FIFA World Cup Qualifiers

কালাজাদু করে বিশ্বকাপ ফুটবলে! সুযোগ না পেয়ে কঙ্গোকে নিশানা নাইজিরিয়ার কোচের

২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি নাইজিরিয়া। ব্যর্থ হয়ে প্রতিপক্ষ দল কঙ্গোকে নিশানা করেছেন নাইজিরিয়ার কোচ এরিক চেল্লে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৫ ১৬:৪৬
football

বল দখলের লড়াই। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে নাইজিরিয়া বনাম কঙ্গো ম্যাচে। ছবি: রয়টার্স।

ব্যর্থতার জন্য নিজেকে দায়ী করতে চাননি কোচ। তাঁর নিশানায় প্রতিপক্ষ দল। ২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি নাইজিরিয়া। শেষ ম্যাচে কঙ্গোর কাছে টাইব্রেকারে হেরেছে তারা। ব্যর্থ হয়ে সেই কঙ্গোকেই নিশানা করেছেন নাইজিরিয়ার কোচ এরিক চেল্লে।

Advertisement

নাইজিরিয়ার কোচের অভিযোগ, ‘কালাজাদু’ করেছেন কঙ্গোর ফুটবলার ও সাপোর্ট স্টাফেরা। তিনি বলেন, “ওরা কালাজাদু করছিল। বার বার করছিল। আমি বুঝতে পারছিলাম। তাই চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। বার বার অভিযোগ করেছি। তা-ও ওদের আটকাতে পারিনি।”

টাইব্রেকারের সময় এরিককে দেখা যাচ্ছিল, বার বার কঙ্গোর বেঞ্চের দিকে তেড়ে যাচ্ছিলেন। কিছু একটা বলছিলেন। চতুর্থ রেফারি তাঁকে আটকান। শেষ পর্যন্ত নাইজিরিয়া হারার পর আর মেজাজ ধরে রাখতে পারেননি এরিক। সরাসরি কঙ্গোর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। ক্রীড়াবিদদের নানা রকমের সংস্কার থাকে। আফ্রিকার ফুটবলারদের মধ্যে সেটা একটু বেশিই থাকে। সেই সংস্কারের বশবর্তী হয়েই এরিক এই অভিযোগ করেছেন বলে মনে করছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞেরা।

আফ্রিকার দলগুলির মধ্যে চমক দিয়েছে কঙ্গো প্রজাতন্ত্র। প্লে-অফের ফাইনালে নাইজিরিয়াকে হারিয়েছে তারা। ফিফা ক্রমতালিকায় কঙ্গোর থেকে ১৬ ধাপ উপরে নাইজিরিয়া। কিন্তু খেলায় তা বোঝা যায়নি। তিন মিনিটে এগিয়ে যায় নাইজিরিয়া। ৩২ মিনিটে সমতা ফেরায় কঙ্গো। নির্ধারিত সময়ে আর গোল হয়নি। ফলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ৪-৩ গোলে জেতে কঙ্গো। ফলে বিদায় নেয় নাইজিরিয়া। ২০২২ সালের বিশ্বকাপেও তারা যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। অর্থাৎ, পর পর দু’টি বিশ্বকাপে দেখা যাবে না নাইজিরিয়াকে। আফ্রিকা থেকে বিশ্বকাপে যে ন’টি দেশ সরাসরি সুযোগ পেয়েছে তারা হল— আলজেরিয়া, কেপ ভার্দে, ইজিপ্ট, ঘানা, আইভরি কোস্ট, মরক্কো, সেনেগাল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও তিউনিসিয়া।

কঙ্গো এখনও পর্যন্ত এক বারই বিশ্বকাপ খেলেছে। ১৯৭৪ সালে। তখন তাদের নাম ছিল জ়াইরে। সে বার অবশ্য একটিও গোল করতে পারেনি তারা। খেয়েছিল ১৪টি গোল। তার মধ্যে যুগোশ্লাভিয়ার বিরুদ্ধে ৯ গোল খেয়েছিল জ়াইরে। এ বারও সরাসরি যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি কঙ্গো। প্লে-অফ জেতায় ছ’দেশের ইন্টার-কনফেডারেশন প্রতিযোগিতায় জায়গা পেয়েছে তারা। বলিভিয়া ও নিউ ক্যালেডনিয়া আগেই জায়গা করে নিয়েছিল। তিনটি জায়গা এখনও ফাঁকা। জামাইকা, পানামা, সুরিনাম, কুরাসাও, হন্ডুরাস, হাইতি ও কোস্টা রিকার মধ্যে যে কোনও তিনটি দল জায়গা করে নেবে। ছ’দলের মধ্যে ক্রমতালিকায় থাকা শীর্ষ দু’দল ফাইনাল খেলবে। বাকি চার দল নিজেদের মধ্যে এক ম্যাচের সেমিফাইনাল খেলে ফাইনালে উঠবে। দুই ফাইনালের দুই জয়ী দল বিশ্বকাপের মূলপর্বে উঠবে। অর্থাৎ, এখনও বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ রয়েছে কঙ্গোর।

Advertisement
আরও পড়ুন