে বুঝতে পারেননি সঞ্জু। তাঁর ভুল ভেঙেছিল বৈভব।
রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ইউটিউব চ্যানেলে তাঁর সঙ্গে কথা বলছিলেন সঞ্জু। সেখানেই বৈভবের প্রসঙ্গ আসে। তখনই সঞ্জু বলেন, “আমি ওকে প্রথম নেটে দেখি। একটা বলে ও ছক্কা মেরেছিল। আমি ভেবেছিলাম, বাচ্চা ছেলে ভাগ্যের জোরে মেরেছে। কিন্তু ও একের পর এক ছক্কা মেরে গেল। যে ভাবে শট মারছিল সেটা দেখে আমি অবাক হয়েছিলাম। আমার ভুল ভাঙতে বেশি ক্ষণ লাগেনি।”
রাজস্থানের হয়ে প্রথম দিকে বেঞ্চেই বসেছিল বৈভব। কিন্তু সঞ্জু আঙুলে চোট পাওয়ায় সুযোগ পায় সে। তার পর আর আটকে রাখা যায়নি তাকে। গত মরসুমে সাতটা ম্যাচ খেলেছে সে। করেছে ২৫২ রান। ৩৬ গড় ও ২০৬.৫৬ স্ট্রাইক রেটে রান করেছে বৈভব। গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে মাত্র ৩৫ বলে শতরান করেছে বৈভব। ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে সেটা আইপিএলে দ্রুততম শতরান। এখন থেকেই ভবিষ্যতের তারকা ধরা হচ্ছে তাকে।
বৈভবকে দেখে অবাক হয়েছেন অশ্বিনও। তিনি নিজে বল করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন। সেই অভিজ্ঞতার কথাও জানিয়েছেন তিনি। অশ্বিন বলেন, “রাজস্থান বনাম চেন্নাই ম্যাচ হচ্ছিল। আমি রাউন্ড দ্য উইকেট ওকে একটা বল করলাম। বৈভব কভারের উপর দিয়ে উড়িয়ে দিল। পরের বলটা মন্থর করেছিলাম। দেখতে চাইছিলাম ও কী ভাবে খেলে। বৈভব অপেক্ষা করল। তার পর মিড অন দিয়ে মাখনের মতো একটা শট খেলে সিঙ্গল নিল। আমি ভাবছিলাম, হায় ভগবান, এই ছেলেটা কোথা থেকে এল?”
অশ্বিনের মতো অভিজ্ঞ বোলারের বিরুদ্ধে খেলতে একটুও ভয় পায়নি বৈভব। তার সেই সাহসের কথা উঠে এসেছে অশ্বিনের মুখে। তিনি বলেন, “আমি ১৮ বছর ধরে আইপিএল খেলছি। যখন আইপিএল খেলা শুরু করেছিলাম, তখন বৈভবের জন্ম হয়নি। সেই ছেলে যে এই ভাবে আমার বল খেলবে ভাবতে পারিনি।”