Bluetooth Earphone

বার বার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া থেকে খারাপ শব্দব্যবস্থা! সমস্যার শেষ নেই ব্লুটুথ ইয়ারফোনের

তারযুক্ত বা কলার ব্যান্ডের তুলনায় তারবিহীন ব্লুটুথ ইয়ারফোনের দাম অনেকটাই বেশি। কিন্তু, তাতে সুবিধার চেয়ে অসুবিধার মুখে পড়তে হবে ব্যবহারকারীকে? কেন অত্যাধুনিক ব্লুটুথ ইয়ারফোনের থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন প্রযুক্তিবিদদের একাংশ?

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫ ১৫:০১
Representative Picture

—প্রতীকী ছবি।

কলার ব্যান্ড না কি তারবিহীন ব্লুটুথ ইয়ারফোন? কোনটা কেনা বেশি লাভজনক? লম্বা সময় ধরে পরিষেবা দিতে পারবে কার ব্যাটারি? রয়েছে আর কী কী সুবিধা-অসুবিধা? ইয়ারফোন কেনার আগে এই সব কিছুকে মাথায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন প্রযুক্তিবিদেরা। পাশাপাশি এদের মধ্যে একটিকে ‘বিউটি উইথআউট ব্রেন’-এর উপমাও দিয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

তারবিহীন ব্লুটুথ ইয়ারফোনের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল কানের ভিতরে গোঁজা থাকা বাড্স। পথেঘাটে চলাফেরা করার সময় দু’টির মধ্যে একটি বাড্‌স কোনও কারণে খুলে রাস্তায় পড়ে গেলে বা হারিয়ে গেলে গোটা সিস্টেমটাই অকেজো হয়ে যায়। তখন সেটিকে ফেলে দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করতে পারবেন না ব্যবহারকারী।

দ্বিতীয়ত, এই ইয়ারফোনগুলির ব্যাটারি পরিষেবা বেশ ক্ষণস্থায়ী। টানা ছ’-সাত ঘণ্টা এগুলি ব্যবহার করা যাবে, এমনটা নয়। এক থেকে দেড় ঘণ্টা হলেই ফের সংশ্লিষ্ট ইয়ারফোনটিকে চার্জে বসানোর প্রয়োজন পড়তে পারে। তা ছাড়া ব্লুটুথ কানেকশান বার বার কেটে যাওয়া এবং খারাপ সাউন্ড কোয়ালিটির শিকার হতে পারেন গ্রাহক। এতে কথা বলার সময়ে শব্দটা কোনও পাইপের মধ্যে দিয়ে আসছে বলে মনে হওয়াটা একেবারেই আশ্চর্যের নয়।

তৃতীয়ত, তারবিহীন ব্লুটুথ ইয়ারফোনের জীবন মাত্র এক থেকে টেনেটুনে দেড় বছর। তার পর ফের নতুন ইয়ারফোন কিনতেই হবে গ্রাহককে। কোনও ভাবেই ব্যাটারি বদল করে আর নতুন করে সেটিকে ব্যবহার করতে পারবেন না তিনি। অন্য দিকে তারযুক্ত বা কলার ব্যান্ড ইয়ারফোনগুলির এ সব সমস্যা নেই। দামে কম হওয়া সত্ত্বেও সেগুলি বেশ টেকসই। যদিও স্টাইলের দিক থেকে অনেকটা এগিয়ে থাকবে তারবিহীন ব্লুটুথ ইয়ারফোন।

Advertisement
আরও পড়ুন