India vs England 2025

সাংবাদিক বৈঠকে মোবাইল বেজে উঠল বুমরাহের, দেখেই ফোন সরিয়ে দিলেন, কার ফোন ছিল?

লর্ডস টেস্ট শুরুর আগের দিন স্ত্রী সঞ্জনা গণেশনকে নিয়ে উইম্বলডন দেখতে গিয়েছিলেন জসপ্রীত বুমরাহ। আর ম্যাচের দ্বিতীয় দিন মোবাইলের স্ক্রিনে ‘ওয়াইফ’ লেখা ভেসে উঠতেই ফোন সরিয়ে দিলেন তিনি!

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৫ ১৫:০৯
picture of Jasprit Bumrah

জসপ্রীত বুমরাহ। ছবি: পিটিআই।

ভারত-ইংল্যান্ড তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন জসপ্রীত বুমরাহ। সে সময় হঠাৎ তাঁর সামনে রাখা একটি মোবাইল ফোন বেজে ওঠে। ফোনের ডিসপ্লেতে ‘ওয়াইফ’ লেখা ভেসে উঠতেই ফোনটি সরিয়ে দেন বুমরাহ।

Advertisement

শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক নানা রসিকতায় মাতিয়ে রেখেছিলেন বুমরাহ। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার উচ্ছ্বাসের ছাপ ছিল তাঁর মুখে। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন মজা করে। একটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় তাঁর সামনে রাখা একটি মোবাইল ফোন বেজে ওঠে। মোবাইলটি হাতে নিয়ে দেখে বুমরাহ হাসি মুখে বলেন, ‘‘কারও এক জনের স্ত্রী ফোন করছেন। এই ফোন আমি ধরতে পারব না।’’ তাঁর কথা শুনে হেসে ফেলেন সকলে। বুমরাহ ফোনটি ‘মিউট’ করে একটু সরিয়ে রাখেন। এই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে।

বুমরাহকে প্রশ্ন করা হয়, টেস্ট ক্রিকেটে আপনার সেরা স্মৃতি কী? উত্তরে ২০২১ সালের সফরে লর্ডস টেস্টে ১৫১ রানের জয়কে বেছে নেন তিনি। বুমরাহ বলেন, ‘‘এ সব নিয়ে খুব একটা ভাবি না। তবে গত ইংল্যান্ড সফরে একটা টেস্টকে স্মরণীয় বলতে পারি। যখন আমি আর শামি ভাই (মহম্মদ শামি) ব্যাট হাতে ম্যাচ জিতিয়ে ছিলাম। সেই স্মৃতি এখনও আমার কাছে টাটকা। এই ম্যাচটা এখনও পর্যন্ত ভাল গেল। লর্ডসের অনার্স বোর্ডে নাম উঠল। ছেলে বড় হলে ওকে বলতে পারব, লর্ডসের অনার্স বোর্ডে আমার নাম রয়েছে। ভাল ম্যাচ আরও আছে। তবে ২০২১ সালে এখানে বোধহয় ৩টে বা ৪টে উইকেট পেয়েছিলাম। তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ আমরা ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস ৬০ ওভারের মধ্যে শেষ করে দিয়েছিলাম। সে জন্যই ম্যাচটা মনে রয়েছে।’’ উল্লেখ্য, ২০২১ সালের লর্ডস টেস্টে প্রথম ইনিংসে কোনও উইকেট পাননি বুমরাহ। ব্যাট হাতে করেছিলেন শূন্য। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে শামির সঙ্গে জুটিতে তোলেন ৮৯ রান। বুমরাহ করেন ৩৪। শামির ব্যাট থেকে এসেছিল ৫৬।

৩১ বছরের জোরে বোলার জানিয়েছেন দেশের জার্সি গায়ে মাঠে নামলে সেরাটা দেওয়া ছাড়া কিছু ভাবেন না। বুমরাহ বলেছেন, ‘‘ভারতের হয়ে খেললে দলকে যতটা বেশি সম্ভব সাহায্য করার চেষ্টা করি। সেটা করতে পারলে ভাল লাগে। দলকে ম্যাচে ভাল জায়গায় পৌঁছে দিতে পারলে আরও ভাল লাগে। আমার ভাবনা একই রকম রয়েছে। যখন থেকে দেশের হয়ে খেলছি, তখন থেকেই দেখছি সবাইকে নিয়েই কাটাছেঁড়া করা হয়। আমাদের এ সব মেনে নিয়েই খেলতে হয়। পেশাদার খেলোয়াড়দের এ ভাবেই চলতে হয়। সব সময় পারফরম্যান্স দিয়ে বিচার করা হয় সব কিছু। এমনকি সচিন তেন্ডুলকর যখন ২০০তম টেস্ট খেলেছেন, তখনও তাঁকে নিয়ে কাটাছেঁড়া হয়েছে। সবাই বিচারক হয়ে যায়।’’

Advertisement
আরও পড়ুন