bizarre

খাবার খেয়ে পেটে ব্যথা, হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়ে ১ ঘণ্টার মধ্যে সন্তানের জন্ম দিলেন তরুণী!

হুবেইয়ের এঝো শহরের বাসিন্দা লি নামের ওই তরুণী খাবার খাওয়ার পর পেটে ব্যথা অনুভব করার পরই নিজেই বৈদ্যুতিক বাইক চালিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে যান। চিকিৎসককে তিনি জানান অতিরিক্ত খাওয়ার ফলেই তাঁর পেটে ব্যথা শুরু হয়ে গিয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০২৫ ০৭:৫৭
Woman went to hospital for treatment and gave birth to a baby

—প্রতীকী ছবি।

দ্বিপ্রহরের আহার সারার পরই হঠাৎ করেই শুরু পেটে ব্যথা। ব্যথার চোটে চিকিৎসকের কাছে ছুটে গিয়েছিলেন তরুণী। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করার এক ঘণ্টার মধ্যেই সন্তানের জন্ম দিলেন এক তরুণী। অবাক করার মতো এই ঘটনাটি ঘটেছে চিনের একটি শহরে। অফিসে বসে মধ্যাহ্নভোজের পর তরুণীর হঠাৎ করেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। হাসপাতালে যাওয়ার পর চিকিৎসকেরা তাঁকে যে খবর জানান তা শুনে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা হয় তাঁর। তিনি যে অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন সেই খবরটুকুও অজানা ছিল তরুণীর কাছে।

Advertisement

গত ১৬ জুন হুবেইয়ের এঝো শহরের বাসিন্দা লি নামের ওই তরুণী খাবার খাওয়ার পর পেটে ব্যথা অনুভব করার পরই নিজেই বৈদ্যুতিক বাইক চালিয়ে হাসপাতালে পৌঁছে যান। চিকিৎসককে তিনি জানান অতিরিক্ত খাওয়ার ফলেই তাঁর পেটে ব্যথা শুরু হয়ে গিয়েছে। তাঁকে পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা অন্য কিছু সন্দেহ করেন। আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষার সময় লির পেটে ব্যথা তীব্র হয়ে ওঠে। শীঘ্রই তিনি জরায়ু সঙ্কোচন অনুভব করতে শুরু করেন ও অ্যামনিয়োটিক ফ্লুইডটি বেরিয়ে আসে। হাসপাতালে লি-কে সাহায্য করার জন্য একটি প্রসূতি চিকিৎসকের দলকে ডাকা হয়।

সে দিনই বিকেলের দিকে তিনি স্বাভাবিক ভাবেই একটি সন্তান প্রসব করেন। লি তাঁর গর্ভাবস্থার কথা জানতে পেরে অবাক হয়ে যান। লি এবং তাঁর স্বামীর একটি ৬ বছর বয়সি ছেলে রয়েছে। সে কারণে তাঁরা আর সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করেননি। সাম্প্রতিক মাসগুলিতে লি-র ওজনও বেড়েছে বলে জানিয়েছিলেন লি। এ ছাড়া গর্ভাবস্থার কোনও লক্ষণ অনুভব করেননি বলে দাবি লি-র। তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘আমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়া নিয়ে সম্পূর্ণ অজ্ঞ ছিলাম, আমি প্রায়শই আমার বৈদ্যুতিক বাইক চালাতাম। কখনও কোনও অসুবিধা হয়নি।’’ লি-র স্বামী হাসপাতাল থেকে খবর পেয়ে অন্য শহর থেকে স্ত্রী ও নবজাতককে দেখতে আসেন বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন