ছবি: সংগৃহীত।
সংস্থার অধস্তন কর্মীর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন বস্। দু’জনেই বিবাহিত থাকা সত্ত্বেও একে অপরের প্রতি আকর্ষণ এড়াতে পারেননি। দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। প্রেমের বাধা সরাতে কর্মী ও মালিক দু’জনেই যথাক্রমে নিজেদের স্ত্রী ও স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ চান। সংস্থার মালিক তাঁর কর্মীর স্ত্রী ও সন্তানদের ভরণপোষণের জন্য প্রায় চার কোটি টাকা খরচ করেন। এক বছর পর তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় ওই কর্মী তথা প্রেমিকের থেকে টাকা ফেরত চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন ব্যবসায়ী তরুণী।
‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’- এর প্রতিবেদন অনুসারে, ঝু নামের ওই তরুণী তাঁর সংস্থারই কর্মী হি নামে এক তরুণের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। হিকে তাঁর স্ত্রী চেন-এর থেকে আলাদা করার জন্য এককালীন ৩ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা তুলে দেন হি-এর হাতে। বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষতিপূরণ এবং হি-এর সন্তানদের লালনপালনের জন্য আর্থিক সহায়তা হিসাবে এই টাকা দেন ঝু। টাকা নিয়ে হি-কে বিবাহবিচ্ছেদ দেন তাঁর স্ত্রী চেন। ঝু-ও তাঁর সঙ্গীকে ছেড়ে চলে এসে হি-এর সঙ্গে একত্রবাস শুরু করেন। তাঁরা বাকি জীবন একসঙ্গে সুখে কাটিয়ে দেবেন।
কিন্তু এক বছর কাটতে না কাটতেই তাঁদের সম্পর্কের মোড় ঘুরে যায়। ঝু বুঝতে পারেন তাঁদের মধ্যে মতের প্রচুর অমিল রয়েছে। তাঁরা এই সম্পর্কে সুখী হতে পারবেন না। ঝু তাঁর অধস্তন কর্মীর থেকে টাকা ফেরত চান। সেই টাকা দিতে অস্বীকার করায় ঝু আদালতে টেনে নিয়ে যান হি এবং তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী চেন-কে। নিম্ন আদালতের রায় ঝু-এর পক্ষেই গিয়েছিল। আদালত এই টাকাকে ‘অবৈধ উপহার’ বলে চিহ্নিত করে এবং হি-কে টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয়। চেন এবং হি উচ্চ আদালতে এই আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন জানান। সেখানে বিচারক জানান, দম্পতিকে ৩০ লক্ষ ইউয়ান বা প্রায় ৪ কোটি টাকা দেওয়ার কোনও প্রমাণ দেননি ঝু। চেনকে ব্যক্তিগত ভাবে এই টাকা দিয়েছিলেন তিনি। বিচারক প্রাথমিক রায় বাতিল করে জানিয়ে দিয়েছেন যে চেন কোনও অর্থ ফেরত দিতে বাধ্য নন। এই ঘটনাটি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই হইচই পড়ে গিয়েছে। নানা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটাগরিকেরা। এক জন নেটমাধ্যম ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, ‘‘অন্য এক জনের সংসার ভেঙে দেওয়ার পর টাকা ফেরত দাবি করা অযৌক্তিক।’’ অন্য এক জন জানিয়েছেন, ‘‘এক জন অধস্তন কর্মীর বিবাহবিচ্ছেদের জন্য চার কোটি টাকা খরচ করার কোনও মানে হয় না।’’