—প্রতীকী চিত্র।
দলীয় নেতা খুন হওয়ার দিনটিকে শহিদ দিবস হিসাবে পালন করে বিজেপি। বুধবার দেখা গেল সেই আয়োজনেও ‘ভাগাভাগি’র রাজনীতি। বর্ধমানে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
দেখা গেল নেতার স্মরণ অনুষ্ঠানে বিজেপির এক পক্ষ মাল্য দান করছে সকালে। অন্য পক্ষ দুপুরে। তৃণমূলের কটাক্ষ, আরও কোনও পক্ষ হয়তো সন্ধ্যায় মল্য দান করবে।
২০১৮ সালের ৯ ডিসেম্বর কাঁকসার সরস্বতী গঞ্জে দুস্কৃতীদের হাতে খুন হন কাঁকসার রূপগঞ্জের বিজেপির বুথ সভাপতি সন্দীপ ঘোষ। অভিযোগ, ঘটনার পরে সাত বছর পার হয়ে গেলেও এখনও বিচার পায়নি তাঁর পরিবার। সঠিক বিচারের দাবি তুলে প্রতিবছরই প্রতিবাদে সরব হয় বিজেপি। তবে এই বছর দেখা গেল এ পক্ষ-ও পক্ষের রাজনীতি। রূপগঞ্জে সকাল সকাল গিয়ে সন্দীপের মূর্তিতে মাল্যদান করেন বিজেপির কিষান মোর্চার সাধারণ সম্পাদক ভগীরথ ঘোষ ও তাঁর অনুগামীরা। বেলা বাড়লে আবার একই মূর্তিতে মাল্যদান করেন বর্ধমান সদরের বিজেপি জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা, পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলা সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বেশ কয়েক জন বিজেপি নেতা ও কর্মী।
হঠাৎ করে দুই ভাগে ভাগ হয়ে ‘শহিদ দিবস’ পালন করাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে চরম বিতর্ক। এই প্রসঙ্গে কিষাণ মোর্চার সাধারণ সম্পাদকের দাবি, যে দিন এই ঘটনা ঘটেছিল সেই দিন তিনি সন্দীপের সঙ্গে ছিলেন। তাই সকাল সকাল মূর্তি পরিষ্কার ও মাল্যদান করেন তাঁরা। পশ্চিম বর্ধমান জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এইসব ছোটখাটো বিষয় নিয়ে তাঁরা ভাবেন না। তিনি বলেন, ‘‘যারা খুন করেছে সেই শেখ সইফুল, শেখ হিরণ মণ্ডল, জহিরুল মিদ্যা ওরফে কাংলাকে গ্রেফতার করতে হবে।’’
বিজেপির এই ‘ভাগাভাগি’র রাজনীতিকে নিয়ে কটাক্ষ করে পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘একজন কর্মীর শহিদ দিবস পালন হচ্ছে দুই ভাগে ভাগ হয়ে। এরই নাম বিজেপি। সকালে একবার পালন হচ্ছে। দুপুরে একবার পালন হচ্ছে। আবার রাতেও হয়তো পালন হবে।’’ তাঁর আরও দাবি, ২০২২ সালে বাংলা থেকে বিজেপি নির্মূল হয়ে যাবে।’’