Electricity Bill Due

বকেয়া বিদ্যুতের বিল প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা, সমস্যায় চন্দ্রকোনার দিনমজুর

সূত্রের খবর, ২০০০ সালের বন্যায় নিজের বসত বাড়ি নদী গর্ভে তলিয়ে গিয়েছিল নবির। তার পর থেকে পাশেই একটি টিনের চালার বাড়িতে বসবাস করতেন ওই বৃদ্ধ।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ ০২:০৪
বিল হাতে গোলাম নবি খান।

বিল হাতে গোলাম নবি খান। নিজস্ব চিত্র।

বিপিএল নথিভুক্ত মিটারে বিদ্যুতের বিল ২ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকা! আর এই পরিমাণ বিল কী করে পরিশোধ করবেন সেই চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে ঘাটাল মহকুমার চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের ঢাইখণ্ড গ্রামের বাসিন্দা গোলাম নবি খানের। সামান্য এক জন দিনমজুরের এই পরিমাণ বিদ্যুতের বিল দেখে চক্ষু চড়কগাছ প্রতিবেশীদের।

Advertisement

সূত্রের খবর, ২০০০ সালের বন্যায় নিজের বসত বাড়ি নদী গর্ভে তলিয়ে গিয়েছিল নবির। তার পর থেকে পাশেই একটি টিনের চালার বাড়িতে বসবাস করতেন ওই বৃদ্ধ। এলাকায় ফের বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় বিদ্যুৎ দফতর বিপিএল নথিভুক্ত মিটারটি খুলে নিয়ে যায়। তার পর থেকে মেয়ে জামিলা বিবির সঙ্গে থাকতেন তিনি। সম্প্রতি এই পরিমাণ বিদ্যুতের বকেয়া বিল দেখে চিন্তায় পড়েছেন তিনি।

অস্বাভাবিক বিদ্যুতের বিল আসার বিষয়ে বিদ্যুৎ দফতরে জানালেও কোনও সুরাহা হয়নি বলে জানান নবি। এর আগেও বহু বার তাঁর কাছে এই পরিমাণ বিদ্যুতের বিল আসছে দেখে দফতরে জানালেও কোনও লাভ হয়নি বলেও জানান বৃদ্ধ।

বিদ্যুতের বিল প্রসঙ্গে দফতর জানায়, ২০১০ সাল থেকে কোন বিদ্যুৎবিল মেটাননি ওই ব্যক্তি। যা সুদ সমেত বর্তমান এই পরিমাণ বকেয়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব অভিযোগ সঠিক না হলেও সমগ্র বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে দফতর।

সামান্য দিনমজুরের এই অস্বাভাবিক বিদ্যুতের বিল দেখে হতবাক প্রতিবেশীরা। তাঁরা জানিয়েছেন যে, তাঁরা বিদ্যুৎ দফতরের কাছে আবেদন জানাবেন যাতে ওই বৃদ্ধের বকেয়া মুকুব করে দেওয়া হয়।

Advertisement
আরও পড়ুন