চোখের পলক ফেলতেই সেতু পেরিয়ে ‘উধাও’ হল ট্রেন! প্রায় ৫০০ কিমি বেগে ছুটে চলা ট্রেনের ভিডিয়ো নিয়ে হইচই

প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৫০০ কিমি বেগে চলা ট্রেনটির যাওয়ার দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করতে গিয়েও ব্যর্থ হলেন দর্শক। জাপানের এই ঘটনারই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:৫৩
train flashed by at nearly 500 km per hour

ছবি: সংগৃহীত।

চোখের পলক পড়ার আগেই সামনে দিয়ে চলে গেল আস্ত একটা ট্রেন! ‘মুখে’ টুঁ শব্দটি নেই। শুধু প্রবল হাওয়ার বেগ। দাঁড়িয়ে থাকা দর্শক কিছু বুঝে ওঠার আগেই সামনে দিয়ে চলে গেল বুলেট ট্রেন। ঠিক যেন হাওয়ার চাকায় ভর করে উড়ে গেল যন্ত্রদানব। প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৫০০ কিমি বেগে চলা ট্রেনটির যাওয়ার দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করতে গিয়েও ব্যর্থ হলেন দর্শক। জাপানের এই ঘটনারই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়োটি। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।

Advertisement

ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, রেলব্রিজের পাশের একটি সেতুতে জড়ো হয়েছেন কয়েক জন। ট্রেনটি আসার অপেক্ষা করছেন তাঁরা। ক্যামেরা বাগিয়ে ট্রেনের গতিবেগের দৃশ্যটি বন্দি করতে উৎসুক ছিলেন দর্শকেরা। যে ট্রেনটির গতিবেগ দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন, সেটি ছিল জাপানের নতুন ম্যাগলেভ বুলেট ট্রেন। ৭ কোটি ডলারের এই ট্রেনের গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৫০০ কিমি। রেলের ট্র্যাকের উপর চুম্বকীয় শক্তির সাহায্যে চলাচল করে ট্রেনটি। চাকার ঘর্ষণ নেই। তাই নেই কোনও শব্দ। রেলওয়ে টেকনিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় সেন্ট্রাল জাপান রেলওয়ে সংস্থা তৈরি করেছে জেট বিমানের মতো দ্রুতগামী ট্রেনটি। ট্রেনটি এত দ্রুত চলে যায় যে সেটিকে দেখা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। ফলে এক মুহূর্তের জন্য হতবাক হয়ে যান অপেক্ষারত দর্শকেরা। চোখের পলক ফেলারও আগে উধাও হয়ে যায় ট্রেনটি।

ভিডিয়োটি ইনস্টাগ্রামের ‘মাইটিনাজ’ নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিয়োটি ইতিমধ্যেই কয়েক লক্ষ বার দেখা হয়েছে। ৮ লক্ষ ৫২ হাজার লাইক জমা পড়েছে তাতে। ট্রেনটির অবিশ্বাস্য গতিবেগ দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বহু নেটাগরিকই। এক নেটাগরিক লিখেছেন ‘এটি আলোর গতির চেয়েও দ্রুত।’’ অন্য এক নেটাগরিকের মন্তব্য ‘‘এক সেকেন্ডের জন্য চোখের পাতা বুজলেই আর দেখা যাবে না।’’

Advertisement
আরও পড়ুন