Richa Ghosh

বাবাকে আম্পায়ারিং করা ছেড়ে দিতে বলেছিলেন বিশ্বকাপজয়ী রিচা!

উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগের (ডব্লিউপিএল) মহানিলাম রয়েছে কিছু দিন পরেই। তার আগে রিচা ঘোষ জানালেন প্রথম বার নিলামের উত্তেজনার কথা। কী কী বলেছেন তিনি?

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৫ ১৭:৩৩
cricket

বিশ্বকাপ হাতে রিচা ঘোষ। ছবি: পিটিআই।

উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগের (ডব্লিউপিএল) নিলাম রয়েছে কিছু দিন পরেই। তবে নিলামে কোন দল তাঁকে নেবে তা নিয়ে ভাবতে হবে না রিচা ঘোষকে। তাঁকে ২.৭৫ কোটি টাকায় ধরে রেখেছে বেঙ্গালুরু। সেই রিচা জানালেন প্রথম বার নিলামের উত্তেজনার কথা। তিনি ভাবতেই পারেননি বেঙ্গালুরুতে স্মৃতি মন্ধানার সঙ্গে খেলার সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি পরিবারের আত্মত্যাগ নিয়েও কথা বলেছেন তিনি।

Advertisement

আরসিবি-র পোস্ট করা একটি ভিডিয়োয় রিচা বলেছেন, “আমরা তখন (২০২২) দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপ খেলছিলাম। হোটেলে একটা টিভি ছিল। আমরা একসঙ্গে বসে কোনও একটা ম্যাচ দেখছিলাম। আমি ভাবতে পারিনি আরসিবি-তে যাব। কারণ আরসিবি তত ক্ষণে অনেক ক্রিকেটার কিনে ফেলেছিল। স্মৃতিদি ছিল, আরও দু’-তিন জনকে কিনেছিল।”

রিচার সংযোজন, “আমার নাম উচ্চারণ করার সময় খুব খুশি হয়েছিলাম। স্মৃতিদি ভাবছিল আমাকে ওর দল কিনতে পারবে না। কারণ ওদের হাতে তখন অত টাকা ছিল না। যখন বুঝতে পারলাম স্মৃতিদির সঙ্গে খেলব তখন খুব খুশি হয়েছিলাম। পরিবারও খুশি হয়েছিল। বিশ্বকাপের মাঝে নিলাম হয়েছিল। আলাদা একটি শক্তি চলে এসেছিল মনের মধ্যে। প্রথম বার খেলার সময়েও অদ্ভুত একটা অনুভূতি তৈরি হয়েছিল।”

রিচাকে ক্রিকেটার করার জন্য পরিবার অনেক কষ্ট করেছে। টাকা ধার করে ক্রিকেটের সরঞ্জাম কিনে দেওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় ম্যাচ খেলতে নিয়ে যাওয়া। রিচা জানালেন, এই আত্মত্যাগ কোনও দিন ভুলতে পারবেন না। বাংলার উইকেটকিপারের কথায়, “পরিবার কত কষ্ট করে আমাকে মানুষ করেছে সেটা কোনও দিন ভুলতে পারব না। ক্রিকেট খেলতে শুরু করার পর আমি নিজে উপার্জন করতে শুরু করি। বাবাকে বলেছিলাম, আর তোমায় আম্পায়ারিং করতে হবে না। রোদের মধ্যে সারাদিন দাঁড়িয়ে থাকা। ওঁর বয়সও হচ্ছে। আমি বলেছিলাম, ইচ্ছা হলে চাকরি করতেই পারো। না ইচ্ছা হলে বাড়িতে বসে আরাম করো। কিন্তু উনি বাবা। বাবারা তো বসে থাকতে পারেন না।”

Advertisement
আরও পড়ুন