ICC Champions Trophy 2025

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দায়িত্ব পালনে আপত্তি, শতাধিক পুলিশকর্মীর চাকরি গেল পাকিস্তানে

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনে রাজি হননি শতাধিক পুলিশকর্মী। ফলে তাঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কড়া পদক্ষেপ করেছে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের পুলিশ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:৩৯
cricket

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানে নিরাপত্তার কড়াকড়ি। ছবি: সমাজমাধ্যম।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিরাপত্তার কোনও রকম গলদ বরদাস্ত করতে রাজি নয় পাকিস্তান। প্রতিযোগিতা চলাকালীন নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনে রাজি হননি শতাধিক পুলিশকর্মী। ফলে তাঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কড়া পদক্ষেপ করেছে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের পুলিশ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, এই পুলিশকর্মীরা সকলে একই জায়গায় মোতায়েন ছিলেন না। বিভিন্ন পুলিশকর্মীকে বিভিন্ন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা তা করতে চাননি। পঞ্জাব পুলিশের আইজিপি উসমান আনোয়ার জানিয়েছেন, নিরাপত্তায় কোনও গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। তিনি বলেন, “লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়াম ও হোটেলের মধ্যে দলের যাতায়াতের সময় কড়া নিরাপত্তা থাকে। সেই কাজে যাঁরা নিযুক্ত ছিলেন, তাঁদের অনেকে দায়িত্ব পালন করতে চাননি। কয়েক জন আবার কাজেই আসেননি। তাই তাঁদের বরখাস্ত করা হয়েছে। অন্য দায়িত্বে থাকা কয়েক জনকেও বরখাস্ত করা হয়েছে।”

ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে একই রকমের পদক্ষেপ তাঁরা করবেন বলে জানিয়েছেন উসমান। তিনি বলেন, “চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো একটা বড় আইসিসি প্রতিযোগিতায় নিরাপত্তায় গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। বিভিন্ন দেশের দর্শকেরা পাকিস্তানে এসেছেন। তাঁদের ও খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা আমাদের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব পালনে গাফিলতি চলবে না।”

তবে কেন ওই পুলিশকর্মীরা কাজ করতে চাননি তা জানা যায়নি। একটি সূত্রে খবর, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অনেক বেশি কাজ করতে হচ্ছে সকলকে। বেশির ভাগ পুলিশকর্মী ছুটি পাননি। সেই কারণেই হয়তো কাজে ফাঁকি দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু তা ধরা পড়তেই শাস্তি পেতে হয়েছে তাঁদের।

পাকিস্তানে এ বার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হলেও প্রথম দল হিসাবে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিয়েছে সেই পাকিস্তানই। প্রথমে নিউ জ়িল্যান্ড ও তার পর ভারতের কাছে হেরে প্রতিযোগিতা শেষ হয়ে গিয়েছে বাবর আজ়ম, মহম্মদ রিজ়ওয়ানদের। ফলে কিছুটা হলেও সে দেশের দর্শকের কাছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগ্রহ কমেছে। সমালোচনা হচ্ছে পাকিস্তানের ক্রিকেট দল ও সে দেশের ক্রিকেট বোর্ডের।

Advertisement
আরও পড়ুন