Lionel Messi

আদানি বনাম অম্বানী! দুই শিল্পপতির লড়াইয়ে দীর্ঘায়িত হল মেসির ভারত সফর

মেসির চলতি সফরের অন্যতম প্রধান পৃষ্ঠপোষক গৌতম আদানি। রবিবার মুম্বইয়ে তাঁর সঙ্গে নৈশভোজ করেন মেসি, সুয়ারেজ়, ডি’পল। তার পর থেকেই সক্রিয় হয়ে ওঠে মুকেশ অম্বানীর গোষ্ঠী।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ২০:১০
picture of football

(বাঁ দিক থেকে) গৌতম আদানি, লিয়োনেল মেসি এবং মুকেশ অম্বানী। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

গৌতম আদানিকে একা মেসি-নম্বর পেতে দিচ্ছেন না মুকেশ অম্বানী। শেষ মুহূর্তে আসরে নেমে লিয়োনেল মেসিকে ভারত সফর দীর্ঘায়িত করার সিদ্ধান্ত নেওয়াতে পেরেছেন তিনি।

Advertisement

সোমবার রাতে দিল্লি থেকেই বার্সেলোনা ফিরে যাওয়ার কথা ছিল মেসির। কিন্তু গেলেন না বিশ্বজয়ী আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। দিল্লি থেকে গুজরাতের জামনগরে যাচ্ছেন তিনি। গ্রহণ করবেন অম্বানীদের আতিথেয়তা।

মেসির ভারত সফরের অন্যতম প্রধান পৃষ্ঠপোষক আদানি গোষ্ঠী। রবিবার মুম্বইয়ে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর প্রধানের সঙ্গে নৈশভোজও সেরেছেন মেসি। সঙ্গে ছিলেন লুইস সুয়ারেজ়, রদ্রিগো ডি’পলও। বিষয়টি জানার পরই সক্রিয় হয়ে ওঠে অম্বানী গোষ্ঠী।

মেসির সঙ্গে নাম যুক্ত করার দৌড়েও ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী পিছিয়ে থাকতে চায়নি বলেই সংস্থার সূত্রে খবর। অম্বানী গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে মেসিকে আমন্ত্রণ জানানো হয় জামনগরের ‘বনতারা’য়। তার বিনিময়ে মোটা অর্থের প্রস্তাব দেওয়া হয় আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ী অধিনায়ককে। অম্বানী গোষ্ঠীর প্রস্তাবে রাজি হয়ে মুকেশের প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন মেসি। তার পর সফরসূচি বাড়িয়ে মঙ্গলবার দিল্লি থেকে জামনগরের যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

জামনগরে রয়েছে অম্বানী গোষ্ঠীর বিশেষ প্রকল্প ‘বনতারা’। চলতি বছরের প্রথম দিকে যার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রিলায়্যান্স ফাউন্ডেশনের পরিচালনায় প্রায় ৩০০০ একর বিস্তৃত ‘বনতারা’য় রয়েছে পশুদের সম্পূর্ণ আধুনিক চিকিৎসার ব্যবস্থা। রয়েছে ৪৩ প্রজাতির প্রায় ২০০০ প্রাণী। এশীয় সিংহ, তুষারচিতা, একশৃঙ্গ গন্ডার-সহ একাধিক বিরল প্রাণীর বাসস্থান অম্বানীদের ‘বনতারা’। বন্যপ্রাণী উদ্ধার, সংরক্ষণ ও চিকিৎসার এই বিশেষ প্রকল্প রিলায়্যান্স গোষ্ঠীর চিড়িয়াখানা হিসাবেও পরিচিত।

‘বনতারা’ দিয়ে শেষ হবে মেসির এ বারের ভারত সফর। অম্বানী গোষ্ঠীর আতিথেয়তা গ্রহণ করে তার পর ফিরে যাবেন মেসি। গত শুক্রবার রাত আড়াইটে নাগাদ ব্যক্তিগত বিমানে কলকাতায় আসেন মেসি। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের পরিকল্পনাহীন অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল। মাঠে মেসিকে ঘিরে থাকা ভিড়ের কারণে চড়া দামে টিকিট কেনা দর্শকেরা গ্যালারি থেকে মেসিকে দেখতে পাননি। অতিরিক্ত ভিড়ে বিরক্ত মেসি যুবভারতী ছাড়ার পরই দর্শকেরা বিক্ষোভ শুরু করেন। যথেচ্ছ ভাঙচুর চালানো হয় স্টেডিয়ামে। এর পর শনিবার রাতেই হায়দরাবাদ, রবিবার মুম্বই এবং সোমবার দিল্লির অনুষ্ঠান সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন