বৈভব সূর্যবংশী। — ফাইল চিত্র।
বিজয় হজারে ট্রফির প্রথম ম্যাচেই রেকর্ড রান তুলে জিতেছে বিহার। বুধবার অরুণাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে ৫৭৪ রান তোলে তারা। বৈভব সূর্যবংশী একাই করে ১৯০ রান। ১৪ বছরের ক্রিকেটারের প্রশংসা করেও ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে চিন্তিত রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তাঁর মতে, এ ধরনের ফলে ছোট দলগুলির আত্মবিশ্বাসে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
অশ্বিনের মতে, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দু’টি দলের পার্থক্য এতটাই হয়ে যাচ্ছে যে, ম্যাচে কোনও লড়াই-ই হচ্ছে না। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে অশ্বিন বলেছেন, “বৈভব সূর্যবংশীর জন্য অনেক প্রশংসা। তবু আমি একটা প্রশ্ন করতে চাই। কিছু দলের মধ্যে বিরাট পার্থক্য হয়ে যাচ্ছে। কিছু লড়াই এতটাই দুর্বল যে ম্যাচের কোনও মাহাত্ম্য থাকছে না। এটা ক্রিকেট ম্যাচ নয়। বৈভবের পারফরম্যান্সের জন্য ওকে শুভেচ্ছা। ও যেটা পারে সেটাই করেছে। আমরা যদি অরুণাচল প্রদেশকে একটা ভাল দল হিসাবে ধরে থাকি, তা হলে এই ফল ওদের আত্মবিশ্বাসে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে ভেবে দেখেছেন?”
বিজয় হজারের প্রথম রাউন্ডেই অনেক বড় রান হয়েছে। বিহার ৫০ ওভারে ৫৭৪ রান তুলেছে। ঝাড়খণ্ডের তোলা ৪১২ রান কর্নাটক তাড়া করে জিতেছে। বাংলা ৩৮৩ রান তাড়া করে হারিয়েছে বিদর্ভকে। বাকি দলগুলি একে অপরের সমকক্ষ হলেও, বিহার এবং অরুণাচলের পার্থক্য এই মুহূর্তে অনেকটাই। সে দিক থেকে ঠিক কথাই বলেছেন অশ্বিন।
ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তন হওয়া ঈশান কিশনকে নিয়েও মুগ্ধ প্রাক্তন অফস্পিনার। বলেছেন, “সকলেরই ভাল-খারাপ সময় যায়। ঈশানও কঠিন পরিস্থিতিতে দিন কাটিয়েছে। দলে এসেও বাদ গিয়েছিল। বিরতি নিয়েছিল। এক দিনের ক্রিকেটে দ্বিশতরান করেও ফিরতে পারেনি। আইপিএলে শতরান করেও প্রতিযোগিতাটা ভাল কাটেনি।”
সৈয়দ মুস্তাক আলিতে ভাল খেলাই ঈশানের জীবনের মোড় ঘুরিয়েছে বলে মনে করেন অশ্বিন। তাঁর কথায়, “সৈয়দ মুস্তাকে ভাল খেলেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পেয়েছে ঈশান। এখন বিজয় হজারে ট্রফিতে মিডল অর্ডারে ব্যাট করেও ৩৩ বলে শতরান করেছেন। এতেই বোঝা যাচ্ছে, আত্মবিশ্বাস এবং ফর্ম মানুষকে কোন জায়গায় পৌঁছে দিতে পারে। সময়ের অপেক্ষা করে থাকেনি। পরিশ্রম করে সুযোগ কাজে লাগিয়েছে।”