viral video

নাক, কান, চোখের ইংরেজি বানানও ভুল! শিক্ষকের ‘অসাধারণ শিক্ষাদানের’ ভিডিয়ো ছড়াতেই নেমে এল শাস্তির খাঁড়া

ছত্তীসগঢ়ের বলরামপুর জেলার মাচান্দ কোগওয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক প্রবীণ টোপ্পোর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ভুল ইংরেজি বানান শেখানোর অভিযোগ উঠেছে। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২৫ ১৬:৫৫
A Chhattisgarh teacher was suspended

ছবি: সংগৃহীত।

নাক, কান, চোখের অতি সাধারণ ইংরেজি বানান। ছাত্রছাত্রীদের সেই বানানটুকুও ঠিক করে শেখাতে পারছেন না শিক্ষক। ক্লাসরুমের বোর্ডে একের পর এক ভুল ইংরেজি বানান লিখে চলেছেন তিনি। প্রাথমিক শিক্ষকের পড়ানোর এমন একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই ব্যবস্থা নিলেন কর্তৃপক্ষ। ছত্তীসগঢ়ের ঘটনা। শিক্ষকের অযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই নিলম্বিত (সাসপেন্ড) করা হয়েছে ওই শিক্ষককে। ভিডিয়োটি ছড়িয়ে পড়তেই তা নজর কেড়েছে সমাজমাধ্যমে। যদিও এই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।

Advertisement

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, বলরামপুর জেলার মাচান্দ কোগওয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক প্রবীণ টোপ্পোকে শিক্ষার্থীদের ভুল ইংরেজি বানান শেখানোর অভিযোগে নিলম্বিত করা হয়েছে। তিনি শিক্ষার্থীদের শরীরের অঙ্গ এবং পারিবারিক সম্পর্ক-সহ সপ্তাহের সাতটি দিনের মৌলিক ইংরেজি শব্দের ভুল বানান শেখাচ্ছিলেন। ভিডিয়োয় তাঁকে এই ভুল বানানগুলি ব্ল্যাকবোর্ডে লিখে রাখতেও দেখা গিয়েছে। ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়। জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করে ছত্তীসগঢ়ের শিক্ষা দফতর। স্কুলটিতে ৪২ জন পড়ুয়া। শিক্ষকের সংখ্যা দুই। এঁদের মধ্যেই এক জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসার পরই জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ডিইও) এমআর যাদব তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক ওই স্কুল পরিদর্শন করেন। শিক্ষার্থীদের ভুল বানান শেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা। শিক্ষার মান নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। দ্রুত যোগ্য শিক্ষক নিয়োগের দাবি করেছেন অভিভাবকেরা। এর আগেও ছত্তীসগঢ়ের একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষকের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল। সেখানে শিক্ষক ইংরেজিতে ১১ ও ১২ বানান ভুল লিখেছিলেন। শিক্ষার্থীদের সেই ভুল বানানই শেখাচ্ছিলেন তিনি।

Advertisement
আরও পড়ুন