—প্রতীকী ছবি।
কয়েক বছর ব্যবহার করার পর স্মার্টফোনের গতি হয়ে গিয়েছে শামুকের মতো। অল্প কিছু ক্ষণ ব্যবহার করলেই তেতে উঠছে বা হ্যাং করছে ডিভাইস। চট করে খুলতে চায় না কোনও অ্যাপও। স্মার্টফোনটি বছর দুই বা তিন ব্যবহার করার পর গতি এবং কর্মক্ষমতা আর নতুনের মতো থাকে না। মুঠোবন্দি ডিভাইসকে নতুনের মতো কর্মক্ষম রাখার জন্য চাই কিছু টেক টোটকা। পুরনো ফোনকে নতুনের মতো দ্রুত গতিতে চালানোর কিছু টিপস রইল এই প্রতিবেদনে।
ব্যবহার করতে করতে ফোনে বেশ কিছু ফাইল ইনস্টল হয়ে যায়। এর মধ্যে অনেকগুলিই অপ্রয়োজনীয়। ফোনের গতি কমিয়ে দেওয়ার জন্য দায়ী হয় এই অব্যবহৃত ফাইলগুলি। ফোনে একগাদা অ্যাপ থাকলেও তা ফোনের গতি এবং কর্মক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
ফোনে শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ফাইল, ছবি, ভিডিয়ো এবং অ্যাপ রাখুন। প্রয়োজন নেই এমন বাড়তি ফাইল এবং অ্যাপ আনইনস্টল করুন। এটি স্টোরেজ স্পেসের স্বল্পতার সমস্যা দূর করবে। সাশ্রয় করবে এবং ব্যাকগ্রাউন্ডে চলা অ্যাপের কাজকর্ম বন্ধ হবে।
স্ক্রিনে খুব বেশি উইজ়েট রাখবেন না। এটি করলে স্ক্রিন চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উইজ়েটগুলিতে তথ্য ভরার কাজ শুরু হয়ে যায়। প্রসেসরের উপর চাপ পড়ে। ফোনের হোম স্ক্রিন পরিষ্কার রাখুন। শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় উইজ়েট থাকুক।
ফোনের কাজকর্মে ঢিমেতালা ভাব দূর করতে একটি সেটিংস ঠিক করে রাখতে পারেন। ডেভেলপার অপশনে যান এবং ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেস লিমিট ‘নো ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেস’-এ সেট করুন।
ফোনের অপারেটিং সিস্টেম যাতে সব সময় আপডেটেড থাকে তা খেয়াল রাখুন। ফোনটিকে ‘বাগ’ থেকে সুরক্ষা দেওয়ার কবচ হল আপডেট। ফোননির্মাতা সংস্থা প্রায়শই সফ্টঅয়্যারের ত্রুটিগুলি ঠিক করার জন্য আপডেট দিয়ে থাকে। এই আপডেট সামগ্রিক কর্মক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়।
তথ্যের সুরক্ষার জন্য শুধুমাত্র গুগ্ল প্লে স্টোর এবং অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড বা আপডেট করুন। তৃতীয় পক্ষের উৎস থেকে ডাউনলোড করা অ্যাপগুলিতে ম্যালঅয়্যারের ঝুঁকি থাকে।
এই টোটকা দিয়েও যদি ফোনের গতি না বাড়ে তা হলে শেষ উপায় হল ফ্যাক্টরি রিসেট। তবে এই বিকল্প বেছে নিলে ফোনের সমস্ত তথ্য মুছে যাবে। তাই ফ্যাক্টরি রিসেট করতে হলে ফোনের তথ্য সংরক্ষণ অবশ্য কর্তব্য।