হাল্ক হোগান। —ফাইল চিত্র।
প্রয়াত হলেন ডব্লিউডব্লিউই তারকা হাল্ক হোগান। ৭১ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন তিনি। ফ্লরিডার বাড়িতে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছে হোগান। তাঁর পরিবারের লোকেরা ৯১১ নম্বরে ফোন করে সাহায্য চান। জরুরি পরিষেবাও তাঁর প্রাণ বাঁচাতে পারেনি।
গত মাস থেকে অসুস্থ ছিলেন হোগান। বেশ কয়েক বার তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছিল। শোনা গিয়েছিল, অস্ত্রোপচারের পর থেকে কোমায় রয়েছেন তিনি। কিন্তু তাঁর স্ত্রী সেই খবর গুজব বলে উড়িয়ে দেন। তার পরেই তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল।
ডব্লিউডব্লিউই-কে জনপ্রিয় করার নেপথ্যে বড় ভূমিকা ছিল হোগানের। ১৯৮০ ও ১৯৯০-এর দশকে পেশাদার কুস্তিতে সবচেয়ে বড় তারকা ছিলেন তিনি। হোগানের অবতার বাকিদের থেকে আলাদা ছিল। তাঁর চওড়া গোঁফ ও পেশিবহুল শরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করত। প্রথম ন’বারের রেসলমেনিয়াতে আট বারই তিন ছিলেন প্রধান আকর্ষণ। ছ’বারের ডব্লিউডব্লিউই চ্যাম্পিয়ন হোগান তাঁর বাচনভঙ্গির জন্যও জনপ্রিয় ছিলেন।
পেশাদার কুস্তির পাশাপাশি হলিউডের ছবিতে অভিনয়ও করেছেন তিনি। তখন তিনি নিজের নামের সঙ্গে ‘হলিউড’ কথাটা জুড়ে দেন। অর্থাৎ, তাঁকে ডাকা হত হলিউড হাল্ক হোগান। তার মাঝেই ১৯৯৬ সালে ডব্লিউডব্লিউই ছেড়ে নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার নামের নতুন পেশাদার কুস্তি শুরু করেন তিনি। ফলে ডব্লিউডব্লিউই-এর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে যান হোগান। তার পরেও ২০০৫ সালে তাঁকে ডব্লিউডব্লিউই ‘হল অফ ফেম’ দেওয়া হয়।
২০১৫ সালে তাঁর একটা ঘনিষ্ঠ ভিডিয়ো প্রকাশ পাওয়ায় তাঁর হল অফ ফেম কেড়ে নেওয়া হয়। যে সংস্থা তাঁর ভিডিয়ো প্রকাশ করেছিল তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন হোগান। তিনি মামলা জেতেন। ক্ষতিপূরণ দিতে গিয়ে সেই সংস্থা দেউলিয়া হয়ে যায়। পরে ২০২০ সালে আবার হোগানকে হল অফ ফেম দেয় ডব্লিউডব্লিউই। সারা জীবন বিতর্ক সঙ্গী থেকেছে হোগানের। আমেরিকার নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক ছিলেন হোগান। ট্রাম্পের সমর্থনে বেশ কয়েকটা সভাও করেছিলেন তিনি।