আয়েশা নাসিম। —ফাইল চিত্র।
মাত্র ১৮ বছর বয়সে ক্রিকেট খেলা ছেড়ে দিলেন পাকিস্তানের আয়েশা নাসিম। ইসলাম ধর্ম মেনে বাকি জীবন কাটাতে চান তিনি। সেই কারণেই হঠাৎ অবসর নিলেন পাকিস্তানের হয়ে ৩৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা আয়েশা। তাঁর নেওয়া এই আচমকা সিদ্ধান্ত মনে করিয়ে দিল ভারতীয় অভিনেত্রী জায়রা ওয়াসিমের কথা। তিনিও মাত্র ১৯ বছর বয়সে অভিনয় ছেড়ে দিয়েছিলেন ইসলাম ধর্ম মেনে জীবনযাপন করার জন্য।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন আয়েশা। তাঁর কেরিয়ারের সেরা সময়ে দাঁড়িয়ে অবসর নেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত অবাক করে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। আয়েশা পাক ক্রিকেট বোর্ডকে বলেন, “আমি ক্রিকেট খেলা ছেড়ে দিচ্ছি। ইসলাম ধর্ম মেনে বাকি জীবন কাটাতে চাই।”
২০২০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল আয়েশার। ৩০টি টি-টোয়েন্টি এবং চারটি এক দিনের ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। টি-টোয়েন্টিতে করেছেন ৩৬৯ রান এবং এক দিনের ক্রিকেটে ৩৩ রান। এই বছরের শুরুতে শেষ বার খেলেছিলেন আয়েশা। পাকিস্তানের মেয়েদের ক্রিকেটে আগামী দিনের তারকা মনে করা হচ্ছিল তাঁকে। কিন্তু আয়েশার এমন হঠাৎ অবসরের সিদ্ধান্তে পাকিস্তান ক্রিকেটের সকলেই অবাক হয়ে গিয়েছেন। আয়েশার ছক্কা হাঁকানোর ক্ষমতা অবাক করে দিয়েছিল সকলকে। তাঁর আক্রমণাত্মক খেলার ধরন পাকিস্তানের ক্রিকেটকে নতুন আশা জাগাচ্ছিল। কিন্তু সেই সব ছেড়ে আয়েশা বেছে নিলেন ইসলাম ধর্মকে।
Ayesha Naseem is some hitter and she's only 18
— Farid Khan (@_FaridKhan) July 20, 2023pic.twitter.com/Wx41vrguXw
ধর্মের টানেই বলিউডকে বিদায় জানিয়েছিলেন ‘দঙ্গল’ খ্যাত অভিনেত্রী জায়রা ওয়াসিম। সেই ঘটনার পর প্রায় চার বছর কেটে গিয়েছে। আমির খানের সঙ্গেই বড় পর্দায় অভিষেক। তার পর ‘সিক্রেট সুপারস্টার’, ‘দ্য স্কাই ইজ় পিঙ্ক’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করেন। এর পরই বিদায় জানান রুপোলি পর্দাকে। তার পর অনেক বছর কেটে গিয়েছে। প্রায় গা-ঢাকা দিয়েই রয়েছেন অভিনেত্রী। নিজের মুখ প্রকাশ্যে দেখান না। কোনও সমাজমাধ্যমেও তাঁর বর্তমান চেহারার ছবি নেই।
কিছু দিন আগে টুইটারে একটি ছবি পোস্ট করেন জায়রা। সেখানে দেখা যাচ্ছে বোরখায় মুখ ঢাকা অবস্থাতেই এক মহিলা খাবার খাচ্ছেন। ছবির ক্যাপশনে প্রশ্ন করা হয়েছিল, “এটা কি কেউ স্বেচ্ছায় করতে পারেন?” তাতেই গর্জে ওঠেন জায়রা। তিনি লেখেন, “এই তো একটা বিয়েবাড়িতে গেলাম। এই ভাবেই খেয়ে এসেছি। এটা সম্পূর্ণ আমার সিদ্ধান্ত। যদিও আশপাশের লোক জন হিজাব খোলার জন্য বার বার জোর করতে থাকেন। তবে আমি আমার হিজাব কখনওই খুলব না।”