মাটিতে পড়ে কাতরাচ্ছেন আম্পায়ার রোহন পন্ডিত (ডান দিকে)। ছবি: সমাজমাধ্যম।
দুই দলের ক্রিকেটারের কেউ নয়, শুক্রবার অহমদাবাদে পঞ্চম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আহত হলেন আম্পায়ার। তিনি রোহন পন্ডিত। সঞ্জু স্যামসনের একটি শটে আহত হন তিনি। মাঠে বসে পড়ে যন্ত্রণায় কাতরাতে দেখা যায় তাঁকে। চিকিৎসার পর উঠে দাঁড়িয়ে আম্পায়ারিং শুরু করেন। তবে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে দেখাচ্ছিল তাঁকে। পরের দিকে হার্দিক পাণ্ড্যের শটে এক ক্যামেরাম্যানকেও আহত হতে দেখা যায়।
ঘটনাটি ঘটে নবম ওভারের পঞ্চম বলে। ডোনোভান ফেরেরা বল করছিলেন। তাঁর ফুল লেংথের বল ব্যাকফুটে গিয়ে সোজাসুজি সজোরে শট খেলেন সঞ্জু। ফেরেরার হাতে লেগে সেই বল লাগে রোহনের হাঁটুতে। তার পর সেই বল লং অনে চলে যায়। তত ক্ষণে কিছুটা দূরে সরে গিয়ে হাঁটু ধরে লাফাতে থাকেন রোহন। তার পর মাটিতে বসে পড়ে পা চেপে ধরেন। যে ভাবে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন তাতে বোঝাই যাচ্ছিল কতটা জোরে লেগেছে।
দু’দলের ক্রিকেটারেরাই তখন ইঙ্গিতে চিকিৎসকদের মাঠে আসতে বলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার চিকিৎসক আগে এসে রোহনের চিকিৎসা শুরু করেন। তার পর আসেন ভারতের ফিজ়িয়ো। দু’জনেই রোহনকে পরীক্ষা করেন। তাঁর পায়ে স্প্রে দেওয়া হয়। হর্ষিত রানা নরম পানীয় নিয়ে আসেন। চলে আসেন চতুর্থ আম্পায়ারও। চিকিৎসকদের চেষ্টার পর ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়ান রোহন। প্রথমে একটু খোঁড়াচ্ছিলেন। তার পর পা সোজা করে দাঁড়িয়ে পড়েন। সঞ্জু গিয়ে তাঁর কাছে ক্ষমাও চেয়ে পিঠ চাপড়ে দিয়ে আসেন।
ক্রিকেট ম্যাচে নিজেদের বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন আম্পায়ারেরা। কয়েক জনকে হাতে বিশেষ ‘শিল্ড’ নিয়ে নামতে দেখা যায়, যাতে কোনও শট ধেয়ে এলে অন্তত মুখ বাঁচাতে পারেন। তবে রোহন সে রকম কিছু সঙ্গে রাখেননি। সঞ্জুর শট এতটাই জোরে ছিল যে সরার সময়টুকুও ছিল না।
১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ক্রিজ়ে নেমেই বশের বল উড়িয়ে দেন হার্দিক। সেই বল লাগে বাউন্ডারির বাইরে দাঁড়ানো এক ক্যামেরাম্যানের বাঁ হাতে। তিনি বলের দিকে দেখছিলেনই না। ক্যামেরা নিয়ে চোখ ছিল ভারতীয় দলের ডাগআউটের দিকে। তাঁর হাতে বরফ ঘষে সুস্থ করা হয়।