শাহিন আফ্রিদি। ছবি: এক্স।
বিগ ব্যাশ লিগে অভিষেক ম্যাচেই দলকে অস্বস্তিতে ফেললেন শাহিন আফ্রিদি। বিপজ্জনক বল করার অভিযোগে পাকিস্তানের এক দিনের দলের অধিনায়ককে ওভার শেষ করতে দিলেন না আম্পায়ারেরা।
বিগ ব্যাশ লিগে সিডনি সিক্সার্সের হয়ে প্রথম ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়েছেন বাবর আজ়ম। অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি লিগে এ বার পাকিস্তানের অস্বস্তি বাড়ালেন আফ্রিদি। ব্রিসবেন হিটের হয়ে খেলতে নেমে খানিকটা বিতর্কেও জড়ালেন তিনি। সোমবার মেলবোর্ন রেনেগেডসের বিরুদ্ধে প্রথম খেলতে নামেন আফ্রিদি। মেলবোর্নের ইনিংসের ১৮তম ওভারে বিপজ্জনক বল করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। ওভারের পঞ্চম বলটি ফুলটস করেন আফ্রিদি। তাঁর ফুলটস ব্যাটার অলিভার পিকসের কোমরের উপর দিয়ে যায়। উইকেটরক্ষক জিমি পিয়ারসনও বলটি ধরতে পারেননি। মেলবোর্ন ২ রান নেয়। এই বলের পরই আম্পায়ারেরা আফ্রিদিকে আর বল করতে দেননি।
পিকসকে করা বলটি ছিল আফ্রিদির করা দ্বিতীয় বিপজ্জনক বল। ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে আর বল করতে দেননি আম্পায়ারেরা। আফ্রিদি ভুলের জন্য আম্পায়ারদের কাছে ক্ষমা চাইলেও লাভ হয়নি। ব্রিসবেন অধিনায়ক নাথান ম্যাকসুইনিকে ডেকে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন আম্পায়ারেরা।
এই ম্যাচে চেনা ফর্মে দেখা যায়নি আফ্রিদিকে। নিজের প্রথম ওভার করতে এসে ৯ রান দেন। তাঁকে আক্রমণ থেকে সরিয়ে নেন ম্যাকসুইনি। তাঁকে আবার ১৩তম ওভারে বল দেন। নিজের দ্বিতীয় ওভারে আফ্রিদি দেন ১৯ রান। মার খেয়েও টানা খাটো লেংথের বল করে যান। হতাশ অধিনায়ক আবার সরিয়ে দেন আফ্রিদিকে। শেষে ১৮তম ওভারে আক্রমণে এনেও ছ’টি বল করাতে পারেননি। ম্যাচে ২.৪ ওভার বল করে ৪৩ রান দেন আফ্রিদি। কোনও উইকেট পাননি।
পাক বোলারের এমন দশা দেখে রসিকতা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটপ্রেমীরা। সমাজমাধ্যমে নানা মন্তব্য করা হয়েছে। আফ্রিদিকে ছাড় দেননি বিবিএল কর্তৃপক্ষও। তাঁর একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে লেখা হয়েছে, ‘‘বাঃ! বিবিএল অভিষেকেই বোলিং আক্রমণ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল শাহিন আফ্রিদিকে।’’