গোলের পর কিলিয়ান এমবাপের সিউ উৎসব।
রিয়াল মাদ্রিদের জার্সি গায়ে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে ছুঁয়ে ফেললেন কিলিয়ান এমবাপে। একই সঙ্গে নিজের ২৮তম জন্মদিনে সেভিয়ার বিরুদ্ধে দলকেও জয় এনে দিলেন লা লিগার ম্যাচে।
শনিবার লা লিগার ম্যাচে ১০ জনের সেভিয়াকে ২-০ ব্যবধানে হারাল রিয়াল। পেনাল্টি থেকে দলের জয়সূচক গোলটি করেন এমবাপে। ম্যাচের ফল দেখে অবশ্য বোঝা যাবে না। সেভিয়াকে হারাতে যথেষ্ট লড়াই করতে হয়েছে রিয়ালের ফুটবলারদের। ম্যাচের কোনও কোনও সময় সেভিয়ার দাপটই ছিল বেশি। প্রথম গোলের জন্য রিয়ালকে অপেক্ষা করতে হয় ম্যাচের ৩৮ মিনিট পর্যন্ত। দলকে এগিয়ে দেন জুড বেলিংহ্যাম।
পিছিয়ে পড়ার পর আরও আগ্রাসী ফুটবল শুরু করেন সেভিয়ার ফুটবলারেরা। কয়েক বার বেশ চাপেও পড়ে যায় রিয়ালের রক্ষণ। কিন্তু ৬৮ মিনিটে মর্কোস নাসিমেন্টো দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ার পর খেলার কৌশল বদলাতে হয় সেভিয়াকে। রক্ষণ মজবুত করে মূলত প্রতিআক্রমণমূলক ফুটবলে চলে যায় তারা। এই সুযোগে আক্রমণের ঝাঁজ বাড়ান এমবাপেরা। ৮৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন ফরাসি ফুটবলার। গোল করার পর রোনাল্ডোর মতো ‘সিউ’ উৎসব করেন এমবাপে।
২০১৩ সালে রোনাল্ডো সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫৯টি গোল করেছিলেন। সেটাই ছিল রিয়ালে সিআর সেভেনের প্রথম মরসুম। এমবাপে এ বছর প্রথম খেলছেন রিয়ালের হয়ে। তাঁরও ২০২৫ সালে মোট গোলের সংখ্যা হল ৫৯। নিজের আদর্শ ফুটবলারের নজির ছুঁয়ে ফেললেন এমবাপে। যদিও শনিবার স্যান্তিয়াগো বের্নাবিউয়ে এমবাপেকে সেরা ফর্মে দেখা যায়নি। বার বার আটকে গিয়েছেন প্রতিপক্ষের রক্ষণে। মেজাজও হারিয়েছেন একাধিক বার।
রোনাল্ডোকে ছুঁলেও তাঁর সঙ্গে তুলনায় নারাজ এমবাপে। তিনি বলেছেন, ‘‘রোনাল্ডো যা যা করেছে, সেগুলো অবিশ্বাস্য। রোনাল্ডো আমার আদর্শ। রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসে সেরা খেলোয়াড়। বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা। তাঁর নজির ছুঁয়ে আমি সম্মানিত বোধ করছি।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘জন্মদিনের দিন এমন একটা নজির স্পর্শ করতে পেরে খুব ভাল লাগছে। এ দিন রিয়ালের হয়ে খেললাম। এই ক্লাবের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখতাম। তাই ব্যাপারটা আরও বিশেষ আমার কাছে।’’