কোহলিকে নিয়ে মঞ্জরেকরের সেই দু’টি টুইট। উপরেরটি ২০১২ সালের, নীচেরটি টেস্ট থেকে কোহলির অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণার দিন, সোমবারের। ছবি: সমাজমাধ্যম।
কোনও ক্রিকেটারের সম্পর্কে মন্তব্য করে পরে ঢোঁক গেলার অভ্যাস রয়েছে সঞ্জয় মঞ্জরেকরের। অতীতে রবীন্দ্র জাডেজাকে ‘টুকরো-টাকরা’ ক্রিকেটার বলেছিলেন। পরে নিজের কথাই গিলতে হয়েছিল। সোমবার গিলতে হল ১৩ বছর আগে বিরাট কোহলিকে নিয়ে করা মন্তব্য।
কোহলির অবসরের পর মঞ্জরেকর সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, “আধুনিক ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ব্র্যান্ড, যে নিজের সবটা ক্রিকেটের প্রাচীনতম ফরম্যাটের জন্য দিয়েছে। টেস্ট ক্রিকেট বিরাট কোহলির কাছে ঋণী থাকবে।”
মঞ্জরেকর এই মন্তব্য করার পরেই সমর্থকেরা মনে করিয়ে দিয়েছেন ২০১২ সালে তাঁর করা একটি পোস্টের কথা। সেখানে কোহলির সম্পর্কে একটি বাক্যেই মঞ্জরেকর বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি টেস্ট ক্রিকেটে খেলার যোগ্য নন।
২০১২ সালের ৬ জানুয়ারিতে করা ওই পোস্টে মঞ্জরেকর লিখেছিলেন, “আমি তবুও ভিভিএসকে (লক্ষ্মণ) বসিয়ে দিয়ে পরের টেস্টে রোহিতকে খেলানোর পক্ষে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ছাপ থাকবে তাতে। বিরাটকে আরও একটা টেস্ট খেলতে দেওয়া হোক, যাতে প্রমাণ হয়, ও টেস্ট ক্রিকেট খেলার যোগ্য নয়।”
উল্লেখ্য, ১৩ বছর আগে মঞ্জরেকর যখন পোস্টটি লিখেছিলেন তখন অস্ট্রেলিয়া সফরে ছিল ভারত। সেটাই বিরাটের প্রথম অস্ট্রেলিয়া সফর ছিল। মঞ্জরেকরের টুইটের দিন সিডনিতে দ্বিতীয় টেস্টে ভারত এক ইনিংস এবং ৬৮ রানে হেরেছিল। কোহলি দুই ইনিংসে ২৩ এবং ৯ রান করেছিলেন।
কোহলি তার পরের টেস্টই শুধু নয়, খেলেছিলেন চতুর্থ টেস্টেও। মঞ্জরেকরকে মুখের উপর জবাব দিয়েছিলেন। তৃতীয় টেস্টেও ভারত ইনিংসে হারে। কোহলি প্রথম ইনিংসে ৪৪ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৫ রান করেছিলেন। দু’টি ইনিংসেই দলের সর্বোচ্চ রান ছিল তাঁর।
চতুর্থ টেস্ট ছিল অ্যাডিলেডে। সেই টেস্টের প্রথম ইনিংসে কোহলি (১১৬) শতরান করেন। সেটাই টেস্ট ক্রিকেট এবং অস্ট্রেলিয়ায় মাটিতে কোহলির প্রথম শতরান। তার পর আরও ২৯টি শতরান করেছেন। কিন্তু কোহলিকে নিয়ে করা সেই টুইটের জন্য কোনও দিন ক্ষমা চাননি মঞ্জরেকর। এ দিনের টুইটে তাঁর ডিগবাজি আরও এক বার স্পষ্ট।