ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
নাম, বাবার নাম, ভোটার কার্ডের নম্বর— সবই ঠিক আছে। কিন্তু ছবি আলাদা। সে জন্য এনুমারেশন ফর্ম পাননি উত্তর ২৪ পরগনার হেলেঞ্চা পারকৃষ্ণচন্দ্রপুরের বাসিন্দা মহাদেব দাস। অভিযোগ, ছবি আলাদা হওয়ায় বাগদার ভোট ‘চলে গিয়েছে’ হুগলিতে। এ নিয়ে পুলিশ-প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
বাগদা ব্লকের হেলেঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েতের পারকৃষ্ণচন্দ্রপুরের বাসিন্দা মহাদেব ২০২৪ সালে বাগদা বিধানসভার ১৩৯ নম্বর বুথে ভোট দিয়েছেন। ২০০২ সালের ভোটার তালিকাতেও নাম রয়েছে তাঁর। কিন্তু এসআইআরের জন্য প্রতিবেশীরা সকলে গণনাপত্র পেলেও তিনি পাননি। তিনি বিএলওর কাছে গিয়ে জানতে চান, কেন তাঁর নামে গণনাপত্র আসেনি। তার পরেই চমক।
দেখা যায় মহাদেবের নাম, বাবার নাম, এপিক নম্বর এক রেখে ছবি পরিবর্তন করায় তাঁর ভোট চলে গিয়েছে হুগলির পান্ডুয়ায়। এ কী ভাবে সম্ভব? প্রশ্ন তুলে বিডিও অফিসে অভিযোগ করেছেন তিনি। পাশাপাশি এনুমারেশন ফর্ম না পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তিনি। ভোটাধিকার ফিরে পেতে শনিবার বাগদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সংশ্লিষ্ট এলাকার বিএলও জানিয়েছেন মহাদেবের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় রয়েছে। ২০২৪ সালের ভোটার তালিকায় আছে। কিন্তু বিএলও পোর্টালে ‘সার্চ’ করে দেখা যাচ্ছে, তিনি হুগলির পান্ডুয়ায় ভোটার। তিনি বলেন, ‘‘আমি উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের জানিয়েছি যাতে মহাদেব দাস তাঁর ভোটাধিকার ফিরে পেতে পারেন।’’
বিষয়টি কানে গিয়েছে হেলেঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রূপা হালদারের। তিনি বলেন, ‘‘প্রকৃত ভোটারের নাম যাতে কোনও ভাবেই বাদ না যায়, তা নিশ্চিত করতে চাই আমরা। সকলেই মহাদেব দাসের পাশে আছি।’’