Bizarre

১৯ শতকের প্রাচীন বাড়ির দেওয়ালে লেখা ‘মৃত্যুর পরোয়ানা’! নতুন বাড়ি কিনে আতঙ্কে দম্পতি, পরে ফাঁস আসল সত্য

২০২৪ সালে বাড়িটি কেনার পর তিন সন্তানকে নিয়ে সেখানে বসবাস করার পরিকল্পনা করেন ইংল্যান্ডের ল্যাঙ্কাশায়ারের বাসিন্দা এই তরুণ-তরুণী। পুরনো জাঁকজমক বজায় রেখে প্রাচীন স্থাপত্যটি ধীরে ধীরে সংস্কার করার পরিকল্পনা করেছিলেন তাঁরা।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:২৬
A couple discovered unusual message in a dark basement

ছবি: সংগৃহীত।

মনের মতো নিজের একটা বাড়ি হোক, কে না চান! ইচ্ছা থাকলেও অনেকেরই নতুন বাড়ি তৈরির বা কেনার সামর্থ্য থাকে না। তাই পুরনো বাড়ি কেনার দিকেই ঝুঁকতে হয়। তেমনই এক পুরনো বাড়ির হদিস পেয়েছিলেন ইংল্যান্ডের এক দম্পতি। অনেক খোঁজাখুঁজির বাড়িটি পছন্দও হয়। ১৮৪০ সালের ঐতিহাসিক একটি বাড়ি জলের দরে কিনে ফেলার পর তাজ্জব হয়ে যান দম্পতি! বাড়িটির বেসমেন্টের একটি ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে একটি জিনিস নজরে পড়ে তাঁদের। তাতেই শিরদাঁড়া দিয়ে হিমেল স্রোত বয়ে যায় হানা ও স্যাম নামের ওই দম্পতির। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে নিজেদের সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন তাঁরা।

Advertisement

সংবাদ প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৪ সালে বাড়িটি কেনার পর তিন সন্তানকে নিয়ে সেখানে বসবাস করার পরিকল্পনা করেন ইংল্যান্ডের ল্যাঙ্কাশায়ারের বাসিন্দা এই তরুণ-তরুণী। পুরনো জাঁকজমক বজায় রেখে প্রাচীন স্থাপত্যটি ধীরে ধীরে সংস্কার করার পরিকল্পনা করেছিলেন তাঁরা। বেসমেন্টটি সাফাইয়ের সময় দম্পতি লক্ষ করেন, প্রতিটি দেওয়ালে অসংখ্য বার্তা লেখা রয়েছে। ধুলোয় ঢাকা একটি দেওয়াল থেকে বার্তা মর্মোদ্ধার করতে পারেন তাঁরা। সেখানে লেখা ছিল ‘মৃত্যু তোমার পিছনে পিছনে হেঁটে যাচ্ছে।’ আবছা আলোয় ভরা বেসমেন্টের দেওয়ালের সেই বার্তাটি সতর্কবাণী বা অভিশাপের মতো আটকে ছিল। এমনটাই অনুভব করেছিলেন দম্পতি। এই ঘটনার পর আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। বাড়িটির অন্ধকার ইতিহাস নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল তাঁদের মধ্যে।

পরে সাহস সঞ্চয় করে বাকি দেওয়ালগুলি পরিষ্কার করার চেষ্টা করেন দু’জনে। আর তাতেই সমাধান হয় সমস্ত রহস্যের। ধুলো এবং ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের ভয় ধীরে ধীরে চাপা উত্তেজনায় পরিণত হয়। দেওয়ালে লেখাগুলি কোনও অশরীরীর হুমকি ছিল না। পিঙ্ক ফ্লয়েড, জিমি হেন্ডরিক্স এবং ব্ল্যাক সাবাথের মতো আইকনিক রক ব্যান্ড এবং সঙ্গীতশিল্পীদের উদ্ধৃতি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল দেওয়ালগুলি। পূর্বতন বাসিন্দাদের সঙ্গীতপ্রেমের কথা দেওয়ালে লেখার ছত্রে ছত্রে ফুটে উঠেছিল। এই দম্পতি ইনস্টাগ্রামে তাঁদের এই বাড়ির সংস্কার পর্বের ভিডিয়ো ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ্যে আনতেই পোস্টগুলি দ্রুত মনোযোগ আকর্ষণ করে। অনেকেই তাঁদের এই আবিষ্কারটিকে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন।

মাটির নীচের তলার ঘর স্যাঁতসেঁতে হওয়ায় বেসমেন্টের দেয়ালের প্লাস্টার খসিয়ে ফেলতে হয়েছিল স্যাম ও হানাকে। দেওয়ালের ‘শিল্পকর্মগুলি’ নষ্ট করে ফেলতে হয়েছিল। তাই এই দম্পতি প্রতিটি দেওয়ালের ছবি তুলে রেখেছেন। সেই ছবিগুলিকে ফ্রেমে বাঁধিয়ে করে বেসমেন্টে প্রদর্শনীর পরিকল্পনা করছেন এই দম্পতি।

Advertisement
আরও পড়ুন