পলাশ মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র ।
হেঁটেই মিলল ব্রোঞ্জ। শুক্রবার বাহরাইনে যুব এশিয়ান গেমসে ৫০০০ মিটার হাঁটা প্রতিযোগিতায় তৃতীয় হয়ে নজর কাড়ল মালদহের আনাজ-বিক্রেতার ছেলে পলাশ মণ্ডল। পলাশের এই সাফল্যের খবরে খুশি জেলার ক্রীড়া মহল। ব্রোঞ্জ জয়ে খুশি হলেও সোনা অধরা থাকায় আক্ষেপ রয়েছে পলাশের। তার দাবি, আধুনিক জুতো থাকলে ফল ভাল হত। পলাশের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে প্রশাসন, জেলার ক্রীড়া দফতর।
বাহরাইনে যুব এশিয়ান গেমসে দেশের হয়ে ৫০০০ মিটার হাঁটা প্রতিযোগিতায় ছেলেদের মধ্যে একমাত্র অংশ নেয় মালদহের ইংরেজবাজারের বাহান্নবিঘার বাসিন্দা পলাশ মণ্ডল। আন্তর্জাতিক স্তরের ট্যাকে এ বারই প্রথম পা দেয় বিভূতিভূষণ হাই স্কুলের দশম শ্রেণির পলাশ। এ দিন সকালে ৫০০০ মিটার পথ ২৪ মিনিট ৪৮৯২ সেকেন্ডে অতিক্রম করে পলাশ। প্রথম ও দ্বিতীয় চিন। যুব এশিয়ন গেমসের মতো প্রতিযোগিতায় পলাশের ব্রোঞ্জ জয়ে আপ্লুত জেলাবাসী। বাবা গয়ানাথ আনাজ-বিক্রেতা। মা ডলি মণ্ডল গৃহবধূ। তিন ভাই বোনের মধ্যে পলাশ দ্বিতীয়। বাবা গয়ানাথ বলেন, “ছেলের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। দেশের জন্য ছেলে পদক জেতায় খুব ভাল লাগছে। আশা করব আগামী দিনে পলাশ দেশের জন্য সোনা জিতবে।” হাঁটা প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য কোচ অমিতাভ রায় এবং স্কুলের ক্রীড়া শিক্ষক সুদামচন্দ্র ঘোষের কাছে দিনে পাঁচ ঘণ্টা করে প্রশিক্ষণ নিত পলাশ। সে জানায়, ‘‘কোচ, স্যর সব সময় সহযোগিতা করেছেন। দেশের জন্য ব্রোঞ্জ জেতায় ভাল লাগছে। তবে জুতোর জন্য একটু সমস্যা হচ্ছিল। আরও ভাল জুতো থাকলে ফল ভাল হত।” স্কুলের ক্রীড়া শিক্ষক সুদাম বলেন, “প্রথম ও দ্বিতীয় থেকে পলাশ মাত্র দুই মিনিট পিছিয়ে আছে। নিজের পরিশ্রমের ফল পলাশ পেয়েছে।”