আইএসএলের ট্রফি। — ফাইল চিত্র।
ইস্টবেঙ্গল বাদে আইএসএলের বাকি ক্লাবগুলি সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল, তারা নিজেরাই আইএসএল আয়োজন করতে চায়। একই প্রস্তাব রেখেছিল আই লিগের ক্লাবগুলিও। দু’টি প্রস্তাবই খারিজ করে দিল ফেডারেশন। তারা দু’টি লিগের জন্য তিন সদস্যের একজোড়া কমিটি তৈরি করেছে। তারা সংশ্লিষ্ট ক্লাবেদের সঙ্গে আলোচনা করে দু’টি লিগের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।
শনিবার দিল্লিতে কর্মসমিতির বৈঠক ছিল। সেখানেই আইএসএলের ক্লাবগুলির ভবিষ্যৎ নিয়ে বৈঠক হয়। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের সিইও বিনয় চোপড়া আনুষ্ঠানিক ভাবে কর্মসমিতির সদস্যদের কাছে প্রস্তাব পেশ করেন। তাতে আপত্তি তোলে বাংলা-সহ একাধিক রাজ্য সংস্থা। তারা দাবি করে, এতে ফেডারেশনের সংবিধান-বিরোধী কাজ হয়ে যাবে। লিগ আয়োজনের দায়িত্বে ফেডারেশনেরই থাকা উচিত।
এর পরেই আইএসএলের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গড়া হয়। সেখানে কেরলের নাভাস মীরান, গোয়ার কাইতানো ফার্নান্ডেজ় এবং বাংলার অনির্বাণ দত্ত রয়েছেন। তাঁরা ২২-২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে চেন্নাইয়িন, মুম্বই সিটি, দিল্লি, নর্থইস্ট ইউনাইটেড এবং মোহনবাগানের সঙ্গে কথা বলবে। তার পর প্রস্তাব জমা দেবেন ফেডারেশনকে। সেই অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টকে বিষয়টি জানানো হবে। আই লিগের কমিটিতে রয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের কোটাগিরি শ্রীধর, মিজ়োরামের লালরেংপুইয়া এবং পঞ্জাবের হরজিন্দর সিংহ। দরকারে ফিফা এবং এএফসি-র সাহায্য নেবে ফেডারেশন। অন্য কোনও দেশে এই পরিস্থিতি হলে তা কী ভাবে সামলানো হয়েছিল, তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
উল্লেখ্য, ক্লাবের লিগ আয়োজনের প্রস্তাবের বিরোধিতা করে আগেই চিঠি দিয়েছিলেন কর্মসমিতির সদস্য অভিজিৎ পাল এবং ভালাঙ্কা আলেমাও। পরে চিঠি দেন ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার। আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলই একমাত্র ক্লাব যারা শুরু থেকে ক্লাবেদের লিগ আয়োজনের বিরোধিতা করে এসেছে।