Viral Video

সরস্বতী পুজোয় ভোজপুরি গানে গামছা দুলিয়ে নাচ, ছাত্রদের লাথি! হইচই মত্ত প্রধানশিক্ষকের কাণ্ডে

ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, সরস্বতী পুজো উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মত্ত অবস্থায় নাচছেন প্রধানশিক্ষক। মাইকে চটুল ভোজপুরি গান বাজছে। আর সেই গানের তালে কোমর দোলাচ্ছেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:০২
Video of drunk teacher dances on Bhojpuri song in Bihar

নাচছেন মত্ত প্রধানশিক্ষক। ছবি: এক্স থেকে নেওয়া।

সরস্বতী পুজোয় মত্ত হয়ে ভোজপুরি গানে নাচ। পড়ুয়াদের লাথি! প্রধানশিক্ষকের এ-হেন কাণ্ডের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে সমাজমাধ্যমে। সংবাদমাধ্যম ‘ফার্স্ট বিহার ঝাড়খণ্ড’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের গিধৌর ব্লকের সেবা গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি সরকারি স্কুলে। সংবাদমাধ্যমেরই এক্স হ্যান্ডল থেকে ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিয়োটিকে কেন্দ্র করে তোলপাড় শুরু হয়েছে। তৈরি হয়েছে বিতর্ক (যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)।

Advertisement

ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, সরস্বতী পুজো উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মত্ত অবস্থায় নাচছেন প্রধানশিক্ষক। মাইকে চটুল ভোজপুরি গান বাজছে। সেই গানের তালে কোমর দোলাচ্ছেন তিনি। কখনও কোমরে বাঁধা গামছা নাড়িয়ে, আবার কখনও পড়ুয়াদের পিছনে দৌড়ে কেরামতি দেখাচ্ছেন। কয়েক জন পড়ুয়াও তাঁর সঙ্গে নাচছেন। মত্ত প্রধানশিক্ষকের সঙ্গে মশকরা করারও চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। এক-দু’জন পড়ুয়াকে লক্ষ্য করে লাথি ছুড়তেও দেখা গিয়েছে ওই প্রধানশিক্ষককে। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও ওই প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না তা জানা যায়নি।

এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করা ভিডিয়োটি ইতিমধ্যেই বহু মানুষ দেখেছেন। বহু বার দেখা হয়েছে ভিডিয়োটি। ভিডিয়োটি দেখে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটাগরিকদের একাংশ। ওই প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতেও সরব হয়েছেন কেউ কেউ। এক জন নেটাগরিক পুরো বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করে লিখেছেন, “বিহারের শিশুদের ভবিষ্যৎ কতটা উজ্জ্বল তা ভিডিয়ো দেখেই বোঝা যাচ্ছে। এই শিশুরা কয়েক বছর পর যুবক হয়ে উঠবে এবং রাজ্যের ভবিষ্যৎ বদলে দেবে। এই কারণেই বিহার এত উন্নত এবং শিক্ষিত। এই জন্যই সমগ্র বিশ্বে বিহারেরর স্থান এক নম্বরে। ধন্য বিহারের শিক্ষক, সন্তান ও অভিভাবকেরা।” অন্য এক জন আবার লিখেছেন, “বিহার প্রতি দিন নতুন রেকর্ড গড়ছে। এই ধরনের শিক্ষতার চাকরি থেকে এদের বরখাস্ত করা উচিত।”

Advertisement
আরও পড়ুন