Bizarre

শিশুকে অনুকরণ করে হাই তুলতে গিয়ে শরীরে ‘হাজার ভোল্টের’ ঝটকা খেলেন তরুণী! হল আংশিক পক্ষাঘাত

হাই তুলতে গিয়ে জীবনের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলেন ৩৬ বছর বয়সি এক তরুণী। সারা শরীরে খিঁচুনি ও বিদ্যুতের শক দেওয়ার মতো অনুভূতি হয় তাঁর।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:২০
Woman broke her neck by yawning

—প্রতীকী ছবি।

সামান্য হাই তোলাও কখনও কখনও শরীরে মারাত্মক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। জোর করে হাই তোলার অঙ্গভঙ্গি করতে গিয়ে এক তরুণীর প্রাণসংশয় হতে বসেছিল। তাঁর শরীরের ডান দিক পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ে। হাসপাতালে ভর্তি করে অস্ত্রোপচার করে জীবন বাঁচাতে হয় তাঁর। হাই তুলতে গিয়ে ঘাড় ভেঙে যায় তরুণীর! সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

সংবাদমাধ্যম ‘দ্য সানকে’ ৩৬ বছর বয়সি হেইলি ব্ল্যাক জানিয়েছেন, তিনি সকালে ঘুম থেকে উঠে তাঁর নবজাতক কন্যাকে বোতলে দুধ তৈরি করে দিচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁর মেয়ে জোরে জোরে হাই তুলছিল। মেয়েকে অনুকরণ করা শুরু করেন হেইলি। এই কাজটি করতে গিয়ে জীবনের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে। হঠাৎই শরীরের অর্ধেক অংশে বৈদ্যুতিক ঝটকা দেওয়ার মতো অনুভূতি হতে শুরু করে। খিঁচুনি শুরু হয় সারা শরীরে। হেইলির স্বামী ভেবেছিলেন তিনি মজা করছেন। বিষয়টিকে প্রথমে গুরুত্ব দেননি তিনি।

এর পর হেইলি সন্তানের জন্য দুধ বানিয়ে নিজেই হাসপাতালে ফোন করেন। তিনি বলেন, ‘‘হাসপাতালে যাওয়ার সময় রাস্তার ঝাঁকুনিতে মনে হচ্ছিল যেন আমার মেরুদণ্ড ছিঁড়ে যাচ্ছে।’’ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর চিকিৎসকেরা প্রথমে তাঁর সমস্যা বুঝতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। ব্যথা কমানোর ও গ্যাসের ওষুধ দিয়েও কোনও উপকার হয়নি। হেইলির কথায়, “কেউ আমার কথা শুনছিলেন না। আমি সারা রাত ব্যথায় চিৎকার করছিলাম। প্রচণ্ড ব্যথায় নিজের মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করছিলাম।” পরে পরীক্ষা করে দেখা যায়, হাই তোলার কারণে ঘাড়ের দু’টি কশেরুকা চেপে গিয়েছে। তাৎক্ষণিক অস্ত্রোপচার হয় তাঁর। চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, হেইলির বাঁচার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ। পরে অবশ্য তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। তবে হেইলির মেরুদণ্ডে স্থায়ী ক্ষতি হয়ে যায়।

Advertisement
আরও পড়ুন