SIR in West Bengal

‘এসআইআর আতঙ্কে’ মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে ‘টিম’ পাঠালেন অভিষেক, পাঁচ বাড়িতে অর্থ সাহায্য নিয়ে হাজির তৃণমূল

শাসকদলের তরফে বার্তা দেওয়া হয়েছে, ওই পরিবারগুলির যে কোনও অসুবিধায় তৃণমূল পাশে থাকবে। একাধিক পরিবারে পড়ুয়া রয়েছে। তাদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে যাতে কোনও প্রতিবন্ধকতা তৈরি না-হয়, সেই বার্তাও দেওয়া হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৫ ২০:০০
Abhishek Banerjee formed a team to help the families of those who died in SIR panic

(উপরে) টিটাগড়ে মৃত কাকলী সরকারের পরিবারের সঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী শশাী পাঁজা, ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক, বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী। উলুবেড়িয়ায় জাহির মালের পরিবারের সঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী পুলক রায় এবং মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী (নীচে)। ছবি: সংগৃহীত।

‘এসআইআর আতঙ্কে’ মৃত্যুর ঘটনা যেখানে যেখানে প্রকাশ্যে আসছে, সেখানে সেখানে পৌঁছে যাচ্ছেন স্থানীয় স্তরের তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা। কিন্তু এই পরিবারগুলির পাশে দীর্ঘমেয়াদি ভাবে পাশে দাঁড়াতে পৃথক ‘টিম’ গঠন করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক, মুখপাত্রেরা ভাগাভাগি করে পৌঁছে গেলেন উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং হুগলির পাঁচটি পরিবারের কাছে।

Advertisement

পানিহাটির প্রদীপ করের বাড়িতে যান ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক এবং রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম। উল্লেখ্য, ‘এসআইআর আতঙ্কে’ প্রথম মৃত্যু হয়েছিল প্রদীপের। পরের দিন আগরপাড়ায় মৃতের পরিবারের সঙ্গে গিয়ে দেখা করেছিলেন অভিষেকও। ফের তাঁর বাড়িতে নেতাদের পাঠালেন তিনি।

‘এসআইআর আতঙ্কে’ টিটাগড়ে মৃত কাকলি সরকারের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। ছিলেন ব্যারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীও।

হুগলির ডানকুনিতে মৃত বৃদ্ধা হাসিনা বেগমের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং টিএমসিপি নেতা সুদীপ রাহা। শেওড়াফুলি গড়বাগানের যৌনপল্লিতে আত্মঘাতী যৌনকর্মী বীতি দাসের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন চাঁপদানির বিধায়ক অরিন্দম গুঁইন এবং টিএমসিপির প্রাক্তন সভাপতি জয়া দত্ত।

উলুবেড়িয়ার জাহির মালের বাড়িতে পৌঁছেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী পুলক রায় এবং তৃণমূলের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ-সহ আরও যেখানে যেখানে এই ঘটনা ঘটেছে, সেখানেও যাবেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা।

সূত্রের খবর, প্রতিটি পরিবারের হাতেই আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে। কত অর্থ তুলে দেওয়া হয়েছে তা আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলের তরফে বলা হয়নি। তবে তৃণমূল সূত্রে খবর, প্রতিটি পরিবারের হাতে দুই লক্ষাধিক টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, শাসকদলের তরফে বার্তা দেওয়া হয়েছে, ওই পরিবারগুলির যে কোনও অসুবিধায় তৃণমূল পাশে থাকবে। একাধিক পরিবারে পড়ুয়া রয়েছে। তাদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে যাতে কোনও প্রতিবন্ধকতা তৈরি না-হয়, সেই বার্তাও দেওয়া হয়েছে।

তৃণমূল চাইছে, এই পরিবারগুলির সঙ্গে সমন্বয় রাখতে। স্থানীয় স্তরেও নেতৃত্বকে সেই বার্তা দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার এসআইআর নিয়ে আতঙ্কের প্রতিবাদে কলকাতায় মিছিল করেছিল তৃণমূল। সেই মিছিলে হেঁটেছিলেন দলের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা এবং ‘সেনাপতি’ অভিষেক। মিছিল শেষে জোড়াসাঁকোতে বক্তৃতা করতে গিয়ে অভিষেক কার্যত ঘোষণাই করে দিয়েছেন, আগামী দু’মাসের মধ্যে দিল্লিতে অভিযানে যাবে তৃণমূল। তৃণমূলের অনেকে মনে করছেন, দিল্লির সেই কর্মসূচিতে শাসকদল নিশানা করবে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে। সে কথা মাথায় রেখেই পরিবারগুলিকে ‘আগলে’ রাখতে চাইছে দল। মৃতদের পরিজনদেরও রাজধানীতে হাজির করানো হতে পারে।

Advertisement
আরও পড়ুন