SIR in West Bengal

এসআইআর শুনানিতে কি ব্যবহার করা যাবে বাতিল হওয়া ওবিসি শংসাপত্র? কমিশনকে সিদ্ধান্ত নিতে বলল হাই কোর্ট

আগামী শনিবার থেকে ভোটারদের শুনানি পর্ব শুরু করবে কমিশন। ওই সময়ে নথি হিসাবে যাতে বাতিল হওয়া ওবিসি শংসাপত্র ব্যবহার করা না হয়, তা নিয়ে আদালতে মামলা করে বিজেপি। ওই বিষয়ে কমিশনকেই সিদ্ধান্ত নিতে বলল হাই কোর্ট।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:৩৮
বাতিল হওয়া ওবিসি শংসাপত্র এসআইআর নথি থেকে বাদ দেওয়ার আর্জিতে মামলা হয়েছে হাই কোর্টে। বুধবার সেই মামলার শুনানি ছিল।

বাতিল হওয়া ওবিসি শংসাপত্র এসআইআর নথি থেকে বাদ দেওয়ার আর্জিতে মামলা হয়েছে হাই কোর্টে। বুধবার সেই মামলার শুনানি ছিল। — ফাইল চিত্র।

পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের শুনানিতে বাতিল হওয়া ওবিসি শংসাপত্র ব্যবহার করা যাবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। বুধবার এমনটাই জানিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। রাজ্যে এসআইআর-এর নথি থেকে বাতিল হওয়া ওবিসি শংসাপত্রকে বাদ দেওয়ার আর্জিতে হাই কোর্টে মামলা করে বিজেপি। ওই মামলার প্রেক্ষিতেই এ কথা জানিয়েছেন বিচারপতি কৃষ্ণ রাও। আদালতের নির্দেশ, কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, তা আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কারণ-সহ মামলাকারী পক্ষের কাছে জানিয়ে দিতে বলে কমিশনকে।

Advertisement

মামলাকারী পক্ষের হয়ে আইনজীবী অরিজিৎ বক্সীর বক্তব্য, গত বছর ২২ মে হাই কোর্ট ২০১০ সালের পরে তৈরি সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করে দিয়েছিল। আদালত জানিয়েছিল, ওই সব সার্টিফিকেট ভবিষ্যতে আর কোথাও ব্যবহার করা যাবে না। তাই এসআইআরের নথিতেও সেগুলির যাতে ব্যবহার না-করা হয়, তা নিশ্চিত করা হোক।

রাজ্যে এসআইআর-এর খসড়া তালিকা ইতিমধ্যে প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। এ বার শুরু হবে শুনানি এবং নথি যাচাইয়ের প্রক্রিয়া। আগামী শনিবার থেকে শুনানি পর্ব শুরু হবে। ওই সময়ে প্রামাণ্য নথি হিসাবে কমিশন ১৩টি নথির কথা উল্লেখ করেছে। তার মধ্যে রয়েছে তফসিলি জাতি, জনজাতি এবং ওবিসি শংসাপত্রও। এ অবস্থায় বাতিল হওয়া ওবিসি শংসাপত্রের ব্যবহার বন্ধের আর্জিতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি।

বস্তুত, ২০২৪ সালের ২২ মে কলকাতা হাই কোর্টে ২০১০ সালের পরে দেওয়া সমস্ত ওবিসি শংসাপত্র বাতিল করে দিয়েছিল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ। বলা হয়, সামাজিক, আর্থিক এবং পেশাগত ভাবে সব জনগোষ্ঠীর মধ্যে সমীক্ষা করতে হবে। তার পর নতুন করে ওবিসি তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। সেই মতো হাই কোর্টের নির্দেশ অনুসারে রাজ্য একটি সমীক্ষা করে ওবিসি নিয়ে বিজ্ঞপ্তিও জারি করে। তা নিয়েও পরে মামলা হয় হাই কোর্টে। সুপ্রিম কোর্টেও গড়ায় সেই মামলার জল। তবে রাজ্যের নতুন করে ওবিসি বিজ্ঞপ্তির উপরে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisement
আরও পড়ুন