Bizarre Incident

মাথায় পরচুল-ব্যান্ড, মুখে মাস্ক, মহিলা সেজে পরীক্ষা দিতে এসে পাকড়াও যুবক! কী ভাবে ধরা পড়লেন ছদ্মবেশী?

চিনা সংবাদমাধ্যম ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’-এর এক প্রতিবেদন অনুসারে, ওই যুবকের পরিচয় প্রকাশ না করা হলেও জানা গিয়েছে লি নামের এক ছাত্রীর হয়ে ‘অ্যাডভান্সড অ্যাকাউন্টিং’ পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫ ০৭:৫৯
Man from China cross dress to cheat in exam for female student

—প্রতীকী ছবি।

পরীক্ষায় জালিয়াতি করার জন্য মহিলার ছদ্মবেশে পরীক্ষা দিতে এলেন এক পুরুষ। মাথায় পরচুল এবং পোশাকে পুরদস্তুর মহিলা সেজে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন তিনি। কেউ যাতে চিনতে না পারেন তার জন্য মুখে মাস্কও লাগিয়েছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। ধরা পড়ে গেলেন। অদ্ভুত সেই ঘটনাটি ঘটেছে চিনে। এক জন যুবক হুবেই প্রদেশের উহানের ‘ঝোংনান ইউনিভার্সিটি অফ ইকোনমিক্স অ্যান্ড ল’-এর এক ছাত্রীর ছদ্মবেশে পরীক্ষা দিতে এসে ধরা পড়ে যান।

Advertisement

চিনা সংবাদমাধ্যম ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’-এর এক প্রতিবেদন অনুসারে, ওই যুবকের পরিচয় প্রকাশ না করা হলেও জানা গিয়েছে লি নামের এক ছাত্রীর হয়ে ‘অ্যাডভান্সড অ্যাকাউন্টিং’ পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন তিনি। লি নামে ওই ছাত্রী অনলাইনে অভিযুক্তের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তবে লি-র পরিবর্তে মহিলা সেজে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য দু’জনের মধ্যে কোনও টাকার লেনদেন হয়েছিল কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।

জানা গিয়েছে, মহিলার পোশাক পরে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন ওই যুবক। সন্দেহ এড়াতে পরচুল এবং চুলের ব্যান্ডও পরেছিলেন। মুখে চাপিয়েছিলেন মাস্ক। এত কিছু সত্ত্বেও এক জন পরীক্ষকের সন্দেহ হয়। ছাত্রীরূপী ওই যুবককে ডেকে পাঠান তিনি। চলে জিজ্ঞাসাবাদ। পরচুল খুলে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি তা করতে অস্বীকার করেন। কিন্তু অন্য এক পরীক্ষার্থী তাঁকে চিনে ফেলায় দৌড়ে পরীক্ষাহল থেকে বেরিয়ে যান যুবক।

পুরো বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিবৃতি প্রকাশ করেছে চিনের ওই বিশ্ববিদ্যালয়। পরীক্ষায় জালিয়াতি করার অভিযোগে লিকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ছদ্মবেশী যুবকের পরিচয় জানতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় প্রশাসন— উভয়েই তদন্ত শুরু করেছে বলে খবর।

ঘটনাটি হইচই ফেলেছে চিনা সমাজমাধ্যমেও। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য পড়ুয়ারা কতটা সীমা অতিক্রম করতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নেটাগরিকেরা। এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘চিনা শিক্ষাক্ষেত্রে সফল হওয়ার চাপ প্রচণ্ড। কিন্তু ওই পড়ুয়া যা করেছেন তা জালিয়াতি এবং বোকামি ছাড়া কিছু না।’’

Advertisement
আরও পড়ুন