Suvendu Adhikari

২১ জুলাইয়ের কর্মসূচি শেষে বিরোধী দলনেতাকে দিল্লিতে তলব বিজেপি নেতৃত্বের, ২২ তারিখ রাজধানীতে যাবেন শুভেন্দু

আগামী ৯ অগস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন আরজি কর হাসপাতালে নিহত যুবতী চিকিৎসকের পিতা-মাতা। সেই কর্মসূচিতে পতাকাবিহীন ভাবে শুভেন্দু-সহ যোগদান করবেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা, সঙ্গে বহু অরাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিও ওই দিন কলকাতার কর্মসূচিতে যোগ দেবেন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২৫ ১৪:০৭
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।

২১ জুলাইয়ে তৃণমূলের শহিদ দিবসের পাল্টা শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক দিয়েছে বিজেপি যুব মোর্চা। এই অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার পরেই নন্দীগ্রাম বিধায়ককে দিল্লিতে তলব করেছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। আগামী মঙ্গলবার, ২২ জুলাই দিল্লি যাচ্ছেন শুভেন্দু। নিজের দিল্লি সফর প্রসঙ্গে শুভেন্দু জানিয়েছেন, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তিনি দিল্লি যাচ্ছেন। তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, আগামী ৯ অগস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন আরজি কর হাসপাতালে নিহত যুবতী চিকিৎসকের পিতা-মাতা। সেই কর্মসূচিতে পতাকা বিহীনভাবে শুভেন্দু-সহ যোগদান করবেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা, সঙ্গে বহু অরাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিও ওই দিন কলকাতার কর্মসূচিতে যোগ দেবেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে দূরদূরান্তের জেলা থেকে তাঁদের কলকাতায় আসতে সমস্যা হতে পারে। তাই তাদের জন্য বন্দোবস্ত করতে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে যাচ্ছেন তিনি।

Advertisement

বিজেপি পরিষদীয় দল সূত্রে খবর, দূরদূরান্তের জেলা থেকে যাঁরা ওই কর্মসূচিতে যোগদান করতে চান, তাঁদের জন্য অতিরিক্ত রেলের কোচ সংযোজনের আবেদন রেলমন্ত্রীর কাছে জানাবেন শুভেন্দু। বাড়তি কোচে যে পরিমাণ মানুষ কলকাতা থেকে যাতায়াত করবেন, তাঁদের জন্য টিকিটের বন্দোবস্ত করবেন বিরোধী দলনেতা। সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে রেলমন্ত্রীর দ্বারস্থ হবেন তিনি। তবে বিজেপির একটি সূত্র জানাচ্ছে, নবান্ন অভিযানের কর্মসূচির পাশাপাশি রাজ্যে চলা বেশ কিছু রেল প্রকল্পের কাজ নিয়েও রেলমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন নন্দীগ্রাম বিধায়ক। আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা রেল-নির্ভর মানুষের দাবি দাওয়া প্রসঙ্গেও কথা হতে পারে দু’জনের মধ্যে। রাজ্যের যে সব রেল প্রকল্পের জন্য বিজেপির ভোটবাক্সে লাভ হতে পারে, সে বিষয়টি নিয়ে মূলত আলোচনা হতে পারে শুভেন্দু-বৈষ্ণবের মধ্যে।

রাজ্য বিজেপির তরফে মনে করা হচ্ছে, শুধুমাত্র রেলমন্ত্রীর সঙ্গেই নয়, বিরোধী দলনেতার এই ঝটিকা সফরে বিজেপির বেশ কিছু শীর্ষ নেতার সঙ্গেও বৈঠক করতে পারেন তিনি। এ ক্ষেত্রে, সুকান্ত মজুমদারকে সরিয়ে শমীককে সভাপতি করার পর রাজ্য সংগঠনের যে রদবদল হবে, সে বিষয় নিয়েও আলোচনা হতে পারে শুভেন্দুর সঙ্গে। কারণ, পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সবচেয়ে পরিচিত মুখ তিনিই। তাই তাঁর মতামত নিয়েই পশ্চিমবঙ্গের সংগঠনের ঘুঁটি সাজাতে চায় সর্বভারতীয় বিজেপি নেতৃত্ব। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের রণকৌশল সাজাতে চায় বিজেপি। সে বারের ভুলের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সেই বিষয়ে প্রথম থেকেই রাজ্যের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে এগোতে চাইছে বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্ব।

Advertisement
আরও পড়ুন