—প্রতীকী ছবি।
কয়েক সপ্তাহ আগে ব্যবসার কাজে লন্ডন থেকে লস অ্যাঞ্জেলসে বিমানসফর করছিলেন এক তরুণ। যাত্রার দিনেই তাঁর সঙ্গে এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। তা নিয়ে এখনও ভাবনায় ডুবে রয়েছেন তরুণ। বিমানের মধ্যে এক তরুণী সহযাত্রীর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল তাঁর। কয়েক ঘণ্টার আলাপে শারীরিক ভাবেও ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। সেই তরুণীও লস অ্যাঞ্জেলসে যাচ্ছিলেন।
একই গন্তব্য হওয়ায় সেখানে পৌঁছে তরুণের সঙ্গে একান্তে দেখা করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন সেই তরুণী। কিন্তু হোটেলে যাওয়ার পর তরুণীর গোপন সত্য ফাঁস হয়ে যায় তরুণের কাছে। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় সেই ঘটনার উল্লেখ করে পোস্ট করেন তরুণ (যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
‘আর/টুহটকেকস’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে রেডিটের পাতায় একটি পোস্ট করা হয়েছে। সেই পোস্টে নিজের বিমানসফরের কথা উল্লেখ করেন ৩১ বছর বয়সি এক তরুণ। ব্যবসার কাজে লন্ডন থেকে লস অ্যাঞ্জেলসে যাচ্ছিলেন তিনি। তিনি যে বিমানের টিকিট কেটেছিলেন, সেই বিমানে আসন সংরক্ষণের কোনও নিয়ম নেই।
বিমান সংস্থার নিয়মানুযায়ী, যে যাত্রী আগে যাবেন তিনি নিজের পছন্দমতো জায়গায় বসার সুযোগ পাবেন। তরুণ জানান, তিনি বিমানের মাঝামাঝি জায়গায় একটি আসন পছন্দ করে সেখানে বসে পড়েছিলেন। তাঁর পাশে একটি মাত্র আসন ছিল।
A woman gave me her number on a plane and soon after we landed, I found out her husband was also on the flight
byu/Strict_Detective6969 inTwoHotTakes
বিমান ছাড়ার আগের মুহূর্তে সেই আসনে বসার জন্য অনুমতি নেন এক তরুণী। তরুণও একবাক্যে রাজি হয়ে যান। বিমান ছাড়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই তরুণের সঙ্গে আলাপ জমিয়ে ফেলেন তরুণী সহযাত্রী। তরুণের ঘনিষ্ঠ হয়ে বসার চেষ্টাও করেন। দুই আসনের মাঝের হাতল সরিয়ে তরুণকে স্পর্শ করতে থাকেন তিনি। তরুণী দুষ্টুমিষ্টি ভাবে কথাও বলছিলেন বলে দাবি করেন তরুণ।
তরুণী যে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে দেখা করার জন্য লস অ্যাঞ্জেলসে যাচ্ছেন সে কথা তরুণকে জানান। দু’জনের গন্তব্য এক। এমনকি, তাঁরা লস অ্যাঞ্জেলসে গিয়ে একই হোটেলে থাকবেন তা জানতে পারে সন্ধ্যায় হোটেলে একান্তে দেখা করার প্রতিশ্রুতি দেন তরুণী। ফোন নম্বরও বিনিময় করেন তাঁরা। আনন্দে গদগদ হয়ে যান তরুণ। কিন্তু বিমানবন্দরে পৌঁছোনোর পর তাড়াহুড়ো করতে শুরু করেন তরুণী।
কোনও রকমে তরুণকে বিদায় জানিয়ে বিমান থেকে নেমে পড়েন তিনি। বিমানবন্দরে প্রবেশ করার পর তরুণীকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছিলেন না তরুণ। হঠাৎ তাঁর নজরে পড়ে অন্য এক তরুণের বাহুডোরে বন্দি সেই তরুণী। এমনকি, তাঁর অনামিকায় জ্বলজ্বল করছে একটি আংটি। অথচ বিমানে থাকাকালীন সেই আংটি তরুণী পরেছিলেন কি না তা নিয়ে নিশ্চিত ছিলেন তরুণ।
হোটেলে পৌঁছোনোর পর তরুণীকে মেসেজ করে সেই বিষয়ে নানা প্রশ্ন করেন তরুণ। কিন্তু সহযাত্রীর সব প্রশ্নই এড়িয়ে যাচ্ছিলেন তরুণী। সেই রাতে তরুণ একা একা হোটেলের রেস্তরাঁয় মদ্যপান করতে গিয়ে তরুণীকে সেখানে দেখে চমকে যান। বিমানবন্দরে তরুণীর সঙ্গে যে তরুণকে দেখেছিলেন, রেস্তরাঁর ভিতরেও তাঁর সঙ্গেই দেখতে পান তরুণীকে। সহযাত্রীর সঙ্গে চোখাচোখি হয় তরুণীর।
কথাবার্তা না হলেও সারাটা সময় জুড়ে তরুণের দিকে তাকিয়ে ছিলেন সেই তরুণী। তরুণের দাবি, যখনই তাঁর দিকে তরুণী তাকাচ্ছিলেন, তখনই তাঁর মুখে ছিল দুষ্টু হাসি। ছেঁড়া সূত্রগুলি জুড়তে কোনও অসুবিধা হয়নি আর। আসলে, ওই অচেনা তরুণের সঙ্গে বাগ্দান পর্ব সেরে ফেলেছিলেন তরুণী। কিন্তু বিমানে ওঠার পর সে কথা গোপন করেছিলেন তিনি। বরং নানা ভাবে তরুণকে ‘প্রেমের ফাঁদে’ ফেলার চেষ্টা করছিলেন তিনি।
আবার বিমানবন্দরে নেমে বাগ্দত্তের কাছে ছুটে যান সেই তরুণী। হোটেলেও তরুণীর সঙ্গে যিনি ছিলেন, তিনি আসলে তরুণীর বাগ্দত্ত। সরাসরি তরুণকে এ বিষয়ে কিছু না জানানোর পর ধরা পড়ে গিয়েছিলেন তরুণী। তবুও দূরে বসে ইশারা করছিলেন তিনি। তরুণীর গোপন সত্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর অবাক হয়ে যান তরুণ। মনও ভেঙে গিয়েছিল তাঁর। সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে সে কথাই জানিয়েছেন তিনি।